বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সিকিউরিটি অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় মঞ্জুরি কমিশন দায়ী: পলক 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪, ১৭: ১৭

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাইবার সিকিউরিটি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না জানিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, ‘গত ১৫ বছরে এত পরিবর্তন হলেও কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই, এমআইএসটি বাদে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সিকিউরিটি বিষয় অন্তর্ভুক্তি করা হয়নি। এই ব্যর্থতার জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে দায়ী করব।’ 

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এআই ও ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির মতো বিষয়ে দক্ষ জনসম্পদের রিসোর্স পুল গঠন করা না হলে, ভবিষ্যতে দেশের জনসম্পদ বেকার হয়ে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, ‘দেশের একদল তরুণ এআই দিয়ে আমার ভয়েস স্পিচ করে দিয়েছে। এটা একদিকে শঙ্কার, অন্যদিকে সম্ভাবনার।’ 

বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রস্তাবনায় ঐক্যমত প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চলমান কর, নীতি সুবিধা অব্যাহত রাখার জোর যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে প্রধান অতিথির প্রতি অনুরোধ করছি। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক চাহিদা তিনি তরুণদের মতো ভাবতে পারেন। তাই আমার বিশ্বাস উনি এই দায়িত্ব নিলে, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই দাবি আদায় করে নিতে পারব।’ 

অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতির বিকল্প নেই। প্রযুক্তি নির্ভরশীল করতে আমাদের যোগ্য, স্মার্ট নাগরিক করে গড়ে তুলতে হবে। পরবর্তী ধাপে যেতে আমাদের এক সঙ্গে দুই-তিনটি ধাপ এক লাফে পার হতে হবে।’ 

সংসদ সদস্য জারা মাহবুব নিজেকে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্মার্ট সরকারের মধ্যে স্মার্ট স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুযোগ রয়েছে। তাই এই ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো দরকার। কিন্তু আমাদের ৯৯৯-এ কাজ করে মাত্র ১৯ শতাংশ নারী।’ 

বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সাংস্কৃতিক পরিবেশ নেই বলে অভিযোগ করে অভিনেতা সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘ডিজিটাল চলচ্চিত্রকে স্মার্ট চলচ্চিত্র হিসেবে গড়ে তুলতে পুরো খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। এই খাতে ১ হাজার কোটি টাকা দিলেও একটি সিনেমা হল হয়নি। এখানে পার্শ্ববর্তী দেশের একজন নায়কের রেম্যুনারেশনের চেয়ে কম বরাদ্দ রয়েছে। মনন বিকাশে এখানে জোর দেওয়া দরকার।’ 

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিইএবি) প্রেসিডেন্ট শামীম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন—প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ সালমান ফজলুর রহমান। 

আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আহমেদ এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত