দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ: বিবিএস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪: ২৪
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪: ৩১

দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটরিয়ামে আয়োজিত জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর জাতীয় প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বিবিএসের তথ্যমতে, ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জনসংখ্যার মধ্যে পল্লি অঞ্চলে বসবাস করেন ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৪ জন এবং শহরে বসবাস ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জনের।

মোট জনসংখ্যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ এবং নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৪৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ ও নারী ৫০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি।

দেশে গত চার দশকে সাধারণ শিক্ষায় পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর হার কমেছে। তবে বেড়েছে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ১৯৮১ সালের আদমশুমারিতে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছিল ৯৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। কিন্তু ২০২২ সালের জনশুমারিতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ ৪১ বছরের ব্যবধানে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী কমেছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। 

অন্যদিকে ১৯৮১ সালে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২২ সাল শেষে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। 

প্রতিবেদন বলছে, মূলধারা বা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১০ কোটি ৫৭ লাখ ৭৬ হাজার ৩৬৫, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬৭ জন, ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৬৫৭ জন। এ ছাড়া অন্যান্য (ইংরেজি মাধ্যম) শিক্ষায় শিক্ষিত ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৭১৪ জন। 

জনশুমারির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২ সাল শেষে সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ৮৪ শতাংশে। ১৯৭৪ সালের শুমারিতে যা ছিল ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ১৯৭৪ সালে এমন জনগোষ্ঠী ছিল ৭৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশে। 

শুমারির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে কমপক্ষে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া নাগরিক রয়েছে ২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, নবম বা দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে ৭ শতাংশ নাগরিক। তা ছাড়া এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করা নাগরিক রয়েছে ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রয়েছে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।

দেশে স্নাতক বা সমমান পাস নাগরিক ২০২২ সাল শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। অথচ আগের শুমারিতে এই হার ছিল মাত্র ১ দশমিক ৯২ শতাংশ। দেশে বর্তমানে স্নাতকোত্তর বা সমমান পাস নাগরিক রয়েছে ১ দশমিক ৭২ শতাংশ। অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত নাগরিক রয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) নাসিমা বেগম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহাম্মদ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত