মানব পাচারে জড়িত ২ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারে মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশের অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১: ৫০
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২১: ৪০
বেস্টিনেট এসডিএন সফটওয়্যারের স্বত্বাধিকারী আমিনুল ইসলাম ও রিক্রুটিং এজেন্সি ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রুহুল আমিন। ছবি: সংগৃহীত

মানব পাচারে জড়িত দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারে মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। গত ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ পুলিশের ইন্টারপোল শাখা থেকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়।

অভিযুক্ত দুই ব্যবসায়ী হলেন বেস্টিনেট এসডিএন সফটওয়্যারের স্বত্বাধিকারী আমিনুল ইসলাম ও রিক্রুটিং এজেন্সি ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রুহুল আমিন।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনেও এ তথ্য জানা গেছে।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চিঠিতে বলা হয়েছে, তাঁরা এমন একটি চক্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, যেটি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে জোরপূর্বক অর্থ আদায় এবং তাঁদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, আমিনুলের প্রতিষ্ঠিত বেস্টিনেট এসডিএন নামক প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা একটি সফটওয়্যার ব্যবহার না করতে মালয়েশিয়া সরকারকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সাল থেকে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা-হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিকদের অভিবাসন প্রক্রিয়াকরণ এবং তাঁদের মনিটর করেছেন মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণ করা আমিনুল, পরিচিত মহলে আমিন নামেই পরিচিত। প্রায় এক দশকের বেশি সময় আগে মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব পান তিনি। এই চিঠির বিষয়ে তাঁর জানা নেই বলে ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। একই সঙ্গে আমিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।

অপর অভিযুক্ত রুহুলের মন্তব্য জানতে তাঁর প্রতিষ্ঠান ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে ব্লুমবার্গ। ঢাকাভিত্তিক এই রিক্রুটিং এজেন্সির স্বত্বাধিকারী হচ্ছেন রুহুল।

ক্যাথারসিসের একজন প্রতিনিধি ই-মেইলে ব্লুমবার্গকে জানান, রুহুল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে তিনি সব সময় ‘আইন মেনে, বৈধভাবে ও নৈতিকতার সঙ্গে’ ব্যবসা পরিচালনা করেছেন।

মন্তব্য চেয়ে মালয়েশিয়ার পুলিশ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করে ব্লুমবার্গ, তবে কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ পুলিশের পরিদর্শক আশিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত দুই ব্যবসায়ীকে সর্বশেষ কুয়ালালামপুরে দেখা গেছে। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন এবং বাংলাদেশ পুলিশকে তাঁদের প্রত্যর্পণের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধপত্র জমা দিতে বলেছেন। বর্তমানে এসব নথি প্রস্তুত করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত