নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পদবি পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীতের দাবিতে সারা দেশে কর্মবিরতি শুরু করেছেন বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের কর্মচারীরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। কাজে যোগ দিয়ে অফিস সময়ে কোনো কাজ করছেন না তারা। দাবি আদায়ে আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) সভাপতি মো. আকবর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন ও ইউএনও অফিসের প্রায় ১২ হাজার কর্মচারী আজ থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সকালে এসে সবাই অফিসে যোগ দিলেও কেউ কোনো কাজ করছেন না। আমাদের কর্মবিরতিতে চতুর্থ শ্রেণির প্রায় ১০ হাজার কর্মচারী সমর্থন জানিয়ে তারাও কোনো কাজ করছেন না। সবাই অফিস চত্বরে অবস্থান করছেন।’
চাকরিজীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই পদে কাজ করছেন মাঠ প্রশাসনের বেশির ভাগ কর্মচারীরা। গত বছরের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এসব কর্মচারীদের পদোন্নতির নির্দেশনা দেন। মাঠ প্রশাসনের ১১-১৬ গ্রেডভুক্ত কর্মীদের পদোন্নতির জন্য ২০২১ সালের শুরুতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানায়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের পদবি ও বেতন গ্রেডে উন্নতির জন্য অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠালেও তা এখনো অনুমোদন পায়নি।
কর্মচারীদের নেতা আকবর হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাস্তবায়ন চাই। অনেক সরকারি অফিসে আমাদের পদমর্যাদার কর্মচারীদের পদবি ও বেতন গ্রেড উন্নীত হলেও আমরা বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছি। আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
২০১৩ সালের ৩০ মে তহশিলদার (বর্তমান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) এবং সহকারী তহশিলদারদের (বর্তমান ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা) পদ বদল করে বেতন গ্রেড পাঁচ ধাপ উন্নীত করে ১১-১২ তম গ্রেড করা হয়। ভূমি অফিসের কর্মচারীদের এভাবে পদোন্নতি দেওয়ায় অন্য সরকারি অফিসের কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। জটিলতা নিরসনে ওই সময় চারজন সচিবের সমন্বয়ে কমিটি করে সেই আদেশ বাতিল করে সরকার। সম্প্রতি ২০১৩ সালের সেই বাতিল আদেশ বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনও ও এসিল্যান্ড কার্যালয়ের কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তারাও বেতন গ্রেডের উন্নতি চেয়েছেন।
মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা দাবি আদায়ে ২০২০ সালে ১৫-৩০ নভেম্বর কর্মবিরতি পালন করেন। ২০২১ সালের শুরুতে টানা আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা। তখন তৎকালীন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এরপর কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দেন কর্মচারীদের নেতারা। তখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সেই কর্মসূচি কিছুদিনের জন্য স্থগিত করে দাবি আদায় না হলে ১ মার্চ থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন কর্মচারীদের নেতারা।
পদবি পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীতের দাবিতে সারা দেশে কর্মবিরতি শুরু করেছেন বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের কর্মচারীরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। কাজে যোগ দিয়ে অফিস সময়ে কোনো কাজ করছেন না তারা। দাবি আদায়ে আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) সভাপতি মো. আকবর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন ও ইউএনও অফিসের প্রায় ১২ হাজার কর্মচারী আজ থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সকালে এসে সবাই অফিসে যোগ দিলেও কেউ কোনো কাজ করছেন না। আমাদের কর্মবিরতিতে চতুর্থ শ্রেণির প্রায় ১০ হাজার কর্মচারী সমর্থন জানিয়ে তারাও কোনো কাজ করছেন না। সবাই অফিস চত্বরে অবস্থান করছেন।’
চাকরিজীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই পদে কাজ করছেন মাঠ প্রশাসনের বেশির ভাগ কর্মচারীরা। গত বছরের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এসব কর্মচারীদের পদোন্নতির নির্দেশনা দেন। মাঠ প্রশাসনের ১১-১৬ গ্রেডভুক্ত কর্মীদের পদোন্নতির জন্য ২০২১ সালের শুরুতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানায়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের পদবি ও বেতন গ্রেডে উন্নতির জন্য অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠালেও তা এখনো অনুমোদন পায়নি।
কর্মচারীদের নেতা আকবর হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাস্তবায়ন চাই। অনেক সরকারি অফিসে আমাদের পদমর্যাদার কর্মচারীদের পদবি ও বেতন গ্রেড উন্নীত হলেও আমরা বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছি। আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
২০১৩ সালের ৩০ মে তহশিলদার (বর্তমান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) এবং সহকারী তহশিলদারদের (বর্তমান ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা) পদ বদল করে বেতন গ্রেড পাঁচ ধাপ উন্নীত করে ১১-১২ তম গ্রেড করা হয়। ভূমি অফিসের কর্মচারীদের এভাবে পদোন্নতি দেওয়ায় অন্য সরকারি অফিসের কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। জটিলতা নিরসনে ওই সময় চারজন সচিবের সমন্বয়ে কমিটি করে সেই আদেশ বাতিল করে সরকার। সম্প্রতি ২০১৩ সালের সেই বাতিল আদেশ বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনও ও এসিল্যান্ড কার্যালয়ের কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তারাও বেতন গ্রেডের উন্নতি চেয়েছেন।
মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা দাবি আদায়ে ২০২০ সালে ১৫-৩০ নভেম্বর কর্মবিরতি পালন করেন। ২০২১ সালের শুরুতে টানা আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা। তখন তৎকালীন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এরপর কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দেন কর্মচারীদের নেতারা। তখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সেই কর্মসূচি কিছুদিনের জন্য স্থগিত করে দাবি আদায় না হলে ১ মার্চ থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন কর্মচারীদের নেতারা।
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় ভ্রমণের ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে সরকার। স্ক্যাম চক্রের প্রতারণা এড়াতে নিয়োগ যাচাই এবং সাইবার নিরাপত্তা মেনে চলার পরামর্শ।
২ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৮ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৯ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৯ ঘণ্টা আগে