নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে একটা মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। এত চাপ, মিথ্যা মামলা, যে সমস্ত খেলা, হয়রানি, এই অপমানের জবাব। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত কাজ করতে পারব। বাংলাদেশ যে নিজেরা পারে, এই ধারণাটা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।'
জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীসহ মোট ৩৮ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য দেন। বুধবার বিকেল ৫টার কিছু সময় পর আলোচনা শুরু হয়। শেষ হয় রাত সাড়ে ১১টায়। আলোচনা শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের শর্ত হিসেবে ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদ দিতে বিশ্বব্যাংক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক চাপ ছিল। একটি মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। স্টেট ডিপার্টমেন্ট দুই দুইবার আমার ছেলেকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ডেকে নিয়ে থ্রেট করেছে যে, তোমার মাকে বলো এমডির পদ থেকে ইউনূসকে সরানো যাবে না। না হলে তোমার অডিট হবে। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে।
ড. ইউনূসের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, 'গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি ড. ইউনূস বেআইনিভাবে ৭১ বছর পর্যন্ত এমডি পদে ছিল। তাঁকে কোনো অপমান করা হয়নি। বরং তাঁকে ব্যাংকের উপদেষ্টা এমেরিটাস হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে এমডি থাকতে হবে।' তিনি বলেন, '১৯৯৮ সালের বন্যার সময় গ্রামীণ ব্যাংককে আমরা ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম। গ্রামীণ ফোনের লাভের টাকা ব্যাংকে যাওয়ার শর্ত ছিল। কিন্তু তিনি তার একটি টাকাও ব্যাংককে দেননি। বরং গ্রামীণ ব্যাংকের যত টাকা, সব কিন্তু তিনি নিজে খেয়ে গেছেন। না হলে একজন ব্যাংকের এমডি এত টাকার মালিক হয় কীভাবে? দেশে-বিদেশে এত বিনিয়োগ করে কীভাবে? ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে লক্ষ লক্ষ ডলার কীভাবে অনুদান দেয়? কার টাকা দিল? কীভাবে দিল, সেটা তো কেউ খোঁজ নিল না।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বলা হলো। আমি, আমার বোন (শেখ) রেহানা, আমার ছেলে কেউ বাদ যায়নি। ড. মসিউর রহমান, আমাদের সচিব মোশাররফ, মন্ত্রী আবুল হোসেন-এদের ওপর যে জুলুম তারা করেছে এবং যখন অসত্য অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিল, তখন আমরা বললাম, আমরা নিজের টাকায় করব। অনেকে বোধহয় ভেবেছিলেন, এটা অস্বাভাবিক। কিন্তু আমি বলেছিলাম আমরা করতে পারব। এই আত্মবিশ্বাস আমার ছিল।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের বিরুদ্ধে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের করা মামলার প্রসঙ্গ তুৃলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রত্যেকটি মামলায় হেরে গেল। কারণ, আইন তো তাঁকে কাভার দিতে পারে না। আইন তো কারও বয়স কমাতে পারে না। হেরে গিয়ে আরও ক্ষেপে গেল। হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে আমাকে ফোন করিয়েছে, টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি ব্লেয়ারকে দিয়ে ফোন করিয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি আসলেন-সবার কথা ইউনূসকে ব্যাংকের এমডি রাখতে হবে। জাতির কাছে প্রশ্ন করছি ব্যাংকের এমডির পদে কী মধু ছিল যে, ওইটুকু ওনার না হলে চলত না। নোবেল প্লাইজ যে পায়, সে একটি এমডি পদের জন্য এত লালায়িত কেন? সেটা সবার চিন্তা করে দেখা উচিত।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'বিশ্বব্যাংক যেন টাকাটা বন্ধ করে, তার জন্য বারবার ই-মেইল পাঠানো, হিলারির সঙ্গে দেখা করা, তাঁকে দিয়ে ই-মেইল পাঠানো; এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের একজন সম্পাদকও ভালোভাবে জড়িত ছিলেন। আমার প্রশ্ন এদের মধ্যে কী কোনো দেশপ্রেম আছে?'
পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে নানামুখী চাপের বর্ণনা দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'কার ডায়রিতে লিখে রাখছে ডিডটা হলে পরে অমুক এত পারসেন্ট, অমুক এত পারসেন্ট। এখানে মসিউর রহমান সাহেবের নাম, রেহানার নাম, নিক্সনের নাম, তারপর আমাদের আবুল হোসেনের নাম, সচিবের নাম; সবার নাম দিয়ে পারসেন্টেজ লিখে রেখেছে। আমি যখন ডিমান্ড করলাম আমাকে কাগজ দাও। আমি দুর্নীতির এভিডেন্স চাই। (পাওয়া গেল) একটা ডায়রির কাগজ; (সেখানে) পেনসিল দিয়ে লেখা। সেখানে তারিখ নেই, কিছু নেই। কোথায় বসে লিখেছে। এটা নাকি ওয়েস্টিন হোটেলে বসে লেখা। আমি বিশ্বব্যাংক ও আমেরিকানদের জবাব দিয়ে বলেছিলাম, হ্যাঁ, আমার সাথে তো হেলারি ক্লিনটন দেখা করতে এসেছিল। সে এই এই কোম্পানিকে কাজ দিন, এবং ওই ওই কোম্পানিকে কাজ দিলে এত পারসেন্ট পাবে; আমার ডায়রিতে লেখা আছে; দেব বের করে? তখন চুপ হয়ে গেছে।'
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে নানা জটিলতা, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেওয়া নানা চাপের কথা সবিস্তারে তুলে ধরেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা ওয়াল্ড ব্যাংককে দোষ দিচ্ছি। কিন্তু এই বিশ্বব্যাংককে দিয়ে তো এটা করানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট তাঁর শেষ কর্মদিবসে এটার টাকা বন্ধ করে দিয়ে যায়। তারপর তাদের চাপ হলো, অমুককে গ্রেপ্তার করতে হবে, অমুককে বাদ দিতে হবে, তাহলে আমরা টাকা দেব। কিন্তু আমি বললাম এটা করতে দেব না। কারণ কোনো টাকা ছাড় হয়নি। দুর্নীতিটা হলো কোত্থেকে? আমি তো তাদের কাছে এভিডেন্স চেয়েছি। কিন্তু তারা তো দিতে পারেনি। একটা কাগজও দিতে পারেনি। তাহলে তাদের এই অপবাদ আমরা নেব কেন?'
হাজার চাপেও নতি স্বীকার করেননি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি কিন্তু দমে যাইনি। সততা আমার শক্তি। আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগণকে অপমান করে কোনো কিছু করব? এটা নয়। এই একটা সিদ্ধান্ত। যখন আমরা সেতু করতে শুরু করলাম। সবার টনক নড়ল। সবাই সমীহ করতে শুরু করল যে, না বাংলাদেশ পারে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে।'
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে সংসদ নেতা বলেন, 'রেললাইন কেন করলাম, সেটা নিয়েও আমাদের অর্থনীতিবিদরা প্রশ্ন তুলেছেন। এই সেতুর দরকারটা কী ছিলো, এই কথাটাও কেউ কেউ বলেন। যখণ নির্মাণকাজ শুরু করি, অনেক জ্ঞানীগুনি বলেছিলেন, হ্যাঁ আওয়ামী লীগ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবে, কিন্তু সেতু সম্পন্ন করতে পারবে না। তাদের কেউ কেউ আমাদের সরকারের সাথেও ছিল। কত রকমের কথা এখানে শুনতে হয়েছে। আর এর একটাই কারণ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ছাড়া কিছু করা যাবে না, তাদের খবরদারি ছাড়া কোনো কিছু হবে না, বাংলাদেশের কোনো উন্নতি হবে না, আমাকে এটাই বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। আমি বলেছি, না, আমি মানি না। আমরা পারব। না পারলে করব না। কিন্তু আমার দেশকে অপমান করে টাকা নিয়ে করতে হবে? আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে, যদি এটা না হয় আপনার ইলেকশনের কী হবে? আমার কথা-জনগণ ভোট দেবে না। ক্ষমতায় আসব না। ২০০১ সালে তো আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে একটা মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। এত চাপ, মিথ্যা মামলা, যে সমস্ত খেলা, হয়রানি, এই অপমানের জবাব। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত কাজ করতে পারব। বাংলাদেশ যে নিজেরা পারে, এই ধারণাটা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।'
জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীসহ মোট ৩৮ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য দেন। বুধবার বিকেল ৫টার কিছু সময় পর আলোচনা শুরু হয়। শেষ হয় রাত সাড়ে ১১টায়। আলোচনা শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের শর্ত হিসেবে ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদ দিতে বিশ্বব্যাংক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক চাপ ছিল। একটি মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। স্টেট ডিপার্টমেন্ট দুই দুইবার আমার ছেলেকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ডেকে নিয়ে থ্রেট করেছে যে, তোমার মাকে বলো এমডির পদ থেকে ইউনূসকে সরানো যাবে না। না হলে তোমার অডিট হবে। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে।
ড. ইউনূসের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, 'গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি ড. ইউনূস বেআইনিভাবে ৭১ বছর পর্যন্ত এমডি পদে ছিল। তাঁকে কোনো অপমান করা হয়নি। বরং তাঁকে ব্যাংকের উপদেষ্টা এমেরিটাস হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে এমডি থাকতে হবে।' তিনি বলেন, '১৯৯৮ সালের বন্যার সময় গ্রামীণ ব্যাংককে আমরা ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম। গ্রামীণ ফোনের লাভের টাকা ব্যাংকে যাওয়ার শর্ত ছিল। কিন্তু তিনি তার একটি টাকাও ব্যাংককে দেননি। বরং গ্রামীণ ব্যাংকের যত টাকা, সব কিন্তু তিনি নিজে খেয়ে গেছেন। না হলে একজন ব্যাংকের এমডি এত টাকার মালিক হয় কীভাবে? দেশে-বিদেশে এত বিনিয়োগ করে কীভাবে? ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে লক্ষ লক্ষ ডলার কীভাবে অনুদান দেয়? কার টাকা দিল? কীভাবে দিল, সেটা তো কেউ খোঁজ নিল না।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বলা হলো। আমি, আমার বোন (শেখ) রেহানা, আমার ছেলে কেউ বাদ যায়নি। ড. মসিউর রহমান, আমাদের সচিব মোশাররফ, মন্ত্রী আবুল হোসেন-এদের ওপর যে জুলুম তারা করেছে এবং যখন অসত্য অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিল, তখন আমরা বললাম, আমরা নিজের টাকায় করব। অনেকে বোধহয় ভেবেছিলেন, এটা অস্বাভাবিক। কিন্তু আমি বলেছিলাম আমরা করতে পারব। এই আত্মবিশ্বাস আমার ছিল।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের বিরুদ্ধে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের করা মামলার প্রসঙ্গ তুৃলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রত্যেকটি মামলায় হেরে গেল। কারণ, আইন তো তাঁকে কাভার দিতে পারে না। আইন তো কারও বয়স কমাতে পারে না। হেরে গিয়ে আরও ক্ষেপে গেল। হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে আমাকে ফোন করিয়েছে, টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি ব্লেয়ারকে দিয়ে ফোন করিয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি আসলেন-সবার কথা ইউনূসকে ব্যাংকের এমডি রাখতে হবে। জাতির কাছে প্রশ্ন করছি ব্যাংকের এমডির পদে কী মধু ছিল যে, ওইটুকু ওনার না হলে চলত না। নোবেল প্লাইজ যে পায়, সে একটি এমডি পদের জন্য এত লালায়িত কেন? সেটা সবার চিন্তা করে দেখা উচিত।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'বিশ্বব্যাংক যেন টাকাটা বন্ধ করে, তার জন্য বারবার ই-মেইল পাঠানো, হিলারির সঙ্গে দেখা করা, তাঁকে দিয়ে ই-মেইল পাঠানো; এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের একজন সম্পাদকও ভালোভাবে জড়িত ছিলেন। আমার প্রশ্ন এদের মধ্যে কী কোনো দেশপ্রেম আছে?'
পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে নানামুখী চাপের বর্ণনা দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'কার ডায়রিতে লিখে রাখছে ডিডটা হলে পরে অমুক এত পারসেন্ট, অমুক এত পারসেন্ট। এখানে মসিউর রহমান সাহেবের নাম, রেহানার নাম, নিক্সনের নাম, তারপর আমাদের আবুল হোসেনের নাম, সচিবের নাম; সবার নাম দিয়ে পারসেন্টেজ লিখে রেখেছে। আমি যখন ডিমান্ড করলাম আমাকে কাগজ দাও। আমি দুর্নীতির এভিডেন্স চাই। (পাওয়া গেল) একটা ডায়রির কাগজ; (সেখানে) পেনসিল দিয়ে লেখা। সেখানে তারিখ নেই, কিছু নেই। কোথায় বসে লিখেছে। এটা নাকি ওয়েস্টিন হোটেলে বসে লেখা। আমি বিশ্বব্যাংক ও আমেরিকানদের জবাব দিয়ে বলেছিলাম, হ্যাঁ, আমার সাথে তো হেলারি ক্লিনটন দেখা করতে এসেছিল। সে এই এই কোম্পানিকে কাজ দিন, এবং ওই ওই কোম্পানিকে কাজ দিলে এত পারসেন্ট পাবে; আমার ডায়রিতে লেখা আছে; দেব বের করে? তখন চুপ হয়ে গেছে।'
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে নানা জটিলতা, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেওয়া নানা চাপের কথা সবিস্তারে তুলে ধরেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা ওয়াল্ড ব্যাংককে দোষ দিচ্ছি। কিন্তু এই বিশ্বব্যাংককে দিয়ে তো এটা করানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট তাঁর শেষ কর্মদিবসে এটার টাকা বন্ধ করে দিয়ে যায়। তারপর তাদের চাপ হলো, অমুককে গ্রেপ্তার করতে হবে, অমুককে বাদ দিতে হবে, তাহলে আমরা টাকা দেব। কিন্তু আমি বললাম এটা করতে দেব না। কারণ কোনো টাকা ছাড় হয়নি। দুর্নীতিটা হলো কোত্থেকে? আমি তো তাদের কাছে এভিডেন্স চেয়েছি। কিন্তু তারা তো দিতে পারেনি। একটা কাগজও দিতে পারেনি। তাহলে তাদের এই অপবাদ আমরা নেব কেন?'
হাজার চাপেও নতি স্বীকার করেননি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি কিন্তু দমে যাইনি। সততা আমার শক্তি। আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগণকে অপমান করে কোনো কিছু করব? এটা নয়। এই একটা সিদ্ধান্ত। যখন আমরা সেতু করতে শুরু করলাম। সবার টনক নড়ল। সবাই সমীহ করতে শুরু করল যে, না বাংলাদেশ পারে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে।'
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে সংসদ নেতা বলেন, 'রেললাইন কেন করলাম, সেটা নিয়েও আমাদের অর্থনীতিবিদরা প্রশ্ন তুলেছেন। এই সেতুর দরকারটা কী ছিলো, এই কথাটাও কেউ কেউ বলেন। যখণ নির্মাণকাজ শুরু করি, অনেক জ্ঞানীগুনি বলেছিলেন, হ্যাঁ আওয়ামী লীগ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবে, কিন্তু সেতু সম্পন্ন করতে পারবে না। তাদের কেউ কেউ আমাদের সরকারের সাথেও ছিল। কত রকমের কথা এখানে শুনতে হয়েছে। আর এর একটাই কারণ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ছাড়া কিছু করা যাবে না, তাদের খবরদারি ছাড়া কোনো কিছু হবে না, বাংলাদেশের কোনো উন্নতি হবে না, আমাকে এটাই বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। আমি বলেছি, না, আমি মানি না। আমরা পারব। না পারলে করব না। কিন্তু আমার দেশকে অপমান করে টাকা নিয়ে করতে হবে? আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে, যদি এটা না হয় আপনার ইলেকশনের কী হবে? আমার কথা-জনগণ ভোট দেবে না। ক্ষমতায় আসব না। ২০০১ সালে তো আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি।'
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের মতামত জানতে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার তত্ত্বাবধানে একটি জনমত জরিপ পরিচালিত হয়েছে। টেলিফোনে এই জরিপে অংশ নিয়েছেন দেশের আটটি বিভাগের ১ হাজার মানুষ।
১৩ মিনিট আগেগত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ১৮৭ জন পুলিশ সদস্যের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে থানায় মামলা করা হচ্ছে। এমনকি তাঁদের গ্রেপ্তারে আলাদা টিমও গঠন করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সংকট’ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট দেশত্যাগ না করলে বিক্ষুব্ধ জনতার সহিংসতার শিকার হতে পারতেন হাসিনা। বিস্তারিত জানুন এই
৬ ঘণ্টা আগেদেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে