গরু মোটাতাজায় অনিয়ম যাচাইয়ে র‍্যাবের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২২, ১৪: ১৬
Thumbnail image

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটগুলোতে আসা পশুর মধ্যে মোটাতাজাকরণ ওষুধ প্রয়োগ হয়েছে কি না, তা জানতে হাটে পশু চিকিৎসক ও ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অভিযান চালাবে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় সার্বিকভাবে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে বাহিনীটি। 

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন, সড়কে চাঁদাবাজিসহ ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাবের সব ইউনিট সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে গৃহীত নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা কেন্দ্রিক নিরাপত্তা কার্যক্রম কয়েক দিন আগে থেকেই শুরু করেছে র‍্যাব। পশুর হাটকেন্দ্রিক এবং মানুষের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাবতলী পশুর হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমরা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি। করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা সবার মধ্যে মাস্ক বিতরণ করছি।’ 

বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ী হাটে আনা গরুর মধ্যে মোটাতাজাকরণ বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেন। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট পশু ডাক্তারসহ অভিযান পরিচালনা করছেন। তাঁরা দেখছেন, কেউ মোটাতাজাকরণ ওষুধ প্রয়োগ করেছেন কি না। কোনো পশুকে ওষুধ খাইয়ে হাটে আনা হলেও পশুর চিকিৎসক বিষয়টি বুঝবেন। এমন কোনো ব্যবসায়ীকে পাওয়া গেলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা। 

স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য কাজ করছেন র‍্যাবর‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘হাটকেন্দ্রিক জাল টাকার লেনদেন বৃদ্ধি পায়। আমাদের জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন রয়েছে। সন্দেহ হলে আমাদের কাছে এসে যে কেউ মেশিনের মাধ্যমে টাকা যাচাই করে নিতে পারবেন।’ 

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘যাঁরা বিভিন্ন জায়গা থেকে পশু নিয়ে এসেছেন, আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে আসার পথে কোথাও কোনো ধরনের ডাকাতি বা চাঁদাবাজি হয়নি বলে জানিয়েছেন। তার পরেও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। কোথাও এমন কোনো সম্ভাবনা থেকে থাকলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ 

কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না জানিয়ে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অনলাইনে প্রচুর পশু কেনাবেচা হচ্ছে। তাই অনলাইনেও মনিটরিং করা হচ্ছে। গ্রাহক যেন কোনোভাবেই প্রতারিত না হয়। আমরা যে কোনো সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’ 

ঈদযাত্রার বিষয়ে খন্দকার মঈন বলেন, ‘বাস টার্মিনাল, ট্রেনস্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে র‍্যাবের টিম রয়েছে। এবার ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে কালোবাজারির দৌরাত্ম্য কম ছিল। এর পরেও কমলাপুর থেকে টিকিট কালোবাজারির দায়ে আমরা ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।’ রাস্তায় ছিনতাই-চাঁদাবাজি প্রতিরোধে র‍্যাব কাজ করছে বলেও জানান তিনি। 

যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি দেখলে র‍্যাবকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দারা মাঠে আছে। ঈদে রাজধানী শূন্য হয়ে পড়বে। এলাকাভিত্তিক জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। বাসাবাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো যেন অ্যাকটিভ থাকে। যদি কেউ মনে করেন, তাহলে র‍্যাবের সাপোর্ট নিতে পারবেন। বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি করা হচ্ছে, র‍্যাবের পেট্রল টিম কাজ করছে।’ র‍্যাবের সব ইউনিট সর্বাত্মকভাবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত