উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
বিসিএস ১৩ ব্যাচের কর্মকর্তারা দুই বছর আগেই সচিব হয়েছেন। আবার কেউ কেউ অবসরেও গেছেন। এমনকি বিসিএস ২২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাও এক বছর আগে যুগ্ম সচিব হয়েছেন। অথচ বিসিএস ১৩ থেকে ২২ তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন কর্মকর্তা এখনো উপসচিব পদে কাজ করছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-দপ্তরে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যে হাসিনা সরকারের আমলে বঞ্চিত তিন (উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব) স্তরের অন্তত ৪৮৫ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেলেও সব ধরনের যোগ্যতা অর্জন করা অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের কপালে জোটেনি পদোন্নতি নামক ‘সোনার হরিণ’।
পদোন্নতির আশায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা। বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফসল বর্তমান সরকারের সময়েও প্রশাসনে বৈষম্যের শিকার তারা।
যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি চেয়ে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন ‘বঞ্চিত’কর্মকর্তা আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কিন্তু মেলেনি সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস। তাদের দাবি, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় পদোন্নতি দেওয়া হলেও তাদের পদোন্নতি নিয়ে নানা টালবাহানা করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
নিজেকে বঞ্চিত দাবি করা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. নুরুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিসিএস ১৩ থেকে ২২ তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন বঞ্চিত উপসচিব। আমাদের সঙ্গে যারা উপসচিব হয়েছিলেন তারা অনেকেই যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। আমি নিজেও বিসিএস ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি উপসচিব হয়েছি। ছয় বছরের বেশি সময় ধরে আমরা উপসচিব। আর কত? তিনি আরও বলেন, আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক মিটিং করেছি। আমাদের পদোন্নতির যৌক্তিকতা বুঝিয়েছি তারাও রাজি হয়েছেন। তবে সব প্রস্তুত থাকলেও এসএসবি সভা ডাকা নিয়ে টালবাহানা করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অর্থ বিভাগের উপসচিব জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব স্যারের কাছে গেছি, তাকে সবকিছু বলেছি। উনি তখন বললেন, এসএসবির সভাপতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব। যদি তারিখ দেন তবে আমি সেদিন মিটিং আয়োজন করবো। এরপর আমরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে যাই। তিনি বলেন-জনপ্রশাসন সচিব সময় চাইলেই আমি সময় দেবো। আমরা এটা যখন আজ আবার জনপ্রশাসন সচিবকে বললাম, তিনি বললেন তোমরা তো সিস্টেমই জানো না। আমরা আবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এটা বললে তিনি বলেন, আমি যেটা বলেছি সেটাইতো নিয়ম। আমিতো জানি না উনি রেডি কি না, উনি সময় চাইলেই আমি সময় দেবো। আমরা এভাবেই ইনি এবং উনির মধ্যে আছি।
এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের সময়ও একাধিকবার আন্তক্যাডার বৈষম্যের অবসান চেয়ে আবেদন করেছেন অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সবশেষ গত বছরের ৩ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি চেয়ে আবেদন দেন ১০৫ জন উপসচিব। তারা আবেদনে বলেছিলেন, পদোন্নতির সকল যোগ্যতা ও শর্ত পরিপালন করা সত্ত্বেও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি প্রদান না করে ন্যায়সংগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। নিয়মিত ব্যাচের যখন যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি হয়, তার আগেই অথবা সেই সময় অনেকে উক্ত পদে পদোন্নতির সকল শর্ত পূরণ করেছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।
শুধু তা-ই নয়, পরবর্তী অনেকগুলো জুনিয়র ব্যাচের কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন অথচ ১০৫ জন উপসচিবকে এখনো পদোন্নতি প্রদান করা হয়নি। এভাবে ক্রমাগত আমাদের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং জুনিয়রদের অধীনে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি বিশেষ সময়ের মধ্যে যাচ্ছি। বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আবেদন নিচ্ছি। যাচাই-বাছাই শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিসিএস ১৩ ব্যাচের কর্মকর্তারা দুই বছর আগেই সচিব হয়েছেন। আবার কেউ কেউ অবসরেও গেছেন। এমনকি বিসিএস ২২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাও এক বছর আগে যুগ্ম সচিব হয়েছেন। অথচ বিসিএস ১৩ থেকে ২২ তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন কর্মকর্তা এখনো উপসচিব পদে কাজ করছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-দপ্তরে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যে হাসিনা সরকারের আমলে বঞ্চিত তিন (উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব) স্তরের অন্তত ৪৮৫ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেলেও সব ধরনের যোগ্যতা অর্জন করা অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের কপালে জোটেনি পদোন্নতি নামক ‘সোনার হরিণ’।
পদোন্নতির আশায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা। বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফসল বর্তমান সরকারের সময়েও প্রশাসনে বৈষম্যের শিকার তারা।
যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি চেয়ে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন ‘বঞ্চিত’কর্মকর্তা আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কিন্তু মেলেনি সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস। তাদের দাবি, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় পদোন্নতি দেওয়া হলেও তাদের পদোন্নতি নিয়ে নানা টালবাহানা করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
নিজেকে বঞ্চিত দাবি করা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. নুরুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিসিএস ১৩ থেকে ২২ তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন বঞ্চিত উপসচিব। আমাদের সঙ্গে যারা উপসচিব হয়েছিলেন তারা অনেকেই যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। আমি নিজেও বিসিএস ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি উপসচিব হয়েছি। ছয় বছরের বেশি সময় ধরে আমরা উপসচিব। আর কত? তিনি আরও বলেন, আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক মিটিং করেছি। আমাদের পদোন্নতির যৌক্তিকতা বুঝিয়েছি তারাও রাজি হয়েছেন। তবে সব প্রস্তুত থাকলেও এসএসবি সভা ডাকা নিয়ে টালবাহানা করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অর্থ বিভাগের উপসচিব জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব স্যারের কাছে গেছি, তাকে সবকিছু বলেছি। উনি তখন বললেন, এসএসবির সভাপতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব। যদি তারিখ দেন তবে আমি সেদিন মিটিং আয়োজন করবো। এরপর আমরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে যাই। তিনি বলেন-জনপ্রশাসন সচিব সময় চাইলেই আমি সময় দেবো। আমরা এটা যখন আজ আবার জনপ্রশাসন সচিবকে বললাম, তিনি বললেন তোমরা তো সিস্টেমই জানো না। আমরা আবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এটা বললে তিনি বলেন, আমি যেটা বলেছি সেটাইতো নিয়ম। আমিতো জানি না উনি রেডি কি না, উনি সময় চাইলেই আমি সময় দেবো। আমরা এভাবেই ইনি এবং উনির মধ্যে আছি।
এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের সময়ও একাধিকবার আন্তক্যাডার বৈষম্যের অবসান চেয়ে আবেদন করেছেন অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সবশেষ গত বছরের ৩ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি চেয়ে আবেদন দেন ১০৫ জন উপসচিব। তারা আবেদনে বলেছিলেন, পদোন্নতির সকল যোগ্যতা ও শর্ত পরিপালন করা সত্ত্বেও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি প্রদান না করে ন্যায়সংগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। নিয়মিত ব্যাচের যখন যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি হয়, তার আগেই অথবা সেই সময় অনেকে উক্ত পদে পদোন্নতির সকল শর্ত পূরণ করেছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।
শুধু তা-ই নয়, পরবর্তী অনেকগুলো জুনিয়র ব্যাচের কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন অথচ ১০৫ জন উপসচিবকে এখনো পদোন্নতি প্রদান করা হয়নি। এভাবে ক্রমাগত আমাদের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং জুনিয়রদের অধীনে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি বিশেষ সময়ের মধ্যে যাচ্ছি। বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আবেদন নিচ্ছি। যাচাই-বাছাই শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৪ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে