কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের সঙ্গে প্রথম ২০১০ সালে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। এর পর আরও দুটি চুক্তি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে মোট ৮০০ কোটি ডলারের চুক্তি রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই তিন চুক্তির আওতায় মাত্র ৯৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার ছাড় করেছে ভারত, যা মোট চুক্তির ১২ শতাংশেরও কম।
ভারতের সঙ্গে প্রথম ১০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয় ২০১০ সালে। এর পর ২০১৫ ও ২০১৭ সালে হওয়া দুটি ঋণচুক্তি নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৮০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। এর মধ্যে পদ্মা সেতুর অনুদানের অংশও রয়েছে। ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত ঋণছাড় হয়েছিল ৭০ কোটি ডলার। তবে করোনার মধ্যে ঋণছাড়ে গতি বাড়ে। এই সময়ে ভারত চুক্তির আওতায় ঋণছাড় করে প্রায় ২৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত—এই ১২ বছরে দেশটি প্রায় ৯৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার ছাড় করেছে, যা মোট চুক্তির ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারি পর্যায়ে ঋণ বা লাইনস অব ক্রেডিটের (এলওসি) অধীন প্রকল্পসমূহের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় গতকাল। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, উচ্চ পর্যায়ের প্রকল্প মনিটরিং কমিটির দ্বিতীয় এ সভা গতকাল রোববার বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অনুষ্ঠিত হয়। এতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এবং বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
সভায় বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অর্থ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা ছিলেন। ভারতের পক্ষে ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশন ও এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করতে উভয় পক্ষ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে প্রক্রিয়াগত সমস্যাগুলোকে মোকাবিলার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ পরামর্শ নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যৌথ উদ্যোগে এটি দ্বিতীয় সভা। প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত বছরের ৩ জানুয়ারি।
এবারের বৈঠকে প্রথম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে ৷ ভারতের এলওসির অধীনে বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। পদ্মা সেতু প্রকল্পে ভারতের অনুদান বাদ দিলে এর আওতায় মোট প্রতিশ্রুত অর্থের পরিমাণ প্রায় ৭৮৬ কোটি ডলার।
তিনটি ঋণচুক্তির আওতাধীন অর্থছাড়ে যে প্রকল্পগুলো নেওয়ার কথা, তার সবগুলো এখনো গৃহীত হয়নি। যেগুলো হয়েছে, তার চুক্তিমূল্য ২০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ভারত প্রায় ৯৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার ছাড় করেছে। প্রকল্প গ্রহণ, প্রকল্পভিত্তিক চুক্তি সম্পন্ন ও সে অনুযায়ী অর্থছাড়ের লক্ষ্যে এখন উভয় পক্ষই চাইছে পুরো প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে। এখন পর্যন্ত হওয়া অগ্রগতিতে উভয় পক্ষই সর্বশেষ বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
করোনা সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ বৃদ্ধিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে দুই দেশ। বৈঠকে বলা হয়, উভয় পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে এক বছরে অর্থ বিতরণের গতি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
হাইকমিশন জানায়, উভয় পক্ষই বৈঠকের সময় এখন পর্যন্ত গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষের দ্বারা ভারতীয় এলওসি প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির ব্যাখ্যার মান নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা, প্রকল্প প্রস্তুতি এবং উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) ত্বরান্বিত করা, বিড যোগ্যতার মানদণ্ড যুক্তিযুক্ত করা, বিল প্রক্রিয়াকরণ চক্র সংক্ষিপ্ত ও সরলীকরণ, চূড়ান্ত চুক্তি প্রদান ত্বরান্বিত করা, ভিসা প্রদানের পদ্ধতি সহজীকরণ ইত্যাদি। কারিগরি কমিটি কর্তৃক গৃহীত পরবর্তী পদক্ষেপগুলো উচ্চপর্যায়ের কমিটি চিহ্নিত করেছে। এ নয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো আলোচনা করবে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার প্রথম ঋণচুক্তি হয়েছিল ১০০ কোটি ডলারের, যা পরে ৮৬ কোটি ২০ লাখ ডলারে নেমে আসে। বাকিটা পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনুদান হিসেবে দিচ্ছে ভারত। প্রথম ঋণচুক্তির আওতায় ২০২০ সালের ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ৬০ কোটি ৭ লাখ ডলার ছাড় হয়েছে ভারত থেকে। প্রথম ঋণচুক্তির আওতায় প্রকল্প ছিল ১৫ টি।
২০১৫ সালে জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে দ্বিতীয় ঋণচুক্তির আওতায় ১৬টি প্রকল্পে ২০০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত। ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে দুই দেশের প্রাথমিকভাবে প্রতিরক্ষা খাত এবং ১৭ প্রকল্পের জন্য মোট ৫০০ কোটি ডলারের তৃতীয় ঋণচুক্তি সই হয়। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ সুবিধা দেয় ভারত। বাকি ৪৫০ কোটি ডলার দেওয়া হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নে। শুরুতে ১৭টি প্রকল্প থাকলেও পরে সোলার নিয়ে আরেকটি প্রকল্প এ ঋণচুক্তিতে যোগ হয়। আর চট্টগ্রাম ড্রাই ডক এবং বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্প বাতিল হয়ে যায়।
ভারতের ঋণচুক্তি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঋণচুক্তিতে থাকা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সময়সীমা একটি বড় উপাদান। কারণ, ঋণচুক্তি যখন হয়েছিল এবং প্রকল্প যখন নেওয়া হয়েছিল, তখন প্রকল্প বাস্তবায়নের যে খরচ ধরা হয়, তার সঙ্গে এখন যে খরচ হচ্ছে, তার অনেক ব্যবধান রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে ভারতীয় ঋণে যে প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়েছে, তার অনেকগুলোরই প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে। আরও দেরি হলে প্রকল্প ব্যয় আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে।’
ভারতের সঙ্গে প্রথম ২০১০ সালে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। এর পর আরও দুটি চুক্তি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে মোট ৮০০ কোটি ডলারের চুক্তি রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই তিন চুক্তির আওতায় মাত্র ৯৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার ছাড় করেছে ভারত, যা মোট চুক্তির ১২ শতাংশেরও কম।
ভারতের সঙ্গে প্রথম ১০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয় ২০১০ সালে। এর পর ২০১৫ ও ২০১৭ সালে হওয়া দুটি ঋণচুক্তি নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৮০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। এর মধ্যে পদ্মা সেতুর অনুদানের অংশও রয়েছে। ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত ঋণছাড় হয়েছিল ৭০ কোটি ডলার। তবে করোনার মধ্যে ঋণছাড়ে গতি বাড়ে। এই সময়ে ভারত চুক্তির আওতায় ঋণছাড় করে প্রায় ২৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত—এই ১২ বছরে দেশটি প্রায় ৯৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার ছাড় করেছে, যা মোট চুক্তির ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারি পর্যায়ে ঋণ বা লাইনস অব ক্রেডিটের (এলওসি) অধীন প্রকল্পসমূহের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় গতকাল। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, উচ্চ পর্যায়ের প্রকল্প মনিটরিং কমিটির দ্বিতীয় এ সভা গতকাল রোববার বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অনুষ্ঠিত হয়। এতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এবং বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
সভায় বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অর্থ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা ছিলেন। ভারতের পক্ষে ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশন ও এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করতে উভয় পক্ষ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে প্রক্রিয়াগত সমস্যাগুলোকে মোকাবিলার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ পরামর্শ নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যৌথ উদ্যোগে এটি দ্বিতীয় সভা। প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত বছরের ৩ জানুয়ারি।
এবারের বৈঠকে প্রথম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে ৷ ভারতের এলওসির অধীনে বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। পদ্মা সেতু প্রকল্পে ভারতের অনুদান বাদ দিলে এর আওতায় মোট প্রতিশ্রুত অর্থের পরিমাণ প্রায় ৭৮৬ কোটি ডলার।
তিনটি ঋণচুক্তির আওতাধীন অর্থছাড়ে যে প্রকল্পগুলো নেওয়ার কথা, তার সবগুলো এখনো গৃহীত হয়নি। যেগুলো হয়েছে, তার চুক্তিমূল্য ২০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ভারত প্রায় ৯৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার ছাড় করেছে। প্রকল্প গ্রহণ, প্রকল্পভিত্তিক চুক্তি সম্পন্ন ও সে অনুযায়ী অর্থছাড়ের লক্ষ্যে এখন উভয় পক্ষই চাইছে পুরো প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে। এখন পর্যন্ত হওয়া অগ্রগতিতে উভয় পক্ষই সর্বশেষ বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
করোনা সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ বৃদ্ধিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে দুই দেশ। বৈঠকে বলা হয়, উভয় পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে এক বছরে অর্থ বিতরণের গতি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
হাইকমিশন জানায়, উভয় পক্ষই বৈঠকের সময় এখন পর্যন্ত গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষের দ্বারা ভারতীয় এলওসি প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির ব্যাখ্যার মান নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা, প্রকল্প প্রস্তুতি এবং উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) ত্বরান্বিত করা, বিড যোগ্যতার মানদণ্ড যুক্তিযুক্ত করা, বিল প্রক্রিয়াকরণ চক্র সংক্ষিপ্ত ও সরলীকরণ, চূড়ান্ত চুক্তি প্রদান ত্বরান্বিত করা, ভিসা প্রদানের পদ্ধতি সহজীকরণ ইত্যাদি। কারিগরি কমিটি কর্তৃক গৃহীত পরবর্তী পদক্ষেপগুলো উচ্চপর্যায়ের কমিটি চিহ্নিত করেছে। এ নয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো আলোচনা করবে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার প্রথম ঋণচুক্তি হয়েছিল ১০০ কোটি ডলারের, যা পরে ৮৬ কোটি ২০ লাখ ডলারে নেমে আসে। বাকিটা পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনুদান হিসেবে দিচ্ছে ভারত। প্রথম ঋণচুক্তির আওতায় ২০২০ সালের ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ৬০ কোটি ৭ লাখ ডলার ছাড় হয়েছে ভারত থেকে। প্রথম ঋণচুক্তির আওতায় প্রকল্প ছিল ১৫ টি।
২০১৫ সালে জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে দ্বিতীয় ঋণচুক্তির আওতায় ১৬টি প্রকল্পে ২০০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত। ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে দুই দেশের প্রাথমিকভাবে প্রতিরক্ষা খাত এবং ১৭ প্রকল্পের জন্য মোট ৫০০ কোটি ডলারের তৃতীয় ঋণচুক্তি সই হয়। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ সুবিধা দেয় ভারত। বাকি ৪৫০ কোটি ডলার দেওয়া হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নে। শুরুতে ১৭টি প্রকল্প থাকলেও পরে সোলার নিয়ে আরেকটি প্রকল্প এ ঋণচুক্তিতে যোগ হয়। আর চট্টগ্রাম ড্রাই ডক এবং বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্প বাতিল হয়ে যায়।
ভারতের ঋণচুক্তি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঋণচুক্তিতে থাকা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সময়সীমা একটি বড় উপাদান। কারণ, ঋণচুক্তি যখন হয়েছিল এবং প্রকল্প যখন নেওয়া হয়েছিল, তখন প্রকল্প বাস্তবায়নের যে খরচ ধরা হয়, তার সঙ্গে এখন যে খরচ হচ্ছে, তার অনেক ব্যবধান রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে ভারতীয় ঋণে যে প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়েছে, তার অনেকগুলোরই প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে। আরও দেরি হলে প্রকল্প ব্যয় আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব মামলা চলছিল, তা সংশোধিত আইনেও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আজ সোমবার প্রসিকিউশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর সংশোধনী তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনের আ
৬ ঘণ্টা আগেজুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ আরও ৪৫ জনকে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেওয়া হয়
৯ ঘণ্টা আগেসংস্কারের অংশ হিসেবে গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রায়ণের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।
১০ ঘণ্টা আগে