রেলের সিগন্যাল ত্রুটির কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি: সংসদে রেলমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ১৯: ২৪
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৪, ১৯: ৫৬

বাংলাদেশ রেলওয়েতে সিগন্যাল সিস্টেমের ত্রুটির কারণে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন। 

জিল্লুল হাকিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের সমগ্র রেলপথকে ডাবল লাইনে রূপান্তর, দেশের সব জেলায় রেলপথের সংযোগ স্থাপন, ধারাবাহিকভাবে সমগ্র রেলপথের সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং উন্নত মানের ইঞ্জিন ও কোচ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েতে দুর্ঘটনা পরিহারে যেকোনো জরুরি অবস্থায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন থামানোর লক্ষ্যে অটোমেটিক ট্রেন স্টপ বা প্রটোকেশন (এটিএস বা এটিপি) প্রযুক্তি বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, দেশে ৩ হাজার ৯৩ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ১ হাজার ৬৭৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার মিটারগেজ ও ব্রডগেজ, ৮৭৯ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ এবং ৫৩৩ দশমিক ৭০ ডুয়েলগজ রেললাইন আছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মাস্টার প্ল্যান যা ২০১৬ থেকে ২০৪৫ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, সেই মাস্টার প্ল্যান অনুসারে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সংযুক্ত হওয়ার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে রেললাইন একই গেজে (Unigauge) রূপান্তরের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে সব মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনে রূপান্তর করা হবে এবং পরবর্তী সময় ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে। মাস্টার প্ল্যানে এই বিষয়ে ১৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা ২০৪৫ সালের মধ্যে পর্যাপ্ত অর্থায়ন প্রাপ্তি সাপেক্ষে সম্পন্ন করা বলে আশা করা যায়। 

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ১৫৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকার টোল আদায়

কুমিল্লা-৮ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন টোল আদায় করা মহাসড়কের সংখ্যা চারটি। যেগুলোতে চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ১৮৪ কোটি ৩৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে—বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে (ধলেশ্বরী ও ভাঙ্গা অংশ) ১৫৫ কোটি ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের রুস্তমপুর টোল প্লাজায় ১৫ কোটি ২৩ লাখ ৮৮ হাজার, নাটোরের হাটিকুমরুল-বনপাড়া সড়কে ১১ কোটি ৪৫ হাজার এবং চট্টগ্রামের পোর্ট একসেস রোডে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। 

নোয়াখালী-৩ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেতু বিভাগের আওতাধীন সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় তিনটি সেতু থেকে টোল আদায় করা হয়। সেতু তিনটি হলো—যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু, ধলেশ্বরী নদীর ওপর মুক্তারপুর সেতু এবং পদ্মা সেতু। 

চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ওই সেতু থেকে আদায় করা টোলের পরিমাণ হচ্ছে পদ্মা সেতু ৮১১ কোটি ৫৭ লাখ, বঙ্গবন্ধু সেতু ৬৪৮ কোটি ৮৭ লাখ এবং মুক্তারপুর সেতু থেকে ১১ কোটি ৬১ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে। 

মামুনুর রশীদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তায় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত মূল্য ৪ হাজার ৯৮০ কোটি ১৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা। যার মধ্যে বিশ্বব্যাংক ৩৭ হাজার ৫৯ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার টাকা বিনিয়োগ করবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত