নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত মে মাসে দেশে ৪৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৮ জন নিহত এবং ৬৩১ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে ৬৭ জন নারী ও ৭৮টি শিশু। এই সময়ে ৬টি নৌ দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৫টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।
মে মাসে নিহতের সংখ্যা কমেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিলেন ১৬ দশমিক ৫৬ জন। মে মাসে গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছেন ১৩ দশমিক ৬ জন। এ হিসাবে মে মাসে প্রাণহানি কমেছে ১৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে প্রাণহানি কমার এই হার কোনো টেকসই উন্নতির সূচক নির্দেশ করছে না। কারণ, সড়ক পরিবহন খাতে তেমন কোনো ব্যবস্থাপনাগত উন্নয়ন ঘটেনি।
প্রতিবেদনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ১৫৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪১ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭২ জন, অর্থাৎ ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন সম্পর্কে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৫টি (৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে; ২০১টি (৪০ দশমিক ৯৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে; ৭৩টি (১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে; ৪৮টি (৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৪টি (শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, প্রাণহানি ২৫ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ, প্রাণহানি ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, প্রাণহানি ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ; খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬ দশমিক ১৭ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ; সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ; রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ, প্রাণহানি ৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। এ বিভাগে ১৩৪টি দুর্ঘটনায় নিহত ১০২ জন হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২১টি দুর্ঘটনা এবং বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একক জেলা হিসেবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ২৯টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম শরীয়তপুর ও রংপুর জেলায়। এই ২টি জেলায় সামান্য মাত্রার ৭টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। আর রাজধানী ঢাকায় ২৬টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত এবং ৪৩ জন আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনা রোধে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়ানো; চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা; বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়ানো ও ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করাসহ ১০ দফা সুপারিশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
গত মে মাসে দেশে ৪৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৮ জন নিহত এবং ৬৩১ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে ৬৭ জন নারী ও ৭৮টি শিশু। এই সময়ে ৬টি নৌ দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৫টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।
মে মাসে নিহতের সংখ্যা কমেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিলেন ১৬ দশমিক ৫৬ জন। মে মাসে গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছেন ১৩ দশমিক ৬ জন। এ হিসাবে মে মাসে প্রাণহানি কমেছে ১৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে প্রাণহানি কমার এই হার কোনো টেকসই উন্নতির সূচক নির্দেশ করছে না। কারণ, সড়ক পরিবহন খাতে তেমন কোনো ব্যবস্থাপনাগত উন্নয়ন ঘটেনি।
প্রতিবেদনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ১৫৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪১ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭২ জন, অর্থাৎ ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন সম্পর্কে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৫টি (৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে; ২০১টি (৪০ দশমিক ৯৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে; ৭৩টি (১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে; ৪৮টি (৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৪টি (শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, প্রাণহানি ২৫ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ, প্রাণহানি ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, প্রাণহানি ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ; খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬ দশমিক ১৭ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ; সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ; রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ, প্রাণহানি ৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। এ বিভাগে ১৩৪টি দুর্ঘটনায় নিহত ১০২ জন হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২১টি দুর্ঘটনা এবং বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একক জেলা হিসেবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ২৯টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম শরীয়তপুর ও রংপুর জেলায়। এই ২টি জেলায় সামান্য মাত্রার ৭টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। আর রাজধানী ঢাকায় ২৬টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত এবং ৪৩ জন আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনা রোধে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়ানো; চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা; বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়ানো ও ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করাসহ ১০ দফা সুপারিশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
৬ ঘণ্টা আগেদেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
৭ ঘণ্টা আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
৮ ঘণ্টা আগে