সমন্বয়কদের জুলাই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নেই: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ০৪
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ৩০
Thumbnail image
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ঘোষিত হতে যাওয়া জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, সরকার এই উদ্যোগকে একটি বেসরকারি প্রয়াস হিসেবে দেখছে।

আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘এটি একটি প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ। আমরা এটিকে বেসরকারি উদ্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করছি। সরকারের সঙ্গে এর কোনো সংযোগ নেই। যাঁরা এটি সমর্থন করছেন, তাঁরা মূলত বেসরকারি উদ্যোগকে সমর্থন দিচ্ছেন।’

সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৩১ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে। এই উপলক্ষে আজ রোববার দুপুরে বাংলামোটরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।

সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা চাই, মুজিববাদী সংবিধানকে ইতিহাসের অধ্যায় থেকে মুছে ফেলা হবে। যে স্থান থেকে এক দফার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সেই একই স্থানে মুজিববাদী বাহাত্তরের সংবিধানের সমাপ্তি ঘোষণা হবে। আমরা আশা করি, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আসলে ৫ আগস্টেই প্রকাশ হওয়া উচিত ছিল। তা না হওয়ায় গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী মহলসহ বিভিন্ন স্থানে ফ্যাসিবাদের পক্ষে শক্তি সক্রিয় হয়ে ষড়যন্ত্র করছে। দুই হাজারের বেশি শহীদ ও ২০ হাজারের বেশি আহতের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বৈধতা অর্জন করা এই বিপ্লবের লিজিটিমেসি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বর্তমানে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা বিপ্লবের একটি ধাপ সফলভাবে অতিক্রম করেছি। তবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আরও আগে প্রকাশ করা উচিত ছিল।’

সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই ঘোষণাপত্র ফ্যাসিবাদবিরোধী সব মানুষের আশা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারবে। এটি বিভিন্ন মত, ধর্ম ও বয়সের মানুষের অংশগ্রহণে আরও সুনির্দিষ্টভাবে প্রণয়ন করা হচ্ছে।’

তিনি জানান, ইতিমধ্যে ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন অংশগ্রহণকারীর মতামত নিয়ে তা সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধনের কাজ চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত