নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্য দুই অভিযুক্ত হলেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর।
আজ বুধবার দুদকের কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছন সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এপিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের নামে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, লিকুর বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর নামে রামদিয়া কাশিয়ানীতে মেসার্স রাফি এগ্রো এন্ড ফিসারিজের কয়েক শত বিঘা জমি; মোহাম্মদপুর মধুসিটিতে ফ্ল্যাট ক্রয়; ঢাকার উত্তরায় ১৭ নম্বর সেক্টরে ৩ নম্বর রোডে ৪৬ নম্বর সরকারী প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দ নেয়া; পৈত্রিক জমিতে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ; শ্যালকের নামে ৬ তলা বাড়ি, ১০ তলা কর্মাশিয়াল ও আবাসিক ভবন, মোহাম্মদপুরে মধুসিটিতে ১ বিঘা জমির উপর ৬ তলা ভবন নির্মাণ, কুয়াকাটার ওশান ব্লু রিসোর্টসহ বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ছিলো ১৫ হাজার টাকা টাকা যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৬৫ টাকা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক এই এমপির নিজ নামে ১ টয়োটা প্রাডো জিপ যার মূল্য ৩৭ লাখ ২০ হাজার ও ১টি টয়োটা ল্যান্ড ক্রজার স্টেশন ওয়াগন যার মূল্য ৮৪ লাখ ৭৫ হাজার আছে। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৪ একর জমি, নিজ নামে বরাদ্দকৃত রাজউকের ৩ কাঠার প্লট, ১৪ গন্ডা অকৃষি জমি, ৪ কাঠার প্লট, চকবাজার সুপার মার্কেটে দোকান রয়েছে। স্ত্রীর নামে ৫ তলা বিশিষ্ট বাড়ি, ঢাকার কাফরুলের ১ হাজার ৮৭২ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে।
অন্যদিকে, ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখরের বিরুদ্ধেও আনা হয় দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ। অভিযোগে বলা হয় ড. শেখর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, অভিযোগ তিনি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় স্বজনপ্রীতি ও অর্থের বিনিময়ে বহু শিক্ষার্থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি; অর্থের বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। নিয়োগে ঠিকাদার কর্তৃক জামানতকৃত টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে রুপালি ব্যাংকে স্থানান্তর করে প্রতি কোটিতে ৫০ হাজার টাকা করে কমিশন গ্রহণ এবং গাড়ির জ্বালানি বাবদ সরকারি অর্থ আত্মসাত করেছেন।
অভিযোগ বলা হয়, ড. সৌমিত্র শেখর তার গ্রামের বাড়ি শেরপুরে ডুপ্লেক্স বাড়ি, ঢাকার ধানমন্ডিতে ও উত্তরায় একাধিক ফ্ল্যাট, শেরপুরে জমি ক্রয় করেছেন। তার অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত-আয় বর্হিভূত সম্পদ রয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্য দুই অভিযুক্ত হলেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর।
আজ বুধবার দুদকের কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছন সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এপিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের নামে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, লিকুর বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর নামে রামদিয়া কাশিয়ানীতে মেসার্স রাফি এগ্রো এন্ড ফিসারিজের কয়েক শত বিঘা জমি; মোহাম্মদপুর মধুসিটিতে ফ্ল্যাট ক্রয়; ঢাকার উত্তরায় ১৭ নম্বর সেক্টরে ৩ নম্বর রোডে ৪৬ নম্বর সরকারী প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দ নেয়া; পৈত্রিক জমিতে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ; শ্যালকের নামে ৬ তলা বাড়ি, ১০ তলা কর্মাশিয়াল ও আবাসিক ভবন, মোহাম্মদপুরে মধুসিটিতে ১ বিঘা জমির উপর ৬ তলা ভবন নির্মাণ, কুয়াকাটার ওশান ব্লু রিসোর্টসহ বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ছিলো ১৫ হাজার টাকা টাকা যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৬৫ টাকা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক এই এমপির নিজ নামে ১ টয়োটা প্রাডো জিপ যার মূল্য ৩৭ লাখ ২০ হাজার ও ১টি টয়োটা ল্যান্ড ক্রজার স্টেশন ওয়াগন যার মূল্য ৮৪ লাখ ৭৫ হাজার আছে। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৪ একর জমি, নিজ নামে বরাদ্দকৃত রাজউকের ৩ কাঠার প্লট, ১৪ গন্ডা অকৃষি জমি, ৪ কাঠার প্লট, চকবাজার সুপার মার্কেটে দোকান রয়েছে। স্ত্রীর নামে ৫ তলা বিশিষ্ট বাড়ি, ঢাকার কাফরুলের ১ হাজার ৮৭২ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে।
অন্যদিকে, ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখরের বিরুদ্ধেও আনা হয় দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ। অভিযোগে বলা হয় ড. শেখর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, অভিযোগ তিনি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় স্বজনপ্রীতি ও অর্থের বিনিময়ে বহু শিক্ষার্থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি; অর্থের বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। নিয়োগে ঠিকাদার কর্তৃক জামানতকৃত টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে রুপালি ব্যাংকে স্থানান্তর করে প্রতি কোটিতে ৫০ হাজার টাকা করে কমিশন গ্রহণ এবং গাড়ির জ্বালানি বাবদ সরকারি অর্থ আত্মসাত করেছেন।
অভিযোগ বলা হয়, ড. সৌমিত্র শেখর তার গ্রামের বাড়ি শেরপুরে ডুপ্লেক্স বাড়ি, ঢাকার ধানমন্ডিতে ও উত্তরায় একাধিক ফ্ল্যাট, শেরপুরে জমি ক্রয় করেছেন। তার অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত-আয় বর্হিভূত সম্পদ রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন (জেআরসি) বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ২৩ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ জনগণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের কাছে মতামত চেয়েছে কমি
২ ঘণ্টা আগেফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
৪ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে