মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাসস 
Thumbnail image
আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: বাসস

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রস্তাবকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এটি মমতা ব্যানার্জির ‘চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের’ অংশ। এ ধরনের প্রস্তাবে কোনো ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মমতা ব্যানার্জির প্রস্তাব প্রসঙ্গে তৌহিদ বলেন, ‘এগুলো মমতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসূচক মন্তব্য। আমি এ ধরনের পরামর্শের কোন ভিত্তি দেখি না।’

ব্রিফিংয়ের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মিডিয়ার একটি অংশ, বিশেষ করে ভারতের গণমাধ্যম, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। আমরা কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করেছি যে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সব সময় বজায় রয়েছে।’

তৌহিদ হোসেন সংখ্যালঘু নির্যাতনের কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা স্বীকার করলেও সেগুলোকে সামাজিক আদর্শের প্রতিফলন নয় বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা একেবারে অস্বীকার করছি না, তবে সেগুলো বিচ্ছিন্ন এবং বিভিন্ন আমলেই ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কেউ এটি বিঘ্নিত করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি আমাদের সমাজের গভীরে প্রোথিত। সরকার এটিকে বজায় রাখতে এবং যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অটল।’

অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থান জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর সঙ্গে ভারতের কিছু গণমাধ্যম যুক্ত। তবে বাংলাদেশের সরকার সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, ‘আমরা কূটনীতিকদের জানিয়েছি, দেশে কোনো সমস্যা নেই—এ কথা বলছি না। সমস্যা রয়েছে, তবে আমরা সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি এবং অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়েছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কূটনীতিকদের অবহিত করা হয়েছে।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা আমাদের লক্ষ্য। এই মাসে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

ব্রিফিংয়ে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের একজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা সংবেদনশীল বিষয়ে ভারসাম্যপূর্ণ সংবাদ পরিবেশনের ওপর জোর দেন এবং কূটনীতিকদের গঠনমূলক সমালোচনার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত