ডা. এম ইকবাল আর্সলান
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে পরামর্শ না করেই ঢালাওভাবে চিকিৎসকদের বদলি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের যুক্তি হলো, করোনার চিকিৎসার জন্যই চিকিৎসকদের বদলি করা হয়েছে। যদি সেটাই হয়, তাহলে যেসব জায়গায় করোনা রোগীর চাপ বেশি, করোনার চিকিৎসা চলমান, সেসব জায়গা থেকে কেন চিকিৎসকদের সরানো হলো? এই বদলির আগে হাসপাতালের স্থানীয় ব্যবস্থাপকদের সঙ্গেও কথা বলেনি মন্ত্রণালয়।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তাঁদের কোনো পরামর্শ নেওয়া হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা, এমনভাবে এই বদলি করা হয়েছে যে অনেক জায়গায় পিসিআর ল্যাব বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, পিসিআর ল্যাব একটা বিশাল যজ্ঞ। জনবলের সংকটের কারণে ভাইরোলজি, মাইক্রো বায়োলজির লোকেরা ছাড়াও অন্যান্য বিভাগের লোকেরাও পিসিআর ল্যাবে কাজ করছেন। ঢালাও বদলির কারণে এই ল্যাবগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত ছিল।
ইউনিয়ন সাব–সেন্টারে যেসব চিকিৎসক দিয়ে রেখেছে, সেখানে তাঁদের কোনো কাজ নেই। আসলে কোনো সময়ই তাঁদের কোনো কাজ থাকে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে বসে বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শ করে সেসব চিকিৎসককে তো বদলি করা যেত। স্থানীয় ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র চিকিৎসকেরা এই আদেশের ফলে হতাশ। এটা চিকিৎসাব্যবস্থার সহায়ক হবে, নাকি চিকিৎসাসেবায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে, সেটাই মন্ত্রণালয় বুঝতে পারছে না।
যে চিকিৎসকদের বদলি করা হয়েছে, তার মধ্যে দেখলাম মৃত চিকিৎসকও আছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হয়তো এর দায় অধিদপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগের ওপর চাপাবে। মন্ত্রণালয় হয়তো বলবে, অধিদপ্তর তথ্য হালনাগাদ করেনি। কিন্তু মন্ত্রণালয়েও তো মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ আছে। কোথায়, কোন চিকিৎসক মারা গেছেন, সেই তথ্য তো তাদের কাছেও আছে। তাদের তো এই তালিকা দেওয়া হয়েছে। তাহলে মন্ত্রণালয় কী করেছে?
এর ফলশ্রুতিতে বলা যায়, শুরু থেকে অদ্যাবধি প্রধানমন্ত্রীর এত হস্তক্ষেপের পরেও মন্ত্রণালয় আর অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের তীব্র অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। করোনা যখন শুরু হয়, তখনই আমি বলেছিলাম, এখন করোনার রাজনীতি আর অর্থনীতি শুরু হবে। রাজনীতি আর অর্থনীতির ওপর আমরা করোনার প্রভাব দেখেছি। এখন অধিদপ্তরের সঙ্গে মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের সঙ্গে বিভাগ, বিভাগের সঙ্গে বিভাগের রাজনীতি আমরা দেখছি।
করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড দেখছি আমরা। অনেকে বুঝতেই পারছেন না আসলে কতটা খারাপ পরিস্থিতিতে আমরা আছি। কিছু লোক আছেন, যাঁরা মজা দেখতে বের হচ্ছেন। কিছু কিছু জায়গায় পুলিশ বেশ কঠোর হচ্ছে, আমি এটাকে সমর্থন করি। তবে কিছু লোক আসলেই অন্ন সংস্থানের জন্য বের হচ্ছেন। এঁদের আসলে খাবার প্রয়োজন। খাবারের সংস্থান না করে তাঁদের গৃহে বন্দী রাখার অধিকার আসলে আমাদের নেই। তাদের খাবারের সংস্থান না করে লকডাউন সফল করা সম্ভব নয়। লকডাউন যদি আমরা সফল করতে পারি, তাহলেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আর করোনা নিয়ন্ত্রণে এলে হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে চাপ বাড়তে বাড়তে একসময় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনাও ভেঙে পড়বে। পরিস্থিতি এমন হতে পারে যে, সবাই হাত–পা ছেড়ে দিতে পারে। কারণ, যখন আমাদের চিকিৎসক ও তাঁদের সহকারীরা দেখবেন কিছু করতে পারছি না, তখন হতাশা থেকেই তাঁদের কর্মস্পৃহা শেষ হয়ে যাবে। সেটা হবে মহাবিপর্যয়। এ ব্যাপারে সরকারের সব সংস্থা, বাহিনী, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সতর্ক হওয়া উচিত।
আরেকটি বিষয় হলো, সরকার লকডাউন দিল, কিন্তু বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান খোলা। চাকরি বাঁচানোর স্বার্থে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের রাস্তায় বের হতে হচ্ছে। কিছু অফিস খোলা, কিছু বন্ধ। এগুলো হলো আমাদের সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত। এই সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্তের জায়গা থেকে বের হতে না পারলে লকডাউন বা বিধিনিষেধ কোনোটাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে পরামর্শ না করেই ঢালাওভাবে চিকিৎসকদের বদলি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের যুক্তি হলো, করোনার চিকিৎসার জন্যই চিকিৎসকদের বদলি করা হয়েছে। যদি সেটাই হয়, তাহলে যেসব জায়গায় করোনা রোগীর চাপ বেশি, করোনার চিকিৎসা চলমান, সেসব জায়গা থেকে কেন চিকিৎসকদের সরানো হলো? এই বদলির আগে হাসপাতালের স্থানীয় ব্যবস্থাপকদের সঙ্গেও কথা বলেনি মন্ত্রণালয়।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তাঁদের কোনো পরামর্শ নেওয়া হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা, এমনভাবে এই বদলি করা হয়েছে যে অনেক জায়গায় পিসিআর ল্যাব বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, পিসিআর ল্যাব একটা বিশাল যজ্ঞ। জনবলের সংকটের কারণে ভাইরোলজি, মাইক্রো বায়োলজির লোকেরা ছাড়াও অন্যান্য বিভাগের লোকেরাও পিসিআর ল্যাবে কাজ করছেন। ঢালাও বদলির কারণে এই ল্যাবগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত ছিল।
ইউনিয়ন সাব–সেন্টারে যেসব চিকিৎসক দিয়ে রেখেছে, সেখানে তাঁদের কোনো কাজ নেই। আসলে কোনো সময়ই তাঁদের কোনো কাজ থাকে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে বসে বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শ করে সেসব চিকিৎসককে তো বদলি করা যেত। স্থানীয় ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র চিকিৎসকেরা এই আদেশের ফলে হতাশ। এটা চিকিৎসাব্যবস্থার সহায়ক হবে, নাকি চিকিৎসাসেবায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে, সেটাই মন্ত্রণালয় বুঝতে পারছে না।
যে চিকিৎসকদের বদলি করা হয়েছে, তার মধ্যে দেখলাম মৃত চিকিৎসকও আছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হয়তো এর দায় অধিদপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগের ওপর চাপাবে। মন্ত্রণালয় হয়তো বলবে, অধিদপ্তর তথ্য হালনাগাদ করেনি। কিন্তু মন্ত্রণালয়েও তো মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ আছে। কোথায়, কোন চিকিৎসক মারা গেছেন, সেই তথ্য তো তাদের কাছেও আছে। তাদের তো এই তালিকা দেওয়া হয়েছে। তাহলে মন্ত্রণালয় কী করেছে?
এর ফলশ্রুতিতে বলা যায়, শুরু থেকে অদ্যাবধি প্রধানমন্ত্রীর এত হস্তক্ষেপের পরেও মন্ত্রণালয় আর অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের তীব্র অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। করোনা যখন শুরু হয়, তখনই আমি বলেছিলাম, এখন করোনার রাজনীতি আর অর্থনীতি শুরু হবে। রাজনীতি আর অর্থনীতির ওপর আমরা করোনার প্রভাব দেখেছি। এখন অধিদপ্তরের সঙ্গে মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের সঙ্গে বিভাগ, বিভাগের সঙ্গে বিভাগের রাজনীতি আমরা দেখছি।
করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড দেখছি আমরা। অনেকে বুঝতেই পারছেন না আসলে কতটা খারাপ পরিস্থিতিতে আমরা আছি। কিছু লোক আছেন, যাঁরা মজা দেখতে বের হচ্ছেন। কিছু কিছু জায়গায় পুলিশ বেশ কঠোর হচ্ছে, আমি এটাকে সমর্থন করি। তবে কিছু লোক আসলেই অন্ন সংস্থানের জন্য বের হচ্ছেন। এঁদের আসলে খাবার প্রয়োজন। খাবারের সংস্থান না করে তাঁদের গৃহে বন্দী রাখার অধিকার আসলে আমাদের নেই। তাদের খাবারের সংস্থান না করে লকডাউন সফল করা সম্ভব নয়। লকডাউন যদি আমরা সফল করতে পারি, তাহলেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আর করোনা নিয়ন্ত্রণে এলে হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে চাপ বাড়তে বাড়তে একসময় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনাও ভেঙে পড়বে। পরিস্থিতি এমন হতে পারে যে, সবাই হাত–পা ছেড়ে দিতে পারে। কারণ, যখন আমাদের চিকিৎসক ও তাঁদের সহকারীরা দেখবেন কিছু করতে পারছি না, তখন হতাশা থেকেই তাঁদের কর্মস্পৃহা শেষ হয়ে যাবে। সেটা হবে মহাবিপর্যয়। এ ব্যাপারে সরকারের সব সংস্থা, বাহিনী, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সতর্ক হওয়া উচিত।
আরেকটি বিষয় হলো, সরকার লকডাউন দিল, কিন্তু বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান খোলা। চাকরি বাঁচানোর স্বার্থে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের রাস্তায় বের হতে হচ্ছে। কিছু অফিস খোলা, কিছু বন্ধ। এগুলো হলো আমাদের সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত। এই সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্তের জায়গা থেকে বের হতে না পারলে লকডাউন বা বিধিনিষেধ কোনোটাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব মামলা চলছিল, তা সংশোধিত আইনেও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আজ সোমবার প্রসিকিউশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর সংশোধনী তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনের আ
২ ঘণ্টা আগেজুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ আরও ৪৫ জনকে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেওয়া হয়
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কারের অংশ হিসেবে গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রায়ণের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।
৬ ঘণ্টা আগে