নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনে হতাহত ও সহিংসতার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সমিতির মিলনায়তনে প্রথমে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপরই সংবাদ সম্মেলন করেন সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি বলেন, ‘কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পরপরই কোটাবিরোধীদের ওপর হামলা করা হয় এবং তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী কয়েক শ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আন্দোলনকারীদের অনেকের চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে। সারা দেশে হাজার হাজার আন্দোলনকারী আহত হয়েছে। অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। অথচ এখনো পর্যন্ত কতজন কোটা আন্দোলনকারী নিহত ও আহত হয়েছে, এর কোনো সংখ্যা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। এই সংখ্যা গোপন করায় আমরা হতবাক হয়েছি। অনতিবিলম্বে আহত ও নিহতদের সংখ্যা ও পরিচয় জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।’
খোকন বলেন, ‘অনেকের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। অনেকের লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। আবু সাঈদসহ অনেককে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। অনেক শিশুও নিহত হয়েছে। অনতিবিলম্বে যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়। সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। এগুলো রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জনগণের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও বেসরকারি সম্পদ ধ্বংসকারীদের সত্যিকার পরিচয় উদ্ঘাটন না করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও আইনজীবীদের গণহারে গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। এটি সংবিধানের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করি। আন্দোলন দমন করার জন্য জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী বাহিনী লেখা হেলিকপ্টার ও আরমারবিহেকেল ব্যবহার করা হয়, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর কারণে ভবিষ্যতে জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।’
বারের সভাপতি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ যদি ১৫ দিন আগে হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে চেম্বার জজে আবেদন করত এবং শুনানি অগ্রগামীর আবেদন করত, তাহলে শত শত আন্দোলনকারী নিহত ও আহত হতো না এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্তও হতো না। আমরা মনে করি, সরকারের ধীর গতি সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই দায়ভার সম্পূর্ণ সরকারের। এ সময় তিনি কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আইনজীবীদের বিনা কারণে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়ার নিন্দা এবং তাঁদের মুক্তি দাবি করেন।’ এ ছাড়া সত্য তুলে ধরতে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ করেন ব্যারিস্টার খোকন।
এদিকে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও মৌলবাদী শক্তি কর্তৃক সারা দেশে অরাজকতা, ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় নিন্দা জানান বারের সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, বিএনপি খড়কুটোর মতো ভাসমান আন্দোলনে হাত ধরতে চায়। আকাশ ধরার চেষ্টা করে, কিন্তু সেখানে পৌঁছাতে পারে না। এবারও বিএনপি রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে। স্বপ্ন আর বাস্তবায়িত হবে না।
সম্পাদক বলেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমাল বিনষ্টের লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সারা দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এতে মেট্রোরেল, সেতু ভবন, ডাটা সেন্টার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও অসংখ্য রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করা হয়। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে তৎপর। দেশের জনগণ তাদের এই চক্রান্ত ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।
শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে আইনের শাসন বিদ্যমান। আইনের শাসনে যেভাবে গ্রেপ্তার করতে হয়, সেভাবে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে করা হচ্ছে। আমরা বারের পক্ষ থেকে সবার বিচার দাবি করছি।’ শুনানি এগিয়ে আনার বিষয়ে বারের সভাপতির বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও আমি নিজে সিএমপি ও সিপি ফাইল করে এই মামলার তড়িৎ শুনানির ব্যবস্থা করেছি।’
ছয়জনের মৃত্যুর বিষয়ে কমিশন তদন্ত করছে। বাকি হতাহতের বিষয়ে জানতে চাইলে বারের সম্পাদক বলেন, পুলিশ সেগুলো তদন্ত করছে। এই মুহূর্তে যেভাবে তদন্ত চলছে সেটাকেই তাঁরা সমর্থন করেন বলে জানান তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে হতাহত ও সহিংসতার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সমিতির মিলনায়তনে প্রথমে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপরই সংবাদ সম্মেলন করেন সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি বলেন, ‘কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পরপরই কোটাবিরোধীদের ওপর হামলা করা হয় এবং তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী কয়েক শ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আন্দোলনকারীদের অনেকের চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে। সারা দেশে হাজার হাজার আন্দোলনকারী আহত হয়েছে। অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। অথচ এখনো পর্যন্ত কতজন কোটা আন্দোলনকারী নিহত ও আহত হয়েছে, এর কোনো সংখ্যা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। এই সংখ্যা গোপন করায় আমরা হতবাক হয়েছি। অনতিবিলম্বে আহত ও নিহতদের সংখ্যা ও পরিচয় জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।’
খোকন বলেন, ‘অনেকের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। অনেকের লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। আবু সাঈদসহ অনেককে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। অনেক শিশুও নিহত হয়েছে। অনতিবিলম্বে যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়। সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। এগুলো রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জনগণের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও বেসরকারি সম্পদ ধ্বংসকারীদের সত্যিকার পরিচয় উদ্ঘাটন না করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও আইনজীবীদের গণহারে গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। এটি সংবিধানের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করি। আন্দোলন দমন করার জন্য জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী বাহিনী লেখা হেলিকপ্টার ও আরমারবিহেকেল ব্যবহার করা হয়, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর কারণে ভবিষ্যতে জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।’
বারের সভাপতি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ যদি ১৫ দিন আগে হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে চেম্বার জজে আবেদন করত এবং শুনানি অগ্রগামীর আবেদন করত, তাহলে শত শত আন্দোলনকারী নিহত ও আহত হতো না এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্তও হতো না। আমরা মনে করি, সরকারের ধীর গতি সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই দায়ভার সম্পূর্ণ সরকারের। এ সময় তিনি কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আইনজীবীদের বিনা কারণে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়ার নিন্দা এবং তাঁদের মুক্তি দাবি করেন।’ এ ছাড়া সত্য তুলে ধরতে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ করেন ব্যারিস্টার খোকন।
এদিকে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও মৌলবাদী শক্তি কর্তৃক সারা দেশে অরাজকতা, ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় নিন্দা জানান বারের সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, বিএনপি খড়কুটোর মতো ভাসমান আন্দোলনে হাত ধরতে চায়। আকাশ ধরার চেষ্টা করে, কিন্তু সেখানে পৌঁছাতে পারে না। এবারও বিএনপি রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে। স্বপ্ন আর বাস্তবায়িত হবে না।
সম্পাদক বলেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমাল বিনষ্টের লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সারা দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এতে মেট্রোরেল, সেতু ভবন, ডাটা সেন্টার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও অসংখ্য রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করা হয়। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে তৎপর। দেশের জনগণ তাদের এই চক্রান্ত ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।
শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে আইনের শাসন বিদ্যমান। আইনের শাসনে যেভাবে গ্রেপ্তার করতে হয়, সেভাবে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে করা হচ্ছে। আমরা বারের পক্ষ থেকে সবার বিচার দাবি করছি।’ শুনানি এগিয়ে আনার বিষয়ে বারের সভাপতির বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও আমি নিজে সিএমপি ও সিপি ফাইল করে এই মামলার তড়িৎ শুনানির ব্যবস্থা করেছি।’
ছয়জনের মৃত্যুর বিষয়ে কমিশন তদন্ত করছে। বাকি হতাহতের বিষয়ে জানতে চাইলে বারের সম্পাদক বলেন, পুলিশ সেগুলো তদন্ত করছে। এই মুহূর্তে যেভাবে তদন্ত চলছে সেটাকেই তাঁরা সমর্থন করেন বলে জানান তিনি।
দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
৯ ঘণ্টা আগেদেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
১১ ঘণ্টা আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
১১ ঘণ্টা আগে