কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
মালদ্বীপকে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে সফলতার সঙ্গে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে দেখতে চায় বাংলাদেশ। দেশটি উন্নয়ন যাত্রার সাক্ষী হতে চায় বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার মালেতে মালদ্বীপের জাতীয় সংসদে ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংসদে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলন, অনিশ্চিত জীবন এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত ত্যাগের মধ্য দিয়ে রাজনীতির এ পথ যেহেতু চলা লাগে, ফলে রাজনীতিতে আসা অন্য অনেকের মতো আমার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। আমাদের সকলকে এটি স্বীকার করতে হবে যে, রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুরস্কার হচ্ছে মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করা।’ মালদ্বীপের গণতান্ত্রিক ও উন্নয়ন যাত্রায় এর পূর্বপুরুষ ও সমসাময়িক রাজনীতিবিদদের সম্মান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের যাত্রা মালদ্বীপের সংসদ মনে করিয়ে দেয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শর্ত বর্ষ উদ্যাপন ও স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তির কারণে বিশেষ করে চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান স্থপতি।’ এ সময়ে জাতির পিতার দীর্ঘ জীবনের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তাঁর প্রতি সম্মান জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ ও বীরাঙ্গনাদের প্রতিও সম্মান জানান।
চলতি বছরের মার্চে মুজিব শতবর্ষ উদ্যাপন ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহর উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পথে বাংলাদেশের যাত্রা সহজ ছিল না। বাংলার মানুষের মঙ্গলের জন্য জাতির পিতা তার সম্পূর্ণ জীবনসংগ্রাম করেছেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল এ ২৪ বছরের ১৩ বছরই বিভিন্ন সময়ে জাতির পিতা জেলে কাটিয়েছেন। কন্যা হিসেবে আমরা আমাদের বাবাকে কাছে পাইনি।’ এ সময়ে ভাষা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাসহ বঙ্গবন্ধুর জীবনের সংগ্রামগুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামের ঢাক, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি জান্তা সরকারের গণহত্যা, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার এবং নয় মাসের যুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাহাত্তর সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশকে গড়ে তোলার কাজে হাত দেন। সেই সঙ্গে অর্থনীতির চাকা চালু করেন। তিনি আন্তরিক ভাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করেন।’
এর মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারের হত্যার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ সময়ে আমি ও আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। আমার স্বামী বিজ্ঞানী হিসেবে জার্মানিতে কর্মরত ছিলেন। সে সময়ে আমি ও আমার বোন সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সামরিক জান্তা এ সময়ে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করে। আর আমি ও আমার ছোট বোনকে দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি। এমনকি আমার বোনের পাসপোর্ট নবায়ন করতে দেয়নি সে সময়ের সরকার। শরণার্থী হিসেবে আমরা ৬ বছর বিদেশে কাটিয়েছি।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর আওয়ামী লীগ তাঁর অবর্তমানে তাঁকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম। কলেজের সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম। আমরা মানুষের জন্য কাজ করতাম। কিন্তু চিন্তায় ছিলাম কি করে এত বড় দলের দায়িত্ব গ্রহণ করব। তবে এটাও চিন্তা ছিল যে আমাকে দেশে ফেরত আসতে হবে। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কারও শাস্তি হয়নি। শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে তাদের জন্য দায়মুক্তি আইন পাস করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেওয়া বা বিচার চাওয়ার মতো কোনো অধিকার আমাদের ছিল না। আমি আমার মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। এ কারণে আমি ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফেরত আসি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এটা আমার জন্য সন্তুষ্টির বিষয়। কারণ ১৯৭৫ সাল থেকে উনিশবার সামরিক বাহিনী ক্যু করেছে। অনেক মানুষ মারা গেছেন। মানুষের কোনো অধিকার ছিল না। প্রায় ২১ বছর পর প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। মানুষ অনুধাবন করেছে পেরেছে যে সরকার মানুষের জন্য কাজ করতে পারে।’
স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু আর্থসামাজিক উন্নয়নের পথ দেখিয়ে গিয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে তাঁর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ বাংলাদেশ অভাবনীয় উন্নতি করেছে। করোনার কারণে কিছুটা বেগ পেতে হলেও বিগত এক দশকে নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, আয়ু বৃদ্ধি, জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধি, পয়োনিষ্কাশন, সুপেয় পানি, প্রাথমিক শিক্ষা, নিরক্ষরা দুরিকরণের মত সামাজিক সূচকগুলোতে বাংলাদেশ বেশ উন্নতি করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বাস করে কোনো দেশ একক ভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে না। আরও ভালো, সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ পৃথিবীর জন্য আমরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল এবং একে অপরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে কাজ করতে হবে তা করোনা মহামারি আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছে।’
দক্ষিণ এশিয়ার ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশেষ ভাবে মালদ্বীপের উন্নয়ন যাত্রার সাক্ষী হতে চাই। মালদ্বীপের এলডিসি থেকে সফল ভাবে মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণের সাক্ষী হতে চাই। আশা করি, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ একে অপরের পরিপূরক হবে এবং দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।’ সমূহ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার অংশীদার হতে অভিন্ন স্বার্থে মালদ্বীপের সরকারি ও বেসরকারি অংশীজনদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মালদ্বীপকে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে সফলতার সঙ্গে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে দেখতে চায় বাংলাদেশ। দেশটি উন্নয়ন যাত্রার সাক্ষী হতে চায় বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার মালেতে মালদ্বীপের জাতীয় সংসদে ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংসদে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলন, অনিশ্চিত জীবন এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত ত্যাগের মধ্য দিয়ে রাজনীতির এ পথ যেহেতু চলা লাগে, ফলে রাজনীতিতে আসা অন্য অনেকের মতো আমার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। আমাদের সকলকে এটি স্বীকার করতে হবে যে, রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুরস্কার হচ্ছে মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করা।’ মালদ্বীপের গণতান্ত্রিক ও উন্নয়ন যাত্রায় এর পূর্বপুরুষ ও সমসাময়িক রাজনীতিবিদদের সম্মান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের যাত্রা মালদ্বীপের সংসদ মনে করিয়ে দেয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শর্ত বর্ষ উদ্যাপন ও স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তির কারণে বিশেষ করে চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান স্থপতি।’ এ সময়ে জাতির পিতার দীর্ঘ জীবনের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তাঁর প্রতি সম্মান জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ ও বীরাঙ্গনাদের প্রতিও সম্মান জানান।
চলতি বছরের মার্চে মুজিব শতবর্ষ উদ্যাপন ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহর উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পথে বাংলাদেশের যাত্রা সহজ ছিল না। বাংলার মানুষের মঙ্গলের জন্য জাতির পিতা তার সম্পূর্ণ জীবনসংগ্রাম করেছেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল এ ২৪ বছরের ১৩ বছরই বিভিন্ন সময়ে জাতির পিতা জেলে কাটিয়েছেন। কন্যা হিসেবে আমরা আমাদের বাবাকে কাছে পাইনি।’ এ সময়ে ভাষা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাসহ বঙ্গবন্ধুর জীবনের সংগ্রামগুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামের ঢাক, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি জান্তা সরকারের গণহত্যা, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার এবং নয় মাসের যুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাহাত্তর সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশকে গড়ে তোলার কাজে হাত দেন। সেই সঙ্গে অর্থনীতির চাকা চালু করেন। তিনি আন্তরিক ভাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করেন।’
এর মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারের হত্যার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ সময়ে আমি ও আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। আমার স্বামী বিজ্ঞানী হিসেবে জার্মানিতে কর্মরত ছিলেন। সে সময়ে আমি ও আমার বোন সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সামরিক জান্তা এ সময়ে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করে। আর আমি ও আমার ছোট বোনকে দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি। এমনকি আমার বোনের পাসপোর্ট নবায়ন করতে দেয়নি সে সময়ের সরকার। শরণার্থী হিসেবে আমরা ৬ বছর বিদেশে কাটিয়েছি।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর আওয়ামী লীগ তাঁর অবর্তমানে তাঁকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম। কলেজের সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম। আমরা মানুষের জন্য কাজ করতাম। কিন্তু চিন্তায় ছিলাম কি করে এত বড় দলের দায়িত্ব গ্রহণ করব। তবে এটাও চিন্তা ছিল যে আমাকে দেশে ফেরত আসতে হবে। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কারও শাস্তি হয়নি। শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে তাদের জন্য দায়মুক্তি আইন পাস করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেওয়া বা বিচার চাওয়ার মতো কোনো অধিকার আমাদের ছিল না। আমি আমার মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। এ কারণে আমি ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফেরত আসি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এটা আমার জন্য সন্তুষ্টির বিষয়। কারণ ১৯৭৫ সাল থেকে উনিশবার সামরিক বাহিনী ক্যু করেছে। অনেক মানুষ মারা গেছেন। মানুষের কোনো অধিকার ছিল না। প্রায় ২১ বছর পর প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। মানুষ অনুধাবন করেছে পেরেছে যে সরকার মানুষের জন্য কাজ করতে পারে।’
স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু আর্থসামাজিক উন্নয়নের পথ দেখিয়ে গিয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে তাঁর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ বাংলাদেশ অভাবনীয় উন্নতি করেছে। করোনার কারণে কিছুটা বেগ পেতে হলেও বিগত এক দশকে নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, আয়ু বৃদ্ধি, জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধি, পয়োনিষ্কাশন, সুপেয় পানি, প্রাথমিক শিক্ষা, নিরক্ষরা দুরিকরণের মত সামাজিক সূচকগুলোতে বাংলাদেশ বেশ উন্নতি করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বাস করে কোনো দেশ একক ভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে না। আরও ভালো, সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ পৃথিবীর জন্য আমরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল এবং একে অপরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে কাজ করতে হবে তা করোনা মহামারি আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছে।’
দক্ষিণ এশিয়ার ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশেষ ভাবে মালদ্বীপের উন্নয়ন যাত্রার সাক্ষী হতে চাই। মালদ্বীপের এলডিসি থেকে সফল ভাবে মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণের সাক্ষী হতে চাই। আশা করি, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ একে অপরের পরিপূরক হবে এবং দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।’ সমূহ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার অংশীদার হতে অভিন্ন স্বার্থে মালদ্বীপের সরকারি ও বেসরকারি অংশীজনদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১৬ মিনিট আগেসংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করবে বলে জানিয়েছেন কমিশনটির প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘যদি কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশের খসড়া প্রকাশ করা সম্ভব হবে। সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে দে
১ ঘণ্টা আগেজাপান বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি জানান, জাপান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আজ রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান
২ ঘণ্টা আগে