প্রথম দক্ষিণ এশীয় হিসেবে ‘মিলেনিয়াম লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন স্থপতি মেরিনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২২, ০০: ৩২

এবার আরেকটি মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাশ্যুম। ‘মিলেনিয়াম লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তাঁকে। আসন্ন লিসবন আর্কিটেকচার ট্রায়েনেলে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা দেওয়া হবে। 

ওয়ার্ল্ড আর্কিটেকচার কমিউনিটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

লিসবন আর্কিটেকচার ট্রায়েনেলের জুরি বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেরিনা তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে স্থাপত্যশিল্পের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকা পালনের অঙ্গীকারের প্রতি নিবিষ্ট থেকেছেন। প্রতিটি নতুন প্রকল্পে বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেছেন। তাঁর প্রকল্পগুলোতে দৃঢ় ও স্বচ্ছ নৈতিক অবস্থান প্রকাশ পায়। এগুলোর নকশা সূক্ষ্ম ও পরিশীলিত। বাজেটে সীমাবদ্ধতা থাকার পরও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। প্রকল্পগুলোতে সব সময় সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট থাকে। 

স্থপতিরাও যে জলবায়ুসংকটকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন এবং পরীক্ষামূলক, মর্যাদাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক উপায়ে সমাজে পরিবর্তন আনতে পারেন, মেরিনা তাবাশ্যুম সেটিই দেখিয়ে দিয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। 

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর লিসবন আর্কিটেকচার ট্রায়েনেল শুরু হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বিশেষ এক অনুষ্ঠানে তাবাশ্যুমের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে। অনুন্নত দেশের নাগরিক এবং দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দা হিসেবে তিনিই প্রথম এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেলেন। 

মেরিনার আগে মিলেনিয়াম লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন—কেনেথ ফ্রাম্পটন, ইভারো সিজা এবং ডেনিশ স্কট ব্রাউন। 

২০২১ সালে ‘মানবিক ঘর’ নির্মাণের জন্য যুক্তরাজ্যের মর্যাদাপূর্ণ সন পদক পান মেরিনা। ২০২০ সালে ব্রিটিশ সাময়িকী ‘প্রসপেক্ট’–এর ৫০ চিন্তাবিদের মধ্যে শীর্ষ দশে স্থান করে নেন তিনি। 

ঢাকার দক্ষিণখানে বায়তুর রউফ নামের একটি শৈল্পিক নকশার মসজিদ নির্মাণ করেছেন মেরিনা তাবাশ্যুম। এই নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালে স্থপতি হিসেবে জামিল প্রাইজ পান তিনি। এর আগে একই নকশার জন্য ২০১৬ সালে আগা খান পুরস্কার পান। সুলতানি আমলের স্থাপত্যের আদলে নকশা করা এ মসজিদ নির্মিত হয় ২০১২ সালে, ঢাকায়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত