ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জনসহ মোট ২৫ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য চার উপজেলায় সব পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ায় এসব উপজেলায় ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হবে না।

আজ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসাররা তাঁদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয় গতকাল সোমবার। এই ধাপে ৮ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, বাগেরহাট সদর, মুন্সিগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচর ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এসব পদে ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হবে না।

এ ছাড়া গাইবান্ধার সাঘাটায় চেয়ারম্যান, নাটোরের সিংড়ায় চেয়ারম্যান, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, দিনাজপুরের হাকিমপুরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পাবনার বেড়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান, রাঙামাটির কাউখালীতে ভাইস চেয়ারম্যান, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে আজ মঙ্গলবার বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। এ কারণে ওই উপজেলার চেয়ারম্যানকে আপাতত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হচ্ছে না।

চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলার ভোট ৫ জুন
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, বাছাই ১২ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৬ থেকে ১৮ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৯ মে, আর ভোট গ্রহণ হবে ৫ জুন।

চতুর্থ ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট হবে—বগুড়ার নন্দীগ্রাম, শেরপুর ও ধুনট; নওগাঁ সদর, মান্দা, মহাদেবপুর; রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা; সিরাজগঞ্জের কামারগঞ্জ ও রায়গঞ্জ; দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর ও নবাবগঞ্জ; রংপুরের তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ; খুলনার রূপসা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা; বরিশালের বাবুগঞ্জ, উজিরপুর ও বানারীপাড়া; পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী; ভোলার মনপুরা ও চরফ্যাশন; বরগুনার আমতলী ও তালতলী; ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী; টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, বাসাইল ও সখীপুর; কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর ও ভৈরব, ময়মনসিংহের ভালুকা, গফরগাঁও ও নান্দাইল; নেত্রকোনার কেন্দুয়া; সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর ও মধ্যনগর; সিলেটের জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট; হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও মাধবপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর; কুমিল্লার হোমনা, চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রাম; ফেনীর ছাগলনাইয়া; চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও লোহাগাড়া।

সমন্বয়ে কাজ করার নির্দেশ ইসির 
যৌথ বাহিনীর অভিযান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলা (থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা) পরিষদের ভোট স্থগিত করেছে ইসি। পরে সুবিধাজনক সময়ে এই তিন উপজেলায় ভোট আয়োজন করবে কমিশন। রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ৮ মে ও রুমায় ২১ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল।

মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা ভোট নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে ইসি সচিব বলেন, সভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশিসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে।

ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
জাতীয় সংসদের ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে ৩২তম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে আর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।