নিজম্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরিচয় গোপন করে পাসপোর্ট নবায়ন ও জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজকের পত্রিকাকে মামলা বিষয়টি জানান। সংস্থাটির উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদী কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা–১–এ মামলাটি দায়ের করেন।
বেনজীর আহমেদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন পাসপোর্টের সাবেক পরিচালক মো. ফজলুল হক, বিভাগীয় পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম ও টেকনিক্যাল ম্যানেজার মোছা. সাহেনা হক।
আক্তার হোসেন বলেন, ‘পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আবেদনপত্র পাওয়ার পরে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। তাঁরা সেই দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেননি। এ জন্য সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারি—এই অপরাধমূলক অসদাচরণের সঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জেনে-শুনে এই কাজ করেছেন।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের এই ডিজি বলেন, বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পোষ্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তাঁরা সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন। অনুসন্ধান দল সেগুলো যাচাই-বাছাইসহ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সরকারি কর্মকর্তা হয়েও বেনজীর কেন সাধারণ পাসপোর্ট নিয়েছিলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেনজীর আহমেদ কী উদ্দেশ্যে বা কী কারণে তাঁর পরিচয় গোপন করেছেন, তা আমাদের জানা নেই। মামলার তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয় উদ্ঘাটনের চেষ্টা করবেন।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ ঢাকাতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পাসপোর্টের আবেদনপত্রের পেশা ক্রমিকে সরকারি চাকরীজীবী হওয়া সত্ত্বেও জালিয়াতি-প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ‘প্রাইভেট সার্ভিস’ উল্লেখ করে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট জন্য আবেদন করেছেন। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তাঁকে পাসপোর্ট ইস্যুর চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, বেনজীর আহমেদ ২০০৯ সাল পর্যন্ত হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন। ২০০০ সালের পর মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) চালু হলে পুরোনো হাতে লেখা পাসপোর্টের তথ্য দিয়েই তিনি এমআরপি করেন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ২০২০ সাল থেকে ই-পাসপোর্ট চালু করলেও বেনজীর আহমেদ নবায়ন করার সময় এমআরপি নিতেন। ২০০৯ সালের পর থেকে তিনি সাতবার এমআরপি উত্তোলন করেন। তবে প্রতিবারই হাতে লেখা পাসপোর্টের তথ্য ঠিক রেখেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, বেনজীর আহমেদ পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও নজিরবিহীন জালিয়াতির আশ্রয় নেন। তিনি সরকারি চাকরির কথা আড়াল করে প্রাইভেট সার্ভিস বা বেসরকারি চাকরিজীবীর পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন।
গত ২৫ জুন বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
পরিচয় গোপন করে পাসপোর্ট নবায়ন ও জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজকের পত্রিকাকে মামলা বিষয়টি জানান। সংস্থাটির উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদী কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা–১–এ মামলাটি দায়ের করেন।
বেনজীর আহমেদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন পাসপোর্টের সাবেক পরিচালক মো. ফজলুল হক, বিভাগীয় পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম ও টেকনিক্যাল ম্যানেজার মোছা. সাহেনা হক।
আক্তার হোসেন বলেন, ‘পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আবেদনপত্র পাওয়ার পরে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। তাঁরা সেই দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেননি। এ জন্য সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারি—এই অপরাধমূলক অসদাচরণের সঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জেনে-শুনে এই কাজ করেছেন।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের এই ডিজি বলেন, বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পোষ্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তাঁরা সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন। অনুসন্ধান দল সেগুলো যাচাই-বাছাইসহ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সরকারি কর্মকর্তা হয়েও বেনজীর কেন সাধারণ পাসপোর্ট নিয়েছিলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেনজীর আহমেদ কী উদ্দেশ্যে বা কী কারণে তাঁর পরিচয় গোপন করেছেন, তা আমাদের জানা নেই। মামলার তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয় উদ্ঘাটনের চেষ্টা করবেন।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ ঢাকাতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পাসপোর্টের আবেদনপত্রের পেশা ক্রমিকে সরকারি চাকরীজীবী হওয়া সত্ত্বেও জালিয়াতি-প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ‘প্রাইভেট সার্ভিস’ উল্লেখ করে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট জন্য আবেদন করেছেন। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তাঁকে পাসপোর্ট ইস্যুর চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, বেনজীর আহমেদ ২০০৯ সাল পর্যন্ত হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন। ২০০০ সালের পর মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) চালু হলে পুরোনো হাতে লেখা পাসপোর্টের তথ্য দিয়েই তিনি এমআরপি করেন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ২০২০ সাল থেকে ই-পাসপোর্ট চালু করলেও বেনজীর আহমেদ নবায়ন করার সময় এমআরপি নিতেন। ২০০৯ সালের পর থেকে তিনি সাতবার এমআরপি উত্তোলন করেন। তবে প্রতিবারই হাতে লেখা পাসপোর্টের তথ্য ঠিক রেখেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, বেনজীর আহমেদ পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও নজিরবিহীন জালিয়াতির আশ্রয় নেন। তিনি সরকারি চাকরির কথা আড়াল করে প্রাইভেট সার্ভিস বা বেসরকারি চাকরিজীবীর পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন।
গত ২৫ জুন বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৩ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৪ ঘণ্টা আগে