মিয়ানমারঘেঁষা পুরো সীমান্তে সতর্ক নজরদারি চলছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯: ১৬
Thumbnail image

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলছে, তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়লে সরকার চুপ করে বসে থাকবে না। মিয়ানমারঘেঁষা পুরো সীমান্ত এলাকা সতর্ক নজরদারিতে আছে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। একই সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য যে সশস্ত্র বাহিনী আছে, তারা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে।’

মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘অবশ্যই যেকোনো সংঘাত ঝুঁকির পরিস্থিতি তৈরি করে। এখন মিয়ানমারে যেটা হচ্ছে, সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। তাদের অভ্যন্তরে যে সংঘাত হচ্ছে সেটা তাদের সরকার সমাধান করবে। তবে তার প্রভাব যদি বাংলাদেশে আসে তাহলে বাংলাদেশ চুপ করে বসে থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গায়ে পড়ে যদি কোনো কিছু হয়, তাহলে বাংলাদেশ চোখ বুজে থাকবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হয়, মানুষের স্বাধীনতা বিঘ্নিত হয়, জীবন-যাপন বিঘ্নিত হয়, এ রকম যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রস্তুত আছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দরে এ ধরনের কোনো প্রভাব বা কর্মকাণ্ডে কোনো রকমের বিঘ্ন ঘটার সংবাদ আমাদের কাছে নেই।’

নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে থাইল্যান্ডের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে, থাকবে। ৫০ বছরের এই সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নিতে চাই। থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে। আমাদের যে পণ্য রয়েছে সেটার চাহিদা থাইল্যান্ডে আছে। পাশাপাশি তাদের পণ্যের চাহিদাও আমাদের দেশে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত