সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জানিয়েছেন, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মিলিতভাবে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই কোরবানির ঈদের প্রধান জামাত পড়তে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে আসতে শুরু করেন। এ সময় পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে দিয়ে তিনটি চেকপোস্টে মুসল্লিদের তল্লাশি করা হয়। ঈদের প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
জাতীয় ঈদগাহে এ বছর ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তাই পুরো ঈদ জামাতকে ঘিরে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। নামাজ পড়তে আসা প্রত্যেককেই কয়েক স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা পার হয়ে আসতে হয়।
জাতীয় ঈদগাহে প্রথমবার নামাজ পড়তে আসা রওনক বিশাকা শ্যামলী বলেন, ‘ভীষণ ভালো লাগছে। এই প্রথম জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত। করোনায় তো সবার সঙ্গে ঈদ কাটাতে পারিনি। আগে দেখতাম মেয়েরা জামাতে ঈদের নামাজ পড়ে কিন্তু কখনো পড়া হয়নি। এবার আসলাম, বেশ ভালো লেগেছে।’
ফকিরাপুলের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে তা দূর হোক এটাই এই ঈদে প্রত্যাশা। ঘুষ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই। রোগ, শোক কাটিয়ে যেন উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারি সেই কামনা করি।’
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা নিবিড় আলম তাঁর সন্তানসহ ৩ বছর পর জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়তে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘গত ৩ বছর করোনার কারণে আসা হয়নি। না হলে সব সময় ঈদের নামাজ এখানেই পড়ার চেষ্টা করি। এত মানুষের সঙ্গে একসাথে নামাজ পড়লে অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। সবাই যেন তাদের মনের পশুকে কোরবানি দেয়, এটাই চাওয়া।’
এর আগে সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত এই মসজিদে মোট পাঁচ দফায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়তে আসা মালিবাগের বাসিন্দা সাইদুল আলম জানান, এই ঈদে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে সবাই যেন ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়, সেই প্রত্যাশাই তিনি করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন নানাবিধ সমস্যা। যদি কেউ ছাড় না দেয়, ত্যাগ স্বীকার না করে তাহলে এসব সমস্যা কখনোই সমাধান হবে না। সম্মিলিতভাবে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।’
আরেক মুসল্লি নিজামুল হায়দার সুজন বলেন, ‘গরু-ছাগল তো কোরবানি দেওয়াই হয়, কিন্তু এর বাইরে আপনি কী কোরবানি করলেন? ওটাই আসল। শুধু নিজের কথা ভাবলে হবে না। প্রতিবেশী ভালো আছে কি-না সেই খবর নিতে হবে। তারা খাইতে পারতেছে কি না, তা জানতে হবে। আপনার বাসায় যে কাজ করে তার বাসায় গোশত পৌঁছাচ্ছে কি না, তা-ও দেখতে হবে। এটাই কোরবানির মাহাত্ম্য।’
রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জানিয়েছেন, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মিলিতভাবে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই কোরবানির ঈদের প্রধান জামাত পড়তে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে আসতে শুরু করেন। এ সময় পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে দিয়ে তিনটি চেকপোস্টে মুসল্লিদের তল্লাশি করা হয়। ঈদের প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
জাতীয় ঈদগাহে এ বছর ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তাই পুরো ঈদ জামাতকে ঘিরে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। নামাজ পড়তে আসা প্রত্যেককেই কয়েক স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা পার হয়ে আসতে হয়।
জাতীয় ঈদগাহে প্রথমবার নামাজ পড়তে আসা রওনক বিশাকা শ্যামলী বলেন, ‘ভীষণ ভালো লাগছে। এই প্রথম জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত। করোনায় তো সবার সঙ্গে ঈদ কাটাতে পারিনি। আগে দেখতাম মেয়েরা জামাতে ঈদের নামাজ পড়ে কিন্তু কখনো পড়া হয়নি। এবার আসলাম, বেশ ভালো লেগেছে।’
ফকিরাপুলের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে তা দূর হোক এটাই এই ঈদে প্রত্যাশা। ঘুষ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই। রোগ, শোক কাটিয়ে যেন উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারি সেই কামনা করি।’
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা নিবিড় আলম তাঁর সন্তানসহ ৩ বছর পর জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়তে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘গত ৩ বছর করোনার কারণে আসা হয়নি। না হলে সব সময় ঈদের নামাজ এখানেই পড়ার চেষ্টা করি। এত মানুষের সঙ্গে একসাথে নামাজ পড়লে অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। সবাই যেন তাদের মনের পশুকে কোরবানি দেয়, এটাই চাওয়া।’
এর আগে সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত এই মসজিদে মোট পাঁচ দফায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়তে আসা মালিবাগের বাসিন্দা সাইদুল আলম জানান, এই ঈদে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে সবাই যেন ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়, সেই প্রত্যাশাই তিনি করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন নানাবিধ সমস্যা। যদি কেউ ছাড় না দেয়, ত্যাগ স্বীকার না করে তাহলে এসব সমস্যা কখনোই সমাধান হবে না। সম্মিলিতভাবে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।’
আরেক মুসল্লি নিজামুল হায়দার সুজন বলেন, ‘গরু-ছাগল তো কোরবানি দেওয়াই হয়, কিন্তু এর বাইরে আপনি কী কোরবানি করলেন? ওটাই আসল। শুধু নিজের কথা ভাবলে হবে না। প্রতিবেশী ভালো আছে কি-না সেই খবর নিতে হবে। তারা খাইতে পারতেছে কি না, তা জানতে হবে। আপনার বাসায় যে কাজ করে তার বাসায় গোশত পৌঁছাচ্ছে কি না, তা-ও দেখতে হবে। এটাই কোরবানির মাহাত্ম্য।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের প্রশংসা করেছেন
৬ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে কর্মরত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরার পাশাপাশি বিদ্যমান ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ
৬ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেসনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার এবং তাঁর জামিনের বিষয়ে ভারতের দেওয়া বিবৃতির কড়া জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ
৮ ঘণ্টা আগে