সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা
সুশাসন নিশ্চিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আইনের পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক’ প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও তিন সদস্যের পরিবর্তে ‘পরিসর’ বাড়িয়ে পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠনের সুপারিশ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে গঠিত সংস্কার কমিশন। সংস্কার কমিশনের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রটি জানায়, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীন কমিশন গঠনে সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় আঙ্গিকে ১১ দফা এবং দুদক সংস্কারে ৩৬ দফাসহ সর্বমোট ৪৭ দফা সুপারিশ করা হয়েছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে। আজ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
কমিশনকে কার্যকর ও গতিশীল করতে তিন সদস্যের কমিশন পরিসর দুদকের কাজের জন্য যথেষ্ট মনে করছে না সংস্কার কমিশন। তাই তিন সদস্যের পরিবর্তে পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠনের সুপারিশ করবে বলে জানা গেছে। পাঁচ সদস্যের কমিশনে একজন নারী সদস্য যুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে দুদকের কাজের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে এমন বিচারিক ও ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো অভিজ্ঞদের যুক্ত করা এবং কমিশনের মেয়াদ পাঁচ থেকে কমিয়ে চার বছর করার সুপারিশ করা হবে।
সংস্কার কমিশন সূত্রে জান যায়, কমিশন গঠনে যে দুদক আইনে সার্চ কমিটির কথা বলা রয়েছে, সেটি পরিবর্তন করে ‘বাছাই ও পর্যবেক্ষক কমিটি’ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই কমিটি কমিশন বাছাই করে দেবে, সেই সঙ্গে কমিশন কী ডেলিভারি করছে তা ছয় মাস পর পর পর্যবেক্ষণ করবে। এটার জন্য সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিও প্রতিবেদনে সুপারিশ আকারে দিয়েছেন তাঁরা।
কমিশন গঠনে বিতর্কিত ‘সার্চ’ কমিটি ও দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনা এড়াতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বাদ দিয়ে তার পরে যিনি সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ হবেন, তিনি হবেন বাছাই কমিটির প্রধান, হাইকোর্টের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ একজন সদস্য হবেন, একজন থাকবেন, প্রধান বিচারপতির নিযুক্ত একজন যিনি বাংলাদেশের শাসন সম্পর্কে জানেন, মহাহিসাব নিরীক্ষক, পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে একজন, সংসদ নেতা থেকে মনোনীত একজন সদস্য ও প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা থেকে মনোনীত একজন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে বাছাই কমিটি।
কমিশন নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে নিয়োগ দেওয়ার একটি পদ্ধতি সংস্কার কমিশনের সুপারিশে তুলে ধরা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ‘যোগ্যতা’ ও ‘শর্ত’ পূরণ সাপেক্ষে যে কেউ চাইলে কমিশনার হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কমিশন ‘বাছাই ও পর্যবেক্ষক’ কমিটির বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া দুদকের বিতর্কিত চাকরিবিধি ৫৪–এর ২ ধারা বাতিল, সচিব পদ থেকে নিচের দিকের পদগুলোতে নিয়োগ–পদায়নে কমিশনের আইনের বড় পরিবর্তন এনে সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এর মধ্যে সচিব নিয়োগ, মহাপরিচালক পদে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা থেকে ৬০ শতাংশ পদায়ন ও পদোন্নতি, পরিচালক পদে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা ৭৫ শতাংশ করার সুপারিশ তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের চাকরি থেকে অপসারণ করারও সুপারিশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দুদক আইনে স্বাধীন প্রসিকিউশনের কথা বলা থাকলেও সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার দুই দশকে প্রসিকিউশনই গঠন করা হয়নি। সংস্কার কমিশন একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে, এতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ নিজস্ব কর্মীর মাধ্যমে প্রসিকিউশনের যাত্রা শুরু করবে। পরে ক্রমান্বয়ে তা বাড়িয়ে নিজস্ব প্রসিকিউশন টিম গঠন করা হবে।
একইভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের যে পূর্বানুমতির বিধান করা হয়েছিল, সেটি পুরোপুরি বিলুপ্তি করার বিষয়টি প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিশনের কাজের পরিধি বাড়াতে চলমান ৩৬ জেলা কার্যালয়ের পরিবর্তে প্রতিটি জেলায় দুদকের কার্যালয় চালু করতে হবে। এখন যে জেলা কার্যালয়গুলো আছে, সেগুলোতে বিশেষ জজ আদালত স্থাপন এবং ক্রমান্বয়ে সব জেলায় জেলা কার্যালয় স্থাপন ও বিশেষ জজ আদালত গঠন করতে হবে ।
সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদক একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে, এটাকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। আমরা চাই, দুদক স্বাধীন ও কার্যকর হবে। তাই বলে দুদকের স্বাধীনতা সীমাহীন নয়। আমরা একটি পরিপূর্ণ সংস্কার সুপারিশ তৈরি করেছি।’
সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন দেবে, তাতে দুদক ছাড়াও দুর্নীতি দমনে ভূমিকা রাখাতে পারে এমন রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিষয়েও ১১ দফা সুপারিশ করা হবে। এতে সংসদ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, বিভিন্ন কমিশন, রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজ, এনজিও, গণমাধ্যমসহ অংশীজনদের বিষয়ে কৌশলপত্র রয়েছে।
কমিশন গঠন হবে ওপেন কমপিটিশনে
কমিশন গঠনের বিষয়টি এত দিন গোপন থাকলেও এবার এটা সবার জন্য উন্মুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। সংস্কার কমিশন তিনটি পদ্ধতির কথা সুপারিশ করেছে, একটি হলো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ‘শর্ত পূরণ’ সাপেক্ষে যে কেউ চাইলে কমিশনার হতে আবেদন করতে পারবেন বা ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, ‘বাছাই ও পর্যবেক্ষক’ কমিটি চাইলে বাছাই করে প্রার্থীর তালিকা তৈরি করতে পারবে। তৃতীয় হলো, কেউ চাইলে প্রার্থী মনোনীত করতে পারবেন।
প্রত্যেক প্রার্থীকে জীবনবৃত্তান্ত, পাশাপাশি দুদক সম্পর্কে তাঁর জানাশোনা ও চিন্তাভাবনা কী, দুদক সম্পর্কে তাঁদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানা, প্রাথমিকভাবে তাঁদের তালিকা করা—এভাবে মিনিমাম কোয়ালিটি যাঁরা মিট করবেন, তাঁদের শর্ট লিস্টে তালিকাভুক্তদের ইন্টারভিউ করার জন্য ডাকা হবে।
প্রাথমিক তালিকা থেকে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে তিনজন করে ১৫ জন বাছাই করবে কমিটি। পরে এই নামগুলো এক সপ্তাহের জন্য পাবলিক করে দেওয়া হবে। এক সপ্তাহ পর সেই তালিকা থেকে ১০ জনকে বাছাই করা হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের তালিকা দেবে। তবে সেই ১০ জনের নাম আর প্রকাশ করবে না। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি পাঁচজনকে নিয়োগ দেবেন।
কমিশন গঠনের পর বাছাই কমিটি দেখবে দুদক কী করল, কোন মামলাগুলো কী কারণে নেওয়া হলো, কী কারণে নেওয়া হলো না। কমিশন ছয় মাস পরপর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবে। এই পর্যালোচনাগুলো নিয়ে পড়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সুশাসন নিশ্চিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আইনের পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক’ প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও তিন সদস্যের পরিবর্তে ‘পরিসর’ বাড়িয়ে পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠনের সুপারিশ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে গঠিত সংস্কার কমিশন। সংস্কার কমিশনের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রটি জানায়, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীন কমিশন গঠনে সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় আঙ্গিকে ১১ দফা এবং দুদক সংস্কারে ৩৬ দফাসহ সর্বমোট ৪৭ দফা সুপারিশ করা হয়েছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে। আজ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
কমিশনকে কার্যকর ও গতিশীল করতে তিন সদস্যের কমিশন পরিসর দুদকের কাজের জন্য যথেষ্ট মনে করছে না সংস্কার কমিশন। তাই তিন সদস্যের পরিবর্তে পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠনের সুপারিশ করবে বলে জানা গেছে। পাঁচ সদস্যের কমিশনে একজন নারী সদস্য যুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে দুদকের কাজের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে এমন বিচারিক ও ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো অভিজ্ঞদের যুক্ত করা এবং কমিশনের মেয়াদ পাঁচ থেকে কমিয়ে চার বছর করার সুপারিশ করা হবে।
সংস্কার কমিশন সূত্রে জান যায়, কমিশন গঠনে যে দুদক আইনে সার্চ কমিটির কথা বলা রয়েছে, সেটি পরিবর্তন করে ‘বাছাই ও পর্যবেক্ষক কমিটি’ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই কমিটি কমিশন বাছাই করে দেবে, সেই সঙ্গে কমিশন কী ডেলিভারি করছে তা ছয় মাস পর পর পর্যবেক্ষণ করবে। এটার জন্য সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিও প্রতিবেদনে সুপারিশ আকারে দিয়েছেন তাঁরা।
কমিশন গঠনে বিতর্কিত ‘সার্চ’ কমিটি ও দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনা এড়াতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বাদ দিয়ে তার পরে যিনি সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ হবেন, তিনি হবেন বাছাই কমিটির প্রধান, হাইকোর্টের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ একজন সদস্য হবেন, একজন থাকবেন, প্রধান বিচারপতির নিযুক্ত একজন যিনি বাংলাদেশের শাসন সম্পর্কে জানেন, মহাহিসাব নিরীক্ষক, পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে একজন, সংসদ নেতা থেকে মনোনীত একজন সদস্য ও প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা থেকে মনোনীত একজন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে বাছাই কমিটি।
কমিশন নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে নিয়োগ দেওয়ার একটি পদ্ধতি সংস্কার কমিশনের সুপারিশে তুলে ধরা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ‘যোগ্যতা’ ও ‘শর্ত’ পূরণ সাপেক্ষে যে কেউ চাইলে কমিশনার হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কমিশন ‘বাছাই ও পর্যবেক্ষক’ কমিটির বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া দুদকের বিতর্কিত চাকরিবিধি ৫৪–এর ২ ধারা বাতিল, সচিব পদ থেকে নিচের দিকের পদগুলোতে নিয়োগ–পদায়নে কমিশনের আইনের বড় পরিবর্তন এনে সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এর মধ্যে সচিব নিয়োগ, মহাপরিচালক পদে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা থেকে ৬০ শতাংশ পদায়ন ও পদোন্নতি, পরিচালক পদে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা ৭৫ শতাংশ করার সুপারিশ তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের চাকরি থেকে অপসারণ করারও সুপারিশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দুদক আইনে স্বাধীন প্রসিকিউশনের কথা বলা থাকলেও সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার দুই দশকে প্রসিকিউশনই গঠন করা হয়নি। সংস্কার কমিশন একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে, এতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ নিজস্ব কর্মীর মাধ্যমে প্রসিকিউশনের যাত্রা শুরু করবে। পরে ক্রমান্বয়ে তা বাড়িয়ে নিজস্ব প্রসিকিউশন টিম গঠন করা হবে।
একইভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের যে পূর্বানুমতির বিধান করা হয়েছিল, সেটি পুরোপুরি বিলুপ্তি করার বিষয়টি প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিশনের কাজের পরিধি বাড়াতে চলমান ৩৬ জেলা কার্যালয়ের পরিবর্তে প্রতিটি জেলায় দুদকের কার্যালয় চালু করতে হবে। এখন যে জেলা কার্যালয়গুলো আছে, সেগুলোতে বিশেষ জজ আদালত স্থাপন এবং ক্রমান্বয়ে সব জেলায় জেলা কার্যালয় স্থাপন ও বিশেষ জজ আদালত গঠন করতে হবে ।
সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদক একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে, এটাকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। আমরা চাই, দুদক স্বাধীন ও কার্যকর হবে। তাই বলে দুদকের স্বাধীনতা সীমাহীন নয়। আমরা একটি পরিপূর্ণ সংস্কার সুপারিশ তৈরি করেছি।’
সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন দেবে, তাতে দুদক ছাড়াও দুর্নীতি দমনে ভূমিকা রাখাতে পারে এমন রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিষয়েও ১১ দফা সুপারিশ করা হবে। এতে সংসদ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, বিভিন্ন কমিশন, রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজ, এনজিও, গণমাধ্যমসহ অংশীজনদের বিষয়ে কৌশলপত্র রয়েছে।
কমিশন গঠন হবে ওপেন কমপিটিশনে
কমিশন গঠনের বিষয়টি এত দিন গোপন থাকলেও এবার এটা সবার জন্য উন্মুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। সংস্কার কমিশন তিনটি পদ্ধতির কথা সুপারিশ করেছে, একটি হলো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ‘শর্ত পূরণ’ সাপেক্ষে যে কেউ চাইলে কমিশনার হতে আবেদন করতে পারবেন বা ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, ‘বাছাই ও পর্যবেক্ষক’ কমিটি চাইলে বাছাই করে প্রার্থীর তালিকা তৈরি করতে পারবে। তৃতীয় হলো, কেউ চাইলে প্রার্থী মনোনীত করতে পারবেন।
প্রত্যেক প্রার্থীকে জীবনবৃত্তান্ত, পাশাপাশি দুদক সম্পর্কে তাঁর জানাশোনা ও চিন্তাভাবনা কী, দুদক সম্পর্কে তাঁদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানা, প্রাথমিকভাবে তাঁদের তালিকা করা—এভাবে মিনিমাম কোয়ালিটি যাঁরা মিট করবেন, তাঁদের শর্ট লিস্টে তালিকাভুক্তদের ইন্টারভিউ করার জন্য ডাকা হবে।
প্রাথমিক তালিকা থেকে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে তিনজন করে ১৫ জন বাছাই করবে কমিটি। পরে এই নামগুলো এক সপ্তাহের জন্য পাবলিক করে দেওয়া হবে। এক সপ্তাহ পর সেই তালিকা থেকে ১০ জনকে বাছাই করা হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের তালিকা দেবে। তবে সেই ১০ জনের নাম আর প্রকাশ করবে না। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি পাঁচজনকে নিয়োগ দেবেন।
কমিশন গঠনের পর বাছাই কমিটি দেখবে দুদক কী করল, কোন মামলাগুলো কী কারণে নেওয়া হলো, কী কারণে নেওয়া হলো না। কমিশন ছয় মাস পরপর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবে। এই পর্যালোচনাগুলো নিয়ে পড়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চারটি সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া প্রতিবেদনগুলো নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের রূপরেখা। এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই একটি জাতীয় নির্দেশিকা প্রণীত হবে, যা গণঅভ্যুত্থানের নীতিমালা হিসেবে কাজ করবে।
৭ মিনিট আগেআইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, জুলাই গণহত্যার বিচার অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই ট্রায়াল কোর্ট তথা বিচারিক আদালতে এই বিচারকাজ শেষ করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
১৩ মিনিট আগেরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্কারকে কেন্দ্র করে গঠিত ৬টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে ৪ টির পক্ষ থেকে আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ৬টি কমিশনেরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এরপর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ এসব প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে
৪৩ মিনিট আগেসংবিধান, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কমিশনগুলোর প্রধান ও সদস্যরা প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন
৪ ঘণ্টা আগে