মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
রোহিঙ্গা হয়েও বাংলাদেশে ভোটার হওয়া এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগ ওঠা ৪৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এই ব্যক্তিদের তালিকাসহ ইসিতে চিঠি পাঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটি কাজ করছে। প্রাথমিক নথির কাজ এগিয়ে রাখা হয়েছে। এই তালিকায় অনেক পুরোনো ভোটার রয়েছেন, তাঁদের ২ নম্বর ফরম সার্ভারে নেই। তাই তদন্তের জন্য মাঠ পর্যায়ে যেতে হবে।
মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভুয়া পরিচয়ে ভোটার হওয়া এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগ বেশ পুরোনো।
ইসির সূত্র জানায়, ৪৭ জনের বিষয়ে দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছে গত জুনে। তাঁদের এনআইডি নম্বর, বাবা-মা ও ঠিকানাও উল্লেখ করা হয়। সচেতন নাগরিক পরিচয় দিয়ে কক্সবাজার থেকে দুদকে পাঠানো ওই অভিযোগে বলা হয়, মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে এসব রোহিঙ্গা নাগরিককে এনআইডি দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভায় অতীতের আরএস ও বিএস খতিয়ান প্রয়োজন পড়ে না। কেবল ‘ভূমিহীন সনদ’ ও অন্যান্য প্রত্যয়নপত্র দিয়ে এনআইডি করা যায়। জনপ্রতিনিধিরা ভোটার করতে রোহিঙ্গাদের কারও কারও কাছ থেকে ১০ লাখ টাকাও নিয়েছেন।
ইসিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযোগ ওঠা ৪৭ জনের মধ্যে ১৭ জন ভোটার হয়েছেন ২০০৮ সালে। ফলে ইসির সার্ভারে তাঁদের ২ নম্বর ফরম নেই। ৪৭ জনের তালিকায় ১ নম্বরে থাকা রিনা আক্তার ২০২২ সালে হালনাগাদের সময় ভোটার হয়েছেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁর জন্ম ২০০০ সালের ১৪ নভেম্বর। বাবার নাম নুর কবির, জন্ম ১৯৬২ সালের ৮ অক্টোবর। নুর কবিরের ফরমে স্ত্রীর ঘরে লেখা আছে ছেনুয়ারা বেগম। কিন্তু রিনা আক্তারের এনআইডিতে মায়ের নাম জন্নাতুল ফেরদৌস। ২০০৮ সালে ভোটার হওয়া জন্নাতুলের জন্মতারিখ দেওয়া হয়েছে ১৯৮৮ সালের ১ জানুয়ারি। ভোটার হওয়ার সময় তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
দুদকে পাঠানো ওই তালিকায় থাকা জোবায়েরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মা পরিচয় দিয়ে এনআইডি নিয়েছেন। ছেনুয়ারা বেগমের বিরুদ্ধেও আমজাদ হোসেন নামের একজনকে বিয়ে করে শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মা পরিচয় দিয়ে এনআইডি নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এই ছেনুয়ারার ছেলে পরিচয়ে ২০২২ সালে ভোটার হন আশরাফুল ইসলাম। তাঁর জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২০০২ সালের ৪ এপ্রিল। ছেনুয়ারা ২০০৮ সালে ভোটার হওয়ার সময় অবিবাহিত ছিলেন।
অভিযোগ ওঠা আরেকজন সাদিয়া আক্তার। তাঁর নাম ২ নম্বর ফরমে নেই। তিনি ভোটার এলাকা স্থানান্তর করেছেন। আরেকজন হোসনে আরা ভোটার হয়েছেন ২০১৮ সালে। ভোটার হওয়ার সময় বাবা-মায়ের এনআইডি না দেওয়ায় দুদকে অভিযোগ পৌঁছার আগেই তাঁর এনআইডি লক করেছে ইসি। ২০১৫ সালে হালনাগাদের সময় ভোটার হওয়া মোহাম্মদ আলীর নামও আছে ওই তালিকায়। তাঁর জন্মতারিখ ১৯৯৮ সালের ১০ জানুয়ারি। তাঁর বাবা মফিজুর রহমান ও মা সবুরা খাতুন, দুজনেরই জন্ম ১৯৪৮ সালে।
দুদকে পাঠানো ওই অভিযোগে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে বিদেশেও চলে গেছেন। জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে জন্মসনদ, ভূমিহীন সনদ, এনআইডি তৈরি করেছে।
দুদক হয়ে আসা তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি কাজ করছে। তিনি বলেন, শুধু কক্সবাজার নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে রোহিঙ্গারা ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছেন। কোনোভাবেই যাতে তাঁরা ভোটার হতে না পারেন, সে বিষয়ে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
রোহিঙ্গা হয়েও বাংলাদেশে ভোটার হওয়া এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগ ওঠা ৪৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এই ব্যক্তিদের তালিকাসহ ইসিতে চিঠি পাঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটি কাজ করছে। প্রাথমিক নথির কাজ এগিয়ে রাখা হয়েছে। এই তালিকায় অনেক পুরোনো ভোটার রয়েছেন, তাঁদের ২ নম্বর ফরম সার্ভারে নেই। তাই তদন্তের জন্য মাঠ পর্যায়ে যেতে হবে।
মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভুয়া পরিচয়ে ভোটার হওয়া এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগ বেশ পুরোনো।
ইসির সূত্র জানায়, ৪৭ জনের বিষয়ে দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছে গত জুনে। তাঁদের এনআইডি নম্বর, বাবা-মা ও ঠিকানাও উল্লেখ করা হয়। সচেতন নাগরিক পরিচয় দিয়ে কক্সবাজার থেকে দুদকে পাঠানো ওই অভিযোগে বলা হয়, মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে এসব রোহিঙ্গা নাগরিককে এনআইডি দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভায় অতীতের আরএস ও বিএস খতিয়ান প্রয়োজন পড়ে না। কেবল ‘ভূমিহীন সনদ’ ও অন্যান্য প্রত্যয়নপত্র দিয়ে এনআইডি করা যায়। জনপ্রতিনিধিরা ভোটার করতে রোহিঙ্গাদের কারও কারও কাছ থেকে ১০ লাখ টাকাও নিয়েছেন।
ইসিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযোগ ওঠা ৪৭ জনের মধ্যে ১৭ জন ভোটার হয়েছেন ২০০৮ সালে। ফলে ইসির সার্ভারে তাঁদের ২ নম্বর ফরম নেই। ৪৭ জনের তালিকায় ১ নম্বরে থাকা রিনা আক্তার ২০২২ সালে হালনাগাদের সময় ভোটার হয়েছেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁর জন্ম ২০০০ সালের ১৪ নভেম্বর। বাবার নাম নুর কবির, জন্ম ১৯৬২ সালের ৮ অক্টোবর। নুর কবিরের ফরমে স্ত্রীর ঘরে লেখা আছে ছেনুয়ারা বেগম। কিন্তু রিনা আক্তারের এনআইডিতে মায়ের নাম জন্নাতুল ফেরদৌস। ২০০৮ সালে ভোটার হওয়া জন্নাতুলের জন্মতারিখ দেওয়া হয়েছে ১৯৮৮ সালের ১ জানুয়ারি। ভোটার হওয়ার সময় তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
দুদকে পাঠানো ওই তালিকায় থাকা জোবায়েরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মা পরিচয় দিয়ে এনআইডি নিয়েছেন। ছেনুয়ারা বেগমের বিরুদ্ধেও আমজাদ হোসেন নামের একজনকে বিয়ে করে শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মা পরিচয় দিয়ে এনআইডি নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এই ছেনুয়ারার ছেলে পরিচয়ে ২০২২ সালে ভোটার হন আশরাফুল ইসলাম। তাঁর জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২০০২ সালের ৪ এপ্রিল। ছেনুয়ারা ২০০৮ সালে ভোটার হওয়ার সময় অবিবাহিত ছিলেন।
অভিযোগ ওঠা আরেকজন সাদিয়া আক্তার। তাঁর নাম ২ নম্বর ফরমে নেই। তিনি ভোটার এলাকা স্থানান্তর করেছেন। আরেকজন হোসনে আরা ভোটার হয়েছেন ২০১৮ সালে। ভোটার হওয়ার সময় বাবা-মায়ের এনআইডি না দেওয়ায় দুদকে অভিযোগ পৌঁছার আগেই তাঁর এনআইডি লক করেছে ইসি। ২০১৫ সালে হালনাগাদের সময় ভোটার হওয়া মোহাম্মদ আলীর নামও আছে ওই তালিকায়। তাঁর জন্মতারিখ ১৯৯৮ সালের ১০ জানুয়ারি। তাঁর বাবা মফিজুর রহমান ও মা সবুরা খাতুন, দুজনেরই জন্ম ১৯৪৮ সালে।
দুদকে পাঠানো ওই অভিযোগে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে বিদেশেও চলে গেছেন। জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে জন্মসনদ, ভূমিহীন সনদ, এনআইডি তৈরি করেছে।
দুদক হয়ে আসা তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি কাজ করছে। তিনি বলেন, শুধু কক্সবাজার নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে রোহিঙ্গারা ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছেন। কোনোভাবেই যাতে তাঁরা ভোটার হতে না পারেন, সে বিষয়ে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত গেজেটে বাদ পড়া ২২৭ জন প্রার্থী পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী রোববার তাঁরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাদ পড়া প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত জানায়।
৪ ঘণ্টা আগেআগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোর অফিস করার উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। ফ্লোরগুলোতে ঠিক কবে থেকে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করা হবে, সে সিদ্ধান্ত দেবে সরকারের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি।
৪ ঘণ্টা আগেইসকনের সাবেক নেতা ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস শিগগির জামিনে মুক্তি পাবেন বলে আত্মবিশ্বাসী তাঁর আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে গ্লোবালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন
৬ ঘণ্টা আগেসরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে সচিবদের কাছে আধা সরকারি পত্র দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়
৮ ঘণ্টা আগে