উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে জোর আইএলওর

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৪, ২২: ০৪
আপডেট : ২৮ মে ২০২৪, ২৩: ৫৬

বাংলাদেশে অনেক তরুণ মানুষ থাকার অর্থনৈতিক সুফল পেতে হলে তাঁদের দক্ষতা বাড়াতে বাড়াতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। আর তাঁদের জন্য মানসম্মত কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে। 

আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এ কথা বলেছে। 

আইএলওর ‘এশিয়া প্যাসিফিক এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলা হয়। ব্যাংককে এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। 

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএলও জানায়, সংস্থাটির এদেশীয় পরিচালক টুমো পোটিআইনেন এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক তরুণ কর্মী থাকার ফল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পেতে হলে তাঁদের আধুনিক প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে হবে। তাঁদের জন্য মানসম্মত কাজের সুযোগ বাড়াতে হবে। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশকে ২০৫০ সাল নাগাদ উচ্চ-আয়ের দেশ হতে হলে আগামী দশকগুলোয় কর্মীদের বার্ষিক উৎপাদনশীলতার হার কমপক্ষে ছয় শতাংশে নিতে হবে। বর্তমানে যা ৪ দশমিক ১ শতাংশ। এর অর্থ হলো—উচ্চ-আয়ের দেশ হতে হলে বাংলাদেশকে এখন থেকেই কর্মীদের উৎপাদনশীলতা প্রতি বছর ১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়াতে হবে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোয় প্রতি তিনজনে দুজন অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে থাকেন। এখানে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এতে ৬৮ বছরের বেশি বয়সের মানুষের সংখ্যা ২০৫০ সালে দ্বিগুণ হবে। যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলবে। পূর্ব এশিয়ায় এই প্রভাব বেশি পড়বে। আর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় তরুণের সংখ্যা বেশি থাকার যে সুবিধা এখন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পাচ্ছে, তা কমতে থাকবে। 

টুমো পোটিআইনেন স্মরণ করিয়ে দেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোয় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশেও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে ২০৪৮ সাল নাগাদ এখানে বয়স্ক মানুষ তুলনামূলক বেশি হবে। এ কারণে এখানে সামাজিক সুরক্ষার জন্য পেনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি জোরদার করা জরুরি হয়ে যাবে। সেবা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত