নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে পরিবর্তন আনছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সংশোধিত আইনের খসড়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞায় গুম ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা যুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কোনো রাজনৈতিক দল এ আইনের অধীনে কোনো অপরাধ করলে দলকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আইনে পাঁচটি ধারা–উপধারা সংযোজন এবং তিনটি ধারা সংশোধনের খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, ‘সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান বৈশ্বিক পটভূমিতে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও বিচারব্যবস্থার মানদণ্ডের আলোকে আইনটি সংশোধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের (সংশোধিত) খসড়া প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান। এতে বলা হয়, এই সংশোধনীর মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞায় গুম, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন দাসত্ব, জোর করে যৌনকর্ম, জোর করে গর্ভধারণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো বিদ্যমান আইনে নেই। এ ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ করলে সে দলকে ১০ বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, বিচার কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ট্রাইব্যুনাল চাইলে শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন। অভিযুক্ত চাইলে তাঁর পক্ষে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবেন।
সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সংশোধনীর যে প্রস্তাবগুলো আনা হয়েছে, আসামিদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি খসড়ায় যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) আন্তর্জাতিক আইনজীবী আনতে চাইলে আনতে পারবেন, সেই বিধানও থাকা দরকার।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, সবার মতামতের ভিত্তিতে এই আইন এমনভাবে সংশোধন করা হোক, যার মাধ্যমে ভুক্তভোগী এবং আসামি—দুই পক্ষই যাতে মনে করে ন্যায়বিচার হয়েছে।
সভায় নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, (বিগত সরকারের আমলে) চার ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। একটা হলো মানবতাবিরোধী অপরাধ। আরেকটি হলো ফৌজদারি অপরাধ। যারা গুম করেছে, খুন করেছে বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছে। তৃতীয় হলো আর্থিক দুর্নীতি, লুটপাট, ব্যাংক লুট ও বিদেশে টাকা পাচার। আরেকটি হলো নির্বাচনব্যবস্থা–সংক্রান্ত অপরাধ। যারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছে।
সভায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়েছে কবে? খুঁজে পাবেন সেই নুরেমবার্গের আমলে। ২০২৪–এ এসে আশা করি নুরেমবার্গ প্রয়োগ করতে যাব না। ...এখানে শুধু কয়েকজন তৃপ্তি পাবে, যারা অন্য রাজনীতি করে।’
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন— স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, অধিকারকর্মী ডেভিড বার্গম্যান, সাবেক জেলা জজ ইকতেদার আহমেদ, আইনজীবী শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে এ পর্যন্ত কয়েকবার সংশোধনী আনা হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ সালে এ আইনে প্রথমবার সংশোধনী আনা হয়। এরপর ২০১২ সালে দ্বিতীয় সংশোধনীতে আসামির অনুপস্থিতিতে তাঁকে পলাতক ঘোষণা করে বিচার এবং এক ট্রাইব্যুনাল থেকে আরেক ট্রাইব্যুনালে (প্রথমে ট্রাইব্যুনাল ছিল একটি, পরে দুটি করা হয়) মামলা স্থানান্তরের বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৩ সালে সর্বশেষ সংশোধনীর ফলে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করার সমান সুযোগের বিধান যুক্ত হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে পরিবর্তন আনছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সংশোধিত আইনের খসড়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞায় গুম ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা যুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কোনো রাজনৈতিক দল এ আইনের অধীনে কোনো অপরাধ করলে দলকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আইনে পাঁচটি ধারা–উপধারা সংযোজন এবং তিনটি ধারা সংশোধনের খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, ‘সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান বৈশ্বিক পটভূমিতে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও বিচারব্যবস্থার মানদণ্ডের আলোকে আইনটি সংশোধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের (সংশোধিত) খসড়া প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান। এতে বলা হয়, এই সংশোধনীর মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞায় গুম, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন দাসত্ব, জোর করে যৌনকর্ম, জোর করে গর্ভধারণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো বিদ্যমান আইনে নেই। এ ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ করলে সে দলকে ১০ বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, বিচার কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ট্রাইব্যুনাল চাইলে শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন। অভিযুক্ত চাইলে তাঁর পক্ষে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবেন।
সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সংশোধনীর যে প্রস্তাবগুলো আনা হয়েছে, আসামিদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি খসড়ায় যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) আন্তর্জাতিক আইনজীবী আনতে চাইলে আনতে পারবেন, সেই বিধানও থাকা দরকার।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, সবার মতামতের ভিত্তিতে এই আইন এমনভাবে সংশোধন করা হোক, যার মাধ্যমে ভুক্তভোগী এবং আসামি—দুই পক্ষই যাতে মনে করে ন্যায়বিচার হয়েছে।
সভায় নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, (বিগত সরকারের আমলে) চার ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। একটা হলো মানবতাবিরোধী অপরাধ। আরেকটি হলো ফৌজদারি অপরাধ। যারা গুম করেছে, খুন করেছে বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছে। তৃতীয় হলো আর্থিক দুর্নীতি, লুটপাট, ব্যাংক লুট ও বিদেশে টাকা পাচার। আরেকটি হলো নির্বাচনব্যবস্থা–সংক্রান্ত অপরাধ। যারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছে।
সভায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়েছে কবে? খুঁজে পাবেন সেই নুরেমবার্গের আমলে। ২০২৪–এ এসে আশা করি নুরেমবার্গ প্রয়োগ করতে যাব না। ...এখানে শুধু কয়েকজন তৃপ্তি পাবে, যারা অন্য রাজনীতি করে।’
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন— স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, অধিকারকর্মী ডেভিড বার্গম্যান, সাবেক জেলা জজ ইকতেদার আহমেদ, আইনজীবী শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে এ পর্যন্ত কয়েকবার সংশোধনী আনা হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ সালে এ আইনে প্রথমবার সংশোধনী আনা হয়। এরপর ২০১২ সালে দ্বিতীয় সংশোধনীতে আসামির অনুপস্থিতিতে তাঁকে পলাতক ঘোষণা করে বিচার এবং এক ট্রাইব্যুনাল থেকে আরেক ট্রাইব্যুনালে (প্রথমে ট্রাইব্যুনাল ছিল একটি, পরে দুটি করা হয়) মামলা স্থানান্তরের বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৩ সালে সর্বশেষ সংশোধনীর ফলে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করার সমান সুযোগের বিধান যুক্ত হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়
১ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করবে বলে জানিয়েছেন কমিশনটির প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘যদি কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশের খসড়া প্রকাশ করা সম্ভব হবে। সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে দে
২ ঘণ্টা আগেজাপান বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি জানান, জাপান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে