জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকা
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। এই ধাপে ১১৬ জন প্রার্থীর সম্পদ ১ কোটি টাকা বা তাঁর বেশি ৷ শতকরা হারে যা ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। একই সঙ্গে এবার প্রায় ২৫ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ বা দায় রয়েছে। অর্থাৎ প্রায় প্রতি চারজন প্রার্থীর মধ্যে একজন ঋণগ্রস্ত প্রার্থী রয়েছেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এ তথ্য জানায় টিআইবি।
টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট প্রার্থী ১ হাজার ৮১১ জন। চেয়ারম্যান পদে নারী প্রার্থী তুলনামূলকভাবে কম—মাত্র ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং পুরুষ প্রার্থী ৯৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। এই ধাপে ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ (৩৯ দশমিক ২৩ শতাংশ), ভাইস চেয়ারম্যান ১৬৭ (২৪ দশমিক ২৪ শতাংশ) ও ৬০ (১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ) জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।
টিআইবি জানায়, প্রথম ধাপে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের ১৩ জন স্বজন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এই ধাপে তা বেড়ে ১৭ জন হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ; ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৮ দশমিক ৭৩ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রার্থী পেশা হিসেবে ব্যবসা দেখিয়েছেন। প্রার্থীদের ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত।
টিআইবি দাবি করে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের সংখ্যা ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গৃহিণী বা গৃহস্থালি, কৃষিজীবী ও শিক্ষক প্রার্থীদের পরিমাণ ক্রমশ কমছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দ্বিতীয় ধাপে জমির মালিকানার দিক দিয়ে আইনি সীমা অতিক্রম করেছেন চারজন প্রার্থী। আইন অনুযায়ী, একজন নাগরিক সর্বোচ্চ ১০০ বিঘা বা ৩৩ একর জমির মালিক হতে পারেন। আইনি সীমার বাইরে এই চার প্রার্থীর মোট অতিরিক্ত জমি রয়েছে ৩৮ দশমিক ৭৩ একর। এই তালিকার শীর্ষে আছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলাম। তাঁর মোট জমির পরিমাণ ৫৪ দশমিক ৬ একর। সীমার বাইরে জমির মালিক বাকি তিন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের মোহাম্মদ আব্দুল হালিম ৪১ দশমিক ৩ একর, কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ের সামসুল আলম ৪০ দশমিক ৫৪ একর ও মানিকগঞ্জের শিবালয়ের মো. আবদুর রহিম খান ৩৪ দশমিক ২৯ একর।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় অন্তত ১০০ শতাংশ বা তার বেশি আয় বেড়েছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ১২০ জন। দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের মধ্যে আয় বৃদ্ধির দিক দিয়ে সবার ওপরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের নারী ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর সম্পদ বেড়েছে ১০ হাজার ৯০০ শতাংশ। ১ হাজার শতাংশের বেশি আয় বেড়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঠাকুরগাঁও সদরের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুর রশিদের। তাঁর আয় বেড়েছে ১০ হাজার ৮৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। একই সময়ে ১০০ শতাংশ বা তার বেশি অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৫৬ জন প্রার্থীর। স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের অস্থাবর সম্পদ অন্তত ১০০ শতাংশ বেড়েছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৪২ জন।
টিআইবি আরও জানায়, উপজেলা নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচিত হননি এমন প্রার্থীর গত পাঁচ বছরের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, অনির্বাচিতদের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। অর্থাৎ, ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বাড়ার প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে শুধু তাঁদের নিজেদেরই নয়, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বড় দুই দলই দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের পদকে আয় ও সম্পদ বিকাশের মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। ফলে শুধু জনস্বার্থ নয়, দলীয় স্বার্থের বিষয়ও প্রাধান্য থাকছে না প্রার্থীদের কাছে।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, নির্বাচনে এক দলের একচ্ছত্র আধিপত্য গভীরতর প্রতিষ্ঠা লাভ করছে। প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থীর সংখ্যা বাড়লেও এটিকে গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে তুলনা করা যাবে না।
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। এই ধাপে ১১৬ জন প্রার্থীর সম্পদ ১ কোটি টাকা বা তাঁর বেশি ৷ শতকরা হারে যা ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। একই সঙ্গে এবার প্রায় ২৫ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ বা দায় রয়েছে। অর্থাৎ প্রায় প্রতি চারজন প্রার্থীর মধ্যে একজন ঋণগ্রস্ত প্রার্থী রয়েছেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এ তথ্য জানায় টিআইবি।
টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট প্রার্থী ১ হাজার ৮১১ জন। চেয়ারম্যান পদে নারী প্রার্থী তুলনামূলকভাবে কম—মাত্র ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং পুরুষ প্রার্থী ৯৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। এই ধাপে ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ (৩৯ দশমিক ২৩ শতাংশ), ভাইস চেয়ারম্যান ১৬৭ (২৪ দশমিক ২৪ শতাংশ) ও ৬০ (১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ) জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।
টিআইবি জানায়, প্রথম ধাপে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের ১৩ জন স্বজন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এই ধাপে তা বেড়ে ১৭ জন হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ; ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৮ দশমিক ৭৩ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রার্থী পেশা হিসেবে ব্যবসা দেখিয়েছেন। প্রার্থীদের ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত।
টিআইবি দাবি করে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের সংখ্যা ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গৃহিণী বা গৃহস্থালি, কৃষিজীবী ও শিক্ষক প্রার্থীদের পরিমাণ ক্রমশ কমছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দ্বিতীয় ধাপে জমির মালিকানার দিক দিয়ে আইনি সীমা অতিক্রম করেছেন চারজন প্রার্থী। আইন অনুযায়ী, একজন নাগরিক সর্বোচ্চ ১০০ বিঘা বা ৩৩ একর জমির মালিক হতে পারেন। আইনি সীমার বাইরে এই চার প্রার্থীর মোট অতিরিক্ত জমি রয়েছে ৩৮ দশমিক ৭৩ একর। এই তালিকার শীর্ষে আছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলাম। তাঁর মোট জমির পরিমাণ ৫৪ দশমিক ৬ একর। সীমার বাইরে জমির মালিক বাকি তিন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের মোহাম্মদ আব্দুল হালিম ৪১ দশমিক ৩ একর, কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ের সামসুল আলম ৪০ দশমিক ৫৪ একর ও মানিকগঞ্জের শিবালয়ের মো. আবদুর রহিম খান ৩৪ দশমিক ২৯ একর।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় অন্তত ১০০ শতাংশ বা তার বেশি আয় বেড়েছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ১২০ জন। দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের মধ্যে আয় বৃদ্ধির দিক দিয়ে সবার ওপরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের নারী ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর সম্পদ বেড়েছে ১০ হাজার ৯০০ শতাংশ। ১ হাজার শতাংশের বেশি আয় বেড়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঠাকুরগাঁও সদরের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুর রশিদের। তাঁর আয় বেড়েছে ১০ হাজার ৮৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। একই সময়ে ১০০ শতাংশ বা তার বেশি অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৫৬ জন প্রার্থীর। স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের অস্থাবর সম্পদ অন্তত ১০০ শতাংশ বেড়েছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৪২ জন।
টিআইবি আরও জানায়, উপজেলা নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচিত হননি এমন প্রার্থীর গত পাঁচ বছরের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, অনির্বাচিতদের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। অর্থাৎ, ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বাড়ার প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে শুধু তাঁদের নিজেদেরই নয়, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বড় দুই দলই দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের পদকে আয় ও সম্পদ বিকাশের মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। ফলে শুধু জনস্বার্থ নয়, দলীয় স্বার্থের বিষয়ও প্রাধান্য থাকছে না প্রার্থীদের কাছে।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, নির্বাচনে এক দলের একচ্ছত্র আধিপত্য গভীরতর প্রতিষ্ঠা লাভ করছে। প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থীর সংখ্যা বাড়লেও এটিকে গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে তুলনা করা যাবে না।
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় ভ্রমণের ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে সরকার। স্ক্যাম চক্রের প্রতারণা এড়াতে নিয়োগ যাচাই এবং সাইবার নিরাপত্তা মেনে চলার পরামর্শ।
৩৯ মিনিট আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৭ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৮ ঘণ্টা আগে