Ajker Patrika

মানবতাবিরোধী সবচেয়ে বড় অপরাধ হলো গুম

  • গুমের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাইলেন গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা।
  • জুলাই-আগস্টের গণহত্যা তদন্তে সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা কামনা।
অনলাইন ডেস্ক
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ-বিচার প্রক্রিয়া: আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ-বিচার প্রক্রিয়া: আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

গুমকে পৃথিবীতে মানবতাবিরোধী সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছেন গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলেছেন, গুম করা হলে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির কোনো চিহ্ন থাকে না। পরিবারের কাছে কেবল তাঁর স্মৃতিটুকু থাকে। তাঁরা গুমের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত আলোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ-বিচার প্রক্রিয়া: আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা বলেন, গুমের শিকার যাঁরা ফিরে আসেননি, তাঁরা হয়তো ছেড়ে দিতে আকুতি জানিয়েছেন, আর্তনাদ করেছেন। বলেছেন, আর রাজনীতি করবেন না। ঘরে ছোট সন্তান, বৃদ্ধ মা-বাবা আছেন, বলেছেন। কিন্তু সেই আর্তনাদ ঘাতকদের কানে পৌঁছায়নি। বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের তদন্তে সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলি নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে সাধুবাদ জানিয়ে নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক তাসনিম খলিল বলেন, প্রতিবেদনের মূল কথা, জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর সংঘবদ্ধভাবে যে আক্রমণ চালানো হয়েছে, তা যে মানবতাবিরোধী অপরাধ, সেটা প্রমাণিত হয়েছে। তবে জাতিসংঘ বলছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ আরও ভালোভাবে প্রমাণের জন্য অধিক তদন্তের প্রয়োজন। এটা প্রমাণিত হলে তখন তা আর বাংলাদেশের বিষয় থাকবে না, এটি আন্তর্জাতিক একটি বিষয় হয়ে যাবে। এতে করে যাঁরা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাঁদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের বিষয়টি উঠে আসবে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের এই তদন্তে যা সহযোগিতা প্রয়োজন, তা সরবরাহ করুক। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের যাঁরা তদন্তকারী আছেন, তাঁদের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। কিন্তু সক্ষমতার একটি গুরুতর ঘাটতি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইতেই পারি।’

তাসনিম খলিল আরও বলেন, একই সঙ্গে যে ব্যক্তিরা বাংলাদেশ থেকে প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, সেই টাকা উদ্ধারেও সরকারের উচিত জাতিসংঘের সহায়তা নেওয়া।

গুম হওয়া সাংবাদিকের ছেলে মনোরম পলক বলেন, ‘আমার বাবাকে গুমের পর জেলে রাখা হয়। কিন্তু জামিন দেওয়া হয়নি। গুমের সেলগুলো এখনো ভাঙা হচ্ছে, রং করা হচ্ছে। তার মানে, এর পেছনে এখনো টাকা খরচ করা হচ্ছে। সেটা কে করছে?’

গুমের শিকার একজনের মেয়ে লামিয়া ইসলাম মীম বলেন, ‘আমার কিছু লাগবে না, শুধু বাবার হাত ধরে হাঁটতে চাই। আমরা শুনেছি, বাবা আয়নাঘরে আছেন। আমরা তো আয়নাঘরে দেখলাম, বাবাকে তো পেলাম না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনাবিরোধী গণবিক্ষোভের কথা আগেই জানত ভারত, পরামর্শ দেওয়া ছাড়া কিছু করার ছিল না: জয়শঙ্কর

হাসনাতের বক্তব্য অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব: নেত্র নিউজকে সেনাসদর

সেনানিবাসে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে দ্বিমত করে সারজিসের পোস্ট

এসিপির ইফতারে হাতাহাতি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা আহ্বায়ক গ্রেপ্তার

হাসনাত আবদুল্লাহর স্ট্যাটাসকে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বললেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত