সংসদ নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবী, আইনে কী আছে

সুলতান মাহমুদ, ঢাকা
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১: ২১
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬: ২২

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদস্য পদে কোনো সরকারি কর্মচারীর অংশ নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও মো. সালাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি রকেট প্রতীকে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন আসনে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। সবাই অবশ্য ক্ষমা চেয়েই পার পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা থামছে না।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি কর্মচারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি কোনো সরকারি কর্মচারী নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তাহলে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার তিন বছর পর তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এর আগে কেউ তথ্য গোপন করে নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন কমিশন তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে। তা ছাড়া তিনি যে বিভাগে চাকরি করেন সেই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন। 

নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)–১৯৭২–এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গেছেন এবং ওই পদত্যাগ বা অবসরে যাওয়ার পর তিন বছর অতিবাহিত না হলে তিনি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’ 

আইনের এই ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীর নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিষয়টি স্পষ্ট। 

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ‘রাজনীতি ও নির্বাচন’ অংশ অনুযায়ী, একজন সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশে বা বিদেশের কোনো আইনসভার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। 

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশে হোক বা অন্য কোথাও আইনসভার কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বা নির্বাচনে প্রচারণা বা এতে কোনোভাবে হস্তক্ষেপ বা তাঁর প্রভাব ব্যবহার করতে পারবেন না।’ 

বিধিমালা লঙ্ঘন
কেউ এই বিধিমালার কোনো বিধি লঙ্ঘন করলে তা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫-এর আওতাধীনে অসদাচরণ বলে গণ্য হবে এবং অনুরূপ লঙ্ঘনের জন্য কোনো সরকারি কর্মচারী দোষী সাব্যস্ত হলে বিধিমালার অধীনে অসদাচরণের জন্য শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রমের আওতায় আসবেন। 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী একজন সরকারি চাকরিজীবীর সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ তথ্য গোপন করে নির্বাচনে অংশ নেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে দুই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এক. নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করে দিতে পারে। দুই. প্রার্থী সরকারের যে ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন, সেই ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ আনতে পারে এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত