নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও কক্সবাজার প্রতিনিধি
রোহিঙ্গা সমস্যার উত্তরণের উপায় খুঁজতে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ রোববার সকালে কমিটির সভাপতি এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করেন। বিকেলে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সেমিনার কক্ষে স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা ৪ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) এর একটি ই-ভাউচার আউটলেট, ক্যাম্প-৫ এর একটি লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন শেষে রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে প্রতিনিধিদল ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখার জন্যই এ সফর।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে এ পরিদর্শন। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা স্বদেশে ফেরত যেতে চায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন—কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাইমুম সরওয়ার কমল, নাহিম রাজ্জাক, হাবিবুর রহমান ও জারা জাবীন মাহবুব। এ সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সেমিনার কক্ষে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদও অংশগ্রহণ করেন।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জোরদারকরণে করণীয় সম্পর্কে বৈঠকে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে ইউএনএইচসিআর, আরআরআরসি, স্থানীয় প্রশাসন, এনজিও ও রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিয়ে সার্বিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি আবদুল মোমেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈঠকে আমাদের বলা হয়েছে ইদানীং রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে স্থানীয় জনগণের চাকরি নিয়ে নিচ্ছে। সেখানে আমরা সুপারিশ করেছি চাকরিরত রোহিঙ্গাদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি যেসব মালিক তাদের চাকরি দিচ্ছে, তাদেরও কঠোর শাস্তি দেবে, যেটা বিদেশে হয়।’
আবদুল মোমেন বলেন, ‘প্রায় ১১ হাজার প্রবাসী বিভিন্ন দেশে জেলে আছেন। এর মধ্যে অর্ধেকই সৌদি আরবে, ভারতে প্রায় দেড় হাজার। তাই আমরা মন্ত্রণালয়কে বলেছি কাউন্সিলরদের জেলে গিয়ে আমাদের দেশের কতজন নাগরিক বন্দী আছে সেই তথ্য যাচাই করবেন। সেখানে প্রচেষ্টা চালাবেন তাদের জেল থেকে বের করার জন্য।’
সন্ত্রাসী ও ফ্যানাটিক গ্রুপগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাদের সদস্য রিক্রুট করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসবের কারণে শুধু আমাদের দেশে সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা নয়, আশপাশের দেশেও সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক বিস্তারজনিত সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গেও নিয়মিতভাবে আমরা আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি, যাতে করে নিজেদের নাগরিকদের পূর্ণ অধিকারসহ ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর কার্যত চাপ প্রয়োগ করা হয়।’
রোহিঙ্গা সমস্যার উত্তরণের উপায় খুঁজতে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ রোববার সকালে কমিটির সভাপতি এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করেন। বিকেলে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সেমিনার কক্ষে স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা ৪ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) এর একটি ই-ভাউচার আউটলেট, ক্যাম্প-৫ এর একটি লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন শেষে রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে প্রতিনিধিদল ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখার জন্যই এ সফর।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে এ পরিদর্শন। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা স্বদেশে ফেরত যেতে চায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন—কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাইমুম সরওয়ার কমল, নাহিম রাজ্জাক, হাবিবুর রহমান ও জারা জাবীন মাহবুব। এ সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সেমিনার কক্ষে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদও অংশগ্রহণ করেন।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জোরদারকরণে করণীয় সম্পর্কে বৈঠকে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে ইউএনএইচসিআর, আরআরআরসি, স্থানীয় প্রশাসন, এনজিও ও রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিয়ে সার্বিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি আবদুল মোমেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈঠকে আমাদের বলা হয়েছে ইদানীং রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে স্থানীয় জনগণের চাকরি নিয়ে নিচ্ছে। সেখানে আমরা সুপারিশ করেছি চাকরিরত রোহিঙ্গাদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি যেসব মালিক তাদের চাকরি দিচ্ছে, তাদেরও কঠোর শাস্তি দেবে, যেটা বিদেশে হয়।’
আবদুল মোমেন বলেন, ‘প্রায় ১১ হাজার প্রবাসী বিভিন্ন দেশে জেলে আছেন। এর মধ্যে অর্ধেকই সৌদি আরবে, ভারতে প্রায় দেড় হাজার। তাই আমরা মন্ত্রণালয়কে বলেছি কাউন্সিলরদের জেলে গিয়ে আমাদের দেশের কতজন নাগরিক বন্দী আছে সেই তথ্য যাচাই করবেন। সেখানে প্রচেষ্টা চালাবেন তাদের জেল থেকে বের করার জন্য।’
সন্ত্রাসী ও ফ্যানাটিক গ্রুপগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাদের সদস্য রিক্রুট করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসবের কারণে শুধু আমাদের দেশে সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা নয়, আশপাশের দেশেও সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক বিস্তারজনিত সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গেও নিয়মিতভাবে আমরা আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি, যাতে করে নিজেদের নাগরিকদের পূর্ণ অধিকারসহ ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর কার্যত চাপ প্রয়োগ করা হয়।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৩ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৪ ঘণ্টা আগে