নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই আসামিদের কনডেম সেলে না রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়।
আবেদনের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রায় পেলে আমরা আপিল করব। এখন রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এটি আগামীকাল বুধবার চেম্বার আদালতে শুনানি হবে।’
এর আগে তিন আসামির করা এই সংক্রান্ত রিট নিষ্পত্তি করে সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ রায় দেন।
হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগেই নির্জন কারাগারে দীর্ঘদিন রাখা দ্বিগুণ সাজা। এটি সংবিধান ও ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা অনুমোদন করে না। তাই বর্তমানে কনডেম সেলে থাকা আসামিদের দুই বছরের মধ্যে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে যাঁদের সংক্রামক বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা আছে, তাঁদের বিষয়ে শুনানি করে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের জামিন আবেদন হাইকোর্ট বিভাগকে অন্য আবেদনের মতো বিবেচনা করতে বলা হয় রায়ে। মৃত্যুদণ্ডের আসামিদের বিষয়ে তথ্য চাইলে কারা কর্তৃপক্ষ ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়কে বলা হয়েছে তা সরবরাহ করতে। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই সংক্রান্ত তথ্য বিস্তারিত উল্লেখ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মহাজন শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
রায়ের পর শিশির মনির বলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড হলেই কাউকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বলা যাবে না। এর জন্য হাইকোর্ট বিভাগ, আপিল বিভাগ ও রাষ্ট্রপতির নিকট করা আবেদন খারিজ হতে হবে। আর এসব প্রক্রিয়া শেষে কারও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলেই তাঁকে মৃত্যুর সেলে রাখা যাবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মহাজন শিশির মনির। রুল শুনানি শেষে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের তিন কয়েদি। তাঁরা হলেন সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির শাহ আলম। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের কনডেম সেলে বন্দী রাখা সংক্রান্ত কারাবিধির ৯৮০ বিধিটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সঙ্গে কনডেম সেলে রাখা বন্দীদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চান আদালত।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে আপিল করার সুযোগ পান। হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারেন।
আপিল বিভাগের রায়েও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। ক্ষমার এই আবেদন রাষ্ট্রপতি যদি নামঞ্জুর করেন অথবা দণ্ডিত যদি আবেদন না করেন তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারে সরকার। অথচ বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পরপরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেম সেলে বন্দী রাখা হচ্ছে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই আসামিদের কনডেম সেলে না রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়।
আবেদনের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রায় পেলে আমরা আপিল করব। এখন রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এটি আগামীকাল বুধবার চেম্বার আদালতে শুনানি হবে।’
এর আগে তিন আসামির করা এই সংক্রান্ত রিট নিষ্পত্তি করে সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ রায় দেন।
হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগেই নির্জন কারাগারে দীর্ঘদিন রাখা দ্বিগুণ সাজা। এটি সংবিধান ও ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা অনুমোদন করে না। তাই বর্তমানে কনডেম সেলে থাকা আসামিদের দুই বছরের মধ্যে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে যাঁদের সংক্রামক বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা আছে, তাঁদের বিষয়ে শুনানি করে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের জামিন আবেদন হাইকোর্ট বিভাগকে অন্য আবেদনের মতো বিবেচনা করতে বলা হয় রায়ে। মৃত্যুদণ্ডের আসামিদের বিষয়ে তথ্য চাইলে কারা কর্তৃপক্ষ ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়কে বলা হয়েছে তা সরবরাহ করতে। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই সংক্রান্ত তথ্য বিস্তারিত উল্লেখ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মহাজন শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
রায়ের পর শিশির মনির বলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড হলেই কাউকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বলা যাবে না। এর জন্য হাইকোর্ট বিভাগ, আপিল বিভাগ ও রাষ্ট্রপতির নিকট করা আবেদন খারিজ হতে হবে। আর এসব প্রক্রিয়া শেষে কারও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলেই তাঁকে মৃত্যুর সেলে রাখা যাবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মহাজন শিশির মনির। রুল শুনানি শেষে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের তিন কয়েদি। তাঁরা হলেন সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির শাহ আলম। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের কনডেম সেলে বন্দী রাখা সংক্রান্ত কারাবিধির ৯৮০ বিধিটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সঙ্গে কনডেম সেলে রাখা বন্দীদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চান আদালত।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে আপিল করার সুযোগ পান। হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারেন।
আপিল বিভাগের রায়েও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। ক্ষমার এই আবেদন রাষ্ট্রপতি যদি নামঞ্জুর করেন অথবা দণ্ডিত যদি আবেদন না করেন তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারে সরকার। অথচ বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পরপরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেম সেলে বন্দী রাখা হচ্ছে।
দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
৩ ঘণ্টা আগেদেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
৫ ঘণ্টা আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
৫ ঘণ্টা আগে