শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের কর্মসূচিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, বিএনপি, জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং স্বার্থান্বেষী মহল আন্দোলনকারীদের ওপর ভর করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে পারে।
এই আশঙ্কা থেকে আন্দোলন দুটি যেন কোনোভাবেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত না হয়, সে ব্যাপারে পুলিশের সব ইউনিটকে সতর্ক থাকতে বলেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
জানা গেছে, আন্দোলনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। পরে এটি পুলিশের সব ইউনিট, রেঞ্জ কার্যালয় ও এসপি অফিসে পাঠানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পেনশন কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষক আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে। পুলিশের মতোই দলটির নীতিনির্ধারকদের মূল্যায়ন হচ্ছে, বিএনপিসহ বিরোধীরা যেকোনো আন্দোলনকে সরকারবিরোধী অবস্থানে নিয়ে যেতে চেষ্টা করবে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্রও বলছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা যেন সরকারের প্রতিপক্ষ হয়ে না দাঁড়ায়, সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে তারা।
পুলিশের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমের বিরুদ্ধে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করতে থাকলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হবে। যেখান থেকে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পাল্টা আন্দোলনে যেতে পারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যার ফলে পুরো শিক্ষাঙ্গনের প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্য রাজনৈতিক দল পরিকল্পিতভাবে উসকানি দিয়ে এই আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা চালাবে।
প্রতিবেদনে পুলিশের সব ইউনিটের উদ্দেশে বলা হয়েছে, আন্দোলনে উসকানি দিয়ে কেউ যদি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার কোনো ধরনের অপচেষ্টা চালায় বা বিশৃঙ্খলা করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি এই দুই আন্দোলনকেন্দ্রিক বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-শিবির এবং সমমনা শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি বিশেষ নজরদারি করতে হবে।
যদিও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো শক্তি প্রয়োগ করবে না।
জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ পেশাদারির সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সময়ে দায়িত্ব পালন করছি। কোথাও যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি। এই আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়েও আমরা খেয়াল রাখছি।’
উসকানির কোনো বিষয় আছে কি না, জানতে চাইলে মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘এসব বড় মুভমেন্টে সব সময় তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। সে বিষয়ে আমাদের নজরদারি রয়েছে।’
চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের কর্মসূচিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, বিএনপি, জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং স্বার্থান্বেষী মহল আন্দোলনকারীদের ওপর ভর করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে পারে।
এই আশঙ্কা থেকে আন্দোলন দুটি যেন কোনোভাবেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত না হয়, সে ব্যাপারে পুলিশের সব ইউনিটকে সতর্ক থাকতে বলেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
জানা গেছে, আন্দোলনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। পরে এটি পুলিশের সব ইউনিট, রেঞ্জ কার্যালয় ও এসপি অফিসে পাঠানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পেনশন কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষক আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে। পুলিশের মতোই দলটির নীতিনির্ধারকদের মূল্যায়ন হচ্ছে, বিএনপিসহ বিরোধীরা যেকোনো আন্দোলনকে সরকারবিরোধী অবস্থানে নিয়ে যেতে চেষ্টা করবে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্রও বলছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা যেন সরকারের প্রতিপক্ষ হয়ে না দাঁড়ায়, সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে তারা।
পুলিশের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমের বিরুদ্ধে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করতে থাকলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হবে। যেখান থেকে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পাল্টা আন্দোলনে যেতে পারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যার ফলে পুরো শিক্ষাঙ্গনের প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্য রাজনৈতিক দল পরিকল্পিতভাবে উসকানি দিয়ে এই আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা চালাবে।
প্রতিবেদনে পুলিশের সব ইউনিটের উদ্দেশে বলা হয়েছে, আন্দোলনে উসকানি দিয়ে কেউ যদি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার কোনো ধরনের অপচেষ্টা চালায় বা বিশৃঙ্খলা করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি এই দুই আন্দোলনকেন্দ্রিক বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-শিবির এবং সমমনা শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি বিশেষ নজরদারি করতে হবে।
যদিও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো শক্তি প্রয়োগ করবে না।
জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ পেশাদারির সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সময়ে দায়িত্ব পালন করছি। কোথাও যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি। এই আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়েও আমরা খেয়াল রাখছি।’
উসকানির কোনো বিষয় আছে কি না, জানতে চাইলে মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘এসব বড় মুভমেন্টে সব সময় তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। সে বিষয়ে আমাদের নজরদারি রয়েছে।’
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় ভ্রমণের ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে সরকার। স্ক্যাম চক্রের প্রতারণা এড়াতে নিয়োগ যাচাই এবং সাইবার নিরাপত্তা মেনে চলার পরামর্শ।
১ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৭ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৮ ঘণ্টা আগে