নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত মিউনিখ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিও নেতৃত্ব, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সরকারি ও বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অংশ নেন।
আজ শুক্রবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর জার্মানি সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য দেন তিনি। সম্মেলনে তিনি জানান, ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি ‘ফ্রম পকেট টু প্ল্যানেট: স্কেলিং আপ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স’—সংক্রান্ত একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এই আলোচনায় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি, বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মটলে এবং মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোসা জামির।
প্যানেলে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে শেখ হাসিনা গাজা ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে চলমান যুদ্ধ-বিগ্রহ, অবৈধ দখলদারত্ব এবং নিরস্ত্র মানুষের, বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের, অমানবিক হত্যার কবল থেকে মুক্ত করে সকল প্রকার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানান। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার বিরূপ প্রভাব যে যুদ্ধক্ষেত্র থেকেও বহুদূর পর্যন্ত অনুভূত হয়, এ বিষয়ে আমি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকি ও তা মোকাবিলায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্যানেলে শেখ হাসিনা, অর্থহীন অস্ত্র-প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘটিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় রসদ ও অর্থায়ন সহজলভ্য ও কার্যকর করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন। মানবতার অস্তিত্বের সংকটকালে ক্ষুদ্র স্বার্থ যে শুধু অনর্থই বয়ে আনে-এই রূঢ় বাস্তবতা আমি সকলের সামনে তুলে ধরেন। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং তা মোকাবিলায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানান।
ওই দিনই উইমেন পলিটিক্যাল লিডারসের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সিলভানা কচ মেহরিন শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃ নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান এবং গত দেড় দশকে বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আলোচনায় শেখ হাসিনা আমাদের সরকারের-বিশেষ করে নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত নীতিসমূহের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
জার্মান সফরের প্রথম দিনে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আলোচনাকালে পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এলএনজি সরবরাহ প্রভৃতির পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও দ্রুত সমাধানে কাতারের অব্যাহত সমর্থনের ব্যাপারে তিনি আশ্বস্ত করেন। বৈঠকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সহিংসতা বন্ধে একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও আমরা আলোচনা করেন তাঁরা।
বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন নীতি ও অংশীদারত্ব বিষয়ক জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্সেল ভন ট্রটসেনবার্গের সঙ্গে বৈঠককালে শেখ হাসিনা চলতি অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংক হতে অঙ্গীকারকৃত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দ্রুত ছাড়ের আহ্বান জানান। বাংলাদেশের উচ্চ-মধ্যম আয় ও উচ্চ-আয়ের দেশের পর্যায়ে উত্তীর্ণ হওয়ার কাঙ্ক্ষিত পথে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে ট্রটসেনবার্গ শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেন।
একই দিনে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানম ঘেব্রেসিউস সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে—বিশেষ করে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বিশ্বের বাকি দেশগুলোকে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল অনুসরণ করার বিষয়ে অনুপ্রাণিত করার জন্য শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেন।
জার্মানি সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান। আলোচনাকালে বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং আইসিটি খাতে ড্যানিশ কোম্পানিসমূহের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের পাশাপাশি তিনি বিরাজমান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তাঁর সরকারের মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকার বিষয়েও শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেন ফ্রেডেরিকসেন।
সফরের দ্বিতীয় দিনে সকালে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয় শেখ হাসিনার। বৈঠককালে দুই নেতা বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়ন, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতসমূহে জ্ঞান-প্রযুক্তি-উদ্ভাবন বিস্তারে বিদ্যমান সহযোগিতা আরও গভীরতর করার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
একইদিন সকালে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। সাক্ষাৎকালে এই দুই নেতা দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে বর্তমানে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দুই দেশের বাণিজ্য নিজস্ব মুদ্রায় পরিচালনার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। এ সময় জয়শংকর আগামী এপ্রিল/মে মাসে ভারতীয় সাধারণ নির্বাচন পর দুই দেশের নতুন সরকারের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত পঞ্চবার্ষিক সহযোগিতা বিষয়ক রোডম্যাপ প্রণয়নের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আলোচনায় মিয়ানমার ও মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বিষয়েও পারস্পরিক মতবিনিময় করা হয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সাক্ষাৎকালে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান চলাচল অংশীদারত্ব, অভিবাসন, রোহিঙ্গা সমস্যা এবং ইউক্রেন ও গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ এবং মিয়ানমার ও লোহিত সাগরে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
একই দিনে জার্মান অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী সভেনিয়া শুলৎজা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইইউয়ের জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধাসহ, পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জার্মান বিনিয়োগ ও সার্বিক জলবায়ু সহনশীলতা অর্জন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।
এই দিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর। বৈঠককালে তাঁরা বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গম, ভোজ্যতেল ও অন্যান্য কৃষিপণ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের দ্রুত সমাধানের কার্যকর উপায় অন্বেষণের অনুরোধ করেন।
এরপর শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে নেতৃত্বদানের জন্য আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন এবং এ বছর নভেম্বরে বাকুতে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৯ সম্মেলনে যোগদানের জন্য শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান।
ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই নেতা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও হাইড্রোজেন প্রযুক্তি এবং দক্ষ অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন। এ ছাড়া, আমরা ইউক্রেন ও গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের প্রসঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত মিউনিখ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিও নেতৃত্ব, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সরকারি ও বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অংশ নেন।
আজ শুক্রবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর জার্মানি সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য দেন তিনি। সম্মেলনে তিনি জানান, ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি ‘ফ্রম পকেট টু প্ল্যানেট: স্কেলিং আপ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স’—সংক্রান্ত একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এই আলোচনায় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি, বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মটলে এবং মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোসা জামির।
প্যানেলে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে শেখ হাসিনা গাজা ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে চলমান যুদ্ধ-বিগ্রহ, অবৈধ দখলদারত্ব এবং নিরস্ত্র মানুষের, বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের, অমানবিক হত্যার কবল থেকে মুক্ত করে সকল প্রকার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানান। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার বিরূপ প্রভাব যে যুদ্ধক্ষেত্র থেকেও বহুদূর পর্যন্ত অনুভূত হয়, এ বিষয়ে আমি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকি ও তা মোকাবিলায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্যানেলে শেখ হাসিনা, অর্থহীন অস্ত্র-প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘটিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় রসদ ও অর্থায়ন সহজলভ্য ও কার্যকর করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন। মানবতার অস্তিত্বের সংকটকালে ক্ষুদ্র স্বার্থ যে শুধু অনর্থই বয়ে আনে-এই রূঢ় বাস্তবতা আমি সকলের সামনে তুলে ধরেন। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং তা মোকাবিলায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানান।
ওই দিনই উইমেন পলিটিক্যাল লিডারসের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সিলভানা কচ মেহরিন শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃ নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান এবং গত দেড় দশকে বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আলোচনায় শেখ হাসিনা আমাদের সরকারের-বিশেষ করে নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত নীতিসমূহের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
জার্মান সফরের প্রথম দিনে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আলোচনাকালে পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এলএনজি সরবরাহ প্রভৃতির পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও দ্রুত সমাধানে কাতারের অব্যাহত সমর্থনের ব্যাপারে তিনি আশ্বস্ত করেন। বৈঠকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সহিংসতা বন্ধে একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও আমরা আলোচনা করেন তাঁরা।
বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন নীতি ও অংশীদারত্ব বিষয়ক জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্সেল ভন ট্রটসেনবার্গের সঙ্গে বৈঠককালে শেখ হাসিনা চলতি অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংক হতে অঙ্গীকারকৃত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দ্রুত ছাড়ের আহ্বান জানান। বাংলাদেশের উচ্চ-মধ্যম আয় ও উচ্চ-আয়ের দেশের পর্যায়ে উত্তীর্ণ হওয়ার কাঙ্ক্ষিত পথে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে ট্রটসেনবার্গ শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেন।
একই দিনে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানম ঘেব্রেসিউস সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে—বিশেষ করে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বিশ্বের বাকি দেশগুলোকে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল অনুসরণ করার বিষয়ে অনুপ্রাণিত করার জন্য শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেন।
জার্মানি সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান। আলোচনাকালে বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং আইসিটি খাতে ড্যানিশ কোম্পানিসমূহের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের পাশাপাশি তিনি বিরাজমান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তাঁর সরকারের মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকার বিষয়েও শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেন ফ্রেডেরিকসেন।
সফরের দ্বিতীয় দিনে সকালে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয় শেখ হাসিনার। বৈঠককালে দুই নেতা বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়ন, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতসমূহে জ্ঞান-প্রযুক্তি-উদ্ভাবন বিস্তারে বিদ্যমান সহযোগিতা আরও গভীরতর করার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
একইদিন সকালে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। সাক্ষাৎকালে এই দুই নেতা দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে বর্তমানে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দুই দেশের বাণিজ্য নিজস্ব মুদ্রায় পরিচালনার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। এ সময় জয়শংকর আগামী এপ্রিল/মে মাসে ভারতীয় সাধারণ নির্বাচন পর দুই দেশের নতুন সরকারের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত পঞ্চবার্ষিক সহযোগিতা বিষয়ক রোডম্যাপ প্রণয়নের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আলোচনায় মিয়ানমার ও মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বিষয়েও পারস্পরিক মতবিনিময় করা হয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সাক্ষাৎকালে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান চলাচল অংশীদারত্ব, অভিবাসন, রোহিঙ্গা সমস্যা এবং ইউক্রেন ও গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ এবং মিয়ানমার ও লোহিত সাগরে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
একই দিনে জার্মান অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী সভেনিয়া শুলৎজা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইইউয়ের জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধাসহ, পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জার্মান বিনিয়োগ ও সার্বিক জলবায়ু সহনশীলতা অর্জন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।
এই দিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর। বৈঠককালে তাঁরা বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গম, ভোজ্যতেল ও অন্যান্য কৃষিপণ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের দ্রুত সমাধানের কার্যকর উপায় অন্বেষণের অনুরোধ করেন।
এরপর শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে নেতৃত্বদানের জন্য আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন এবং এ বছর নভেম্বরে বাকুতে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৯ সম্মেলনে যোগদানের জন্য শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান।
ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই নেতা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও হাইড্রোজেন প্রযুক্তি এবং দক্ষ অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন। এ ছাড়া, আমরা ইউক্রেন ও গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের প্রসঙ্গে মতবিনিময় করেন।
দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
৭ ঘণ্টা আগেদেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
৯ ঘণ্টা আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
৯ ঘণ্টা আগে