নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ১০০ নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জন বিদেশি বিশিষ্টজনের খোলাচিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ১৭১ বিশিষ্টজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিসার হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বাংলাদেশের বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের পক্ষে থেকে আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়।
নোবেল পুরস্কারজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সদস্যদের লেখা খোলাচিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর স্পষ্ট হুমকি হিসেবে মনে করেন এই বিশিষ্টজনেরা। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের করা চলমান মামলাগুলোর বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ অভিহিত করে এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন তাঁরা।
এই খোলাচিঠিতে ‘নিরপেক্ষ’ বিচারকের মাধ্যমে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বিচারের যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে হেয়প্রতিপন্ন করার শামিল বলে মনে করেন তাঁরা।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিতের দাবির প্রতিবাদে বিবৃতি দেওয়া দেশের ১৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীর মধ্যে রয়েছেন: নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক অনুপম সেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, শিল্পী হাশেম খান, কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী, আবুল বারক আলভী, লেখক বুলবন ওসমান, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, শিল্পী সাহাবুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আবুল বারকাত, আব্দুল বায়েস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, তারানা হালিম, ফাল্গুনী হামিদ, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি নির্মলেন্দু গুণ, অসীম সাহা, সাবেক বিচারপতি মমতাজউদ্দীন আহমেদ, আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ আলী জহির, প্রকৌশলী অধ্যাপক শামীম বাসুনিয়া, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, অভিনেত্রী লাকী ইনাম, কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য্য, নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডা. কামরুল হাসান খান, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, মঞ্চসারথী আতাউর রহমান প্রমুখ।
এর আগে একই ধরনের বিবৃতি দেয় ১৩টি সাংস্কৃতিক সংগঠন। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে বিদেশিদের বিবৃতি অগ্রহণযোগ্য।
যৌথ বিবৃতি দেওয়া ১৩টি জাতীয়ভিত্তিক সাংস্কৃতিক ফেডারেশনের মধ্যে রয়েছে: সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদ, অভিনয় শিল্পী সংঘ, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। এ ছাড়া পৃথকভাবে একই রকম বিবৃতি পাঠিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
গত সোমবার (২৮ আগস্ট) নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর খোলাচিঠি পাঠিয়েছেন ১৬০ জন বিদেশি বিশিষ্টজন। ওই চিঠিতে ১০০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ীসহ রাজনীতি, কূটনীতিক, ব্যবসা, শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যক্তিরা রয়েছেন। তাঁরা লিখেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি দেখেছি, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া এবং নির্বাচনে প্রশাসন দেশের সব বড় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনে বৈধতার অভাব ছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি আমাদের উদ্বিগ্ন করে, তা হলো নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা। আমরা উদ্বিগ্ন যে সম্প্রতি তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে। এটা ক্রমাগত বিচারিক হয়রানি বলেই আমাদের বিশ্বাস। আমরা বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যে, আপনি অবিলম্বে অধ্যাপক ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করুন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘হয়রানি বন্ধের’ আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
শুক্রবার বিবৃতিদাতা ১৭১ বিশিষ্টজন:
জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নয়:
১. অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, নগর-পরিকল্পনাবিদ ও সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
২. অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, সমাজবিজ্ঞানী
৩. অধ্যাপক ড. সৎ কুমার সাহা, অর্থনীতিবিদ
৪. অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
৫. শিল্পী হাশেম খান, ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬. অধ্যাপক বুলবন ওসমান, সমাজবিজ্ঞানী ও লেখক
৭. শিল্পী রফিকুন নবী, ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৮. অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সাবেক উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
৯. অধ্যাপক মাহফুজা খানম, সাবেক সভাপতি, এশিয়াটিক সোসাইটি ও সভাপতি, বিশ্ব শিক্ষক পরিষদ
১০. অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ইতিহাসবিদ, বঙ্গবন্ধু চেয়ার, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস
১১. শাহাবুদ্দিন আহমেদ, শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা
১২. ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন
১৩. অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, সভাপতি, অর্থনীতি সমিতি
১৪. হাসান ইমাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
১৫. রামেন্দু মজুমদার, নাট্যব্যক্তিত্ব
১৬. কবি নির্মলেন্দু গুণ
১৭. অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার, প্রেসিডেন্ট, এশিয়াটিক সোসাইটি
১৮. নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাবেক সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট
১৯. অধ্যাপক আব্দুল বায়েস, অর্থনীতিবিদ ও সাবেক উপাচার্য
২০. মমতাজউদ্দীন আহমেদ, সাবেক বিচারপতি
২১. অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন
২২. অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, ইতিহাসবিদ
২৩. বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ আলী জহির
২৪. অধ্যাপক ড. এ কে এম মনোয়ার উদ্দিন আহমদ, অর্থনীতিবিদ
২৫. মামুনুর রশীদ, নাট্যব্যক্তিত্ব
২৬. আরমা দত্ত, মানবাধিকারকর্মী
২৭. রোকেয়া কবীর, নারীনেত্রী
২৮. আবেদ খান, সাংবাদিক
২৯. নূহ-উল-আলম লেনিন, কবি ও লেখক
৩০. হারুন হাবীব, সাংবাদিক
৩১. প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. শামীম বসুনিয়া
৩২. কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন
৩৩. অভিনেত্রী লাকী ইনাম
৩৪. কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য্য
৩৫. মানজারে হাসিন মুরাদ, চলচ্চিত্রকার
৩৬. লায়লা হাসান, নৃত্যশিল্পী
৩৭. ম. হামিদ, নাট্যজন
৩৮. মফিদুল হক, ট্রাস্টি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
৩৯. শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া
৪০. মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক, সাধারণ সম্পাদক, বিএফইউজে
৪১. নাঈমুল ইসলাম খান, সাংবাদিক
৪২. মমতাজ উদ্দীন ফকির, সভাপতি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
৪৩. মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ
৪৪. মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার
৪৫. মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন
৪৬. অজয় দাশগুপ্ত, সাংবাদিক
৪৭. সুবর্ণা মুস্তাফা, নাট্যব্যক্তিত্ব
৪৮. শাহরিয়ার কবির, লেখক
৪৯. কবি তারিক সুজাত
৫০. কবি অসীম সাহা
৫১. পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাট্যজন
৫২. হারিছুল হক, কবি ও চিকিৎসক
৫৩. রোকেয়া কবির, নারী নেত্রী
৫৪. গোলাম কুদ্দুস, নাট্যব্যক্তিত্ব এবং সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট
৫৫. অধ্যাপক ড. খালেদ হোসাইন, বিশিষ্ট কবি ও ছড়াকার
৫৬. লুৎফর রহমান রিটন, ছড়াকার
৫৭. অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, প্রত্নতত্ত্ববিদ
৫৮. অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ, প্রত্নতত্ত্ববিদ ও কলামিস্ট
৫৯. অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ইতিহাসবিদ
৬০. অধ্যাপক ড. প্রাণ গোপাল দত্ত, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
৬১. অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
৬২. অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবার রহমান, সাবেক উপচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৩. অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান আকন্দ, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৪. অধ্যাপক ড. শরিফ এনামুল কবীর, সাবেক উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৬৫. অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক, সাবেক উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৬৬. অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশীদ, সাবেক উপাচার্য, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৭. অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন, সাবেক উপাচার্য, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৮. অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার, সাবেক উপাচার্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৯. অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৭০. অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশীদ আশকারী, সাবেক উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
৭১. অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, সাবেক উপাচার্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৭২. অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি
৭৩. অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর, সাবেক উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
৭৪. অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপাচার্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৭৫. অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন, সাবেক উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
৭৬. অধ্যাপক ড. আবদুস সাত্তার, সাবেক উপাচার্য, যশোর বিশ্ববিদ্যালয়
৭৭. অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন, সাবেক উপাচার্য, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৭৮. অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ, সাবেক উপ-উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
৭৯. অধ্যাপক এম এ মতিন, সাবেক উপ-উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৮০. অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ্ সিকদার, সাবেক উপ-উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
৮১. অধ্যাপক মো. নুরুল্লা, সাবেক উপ-উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৮২. অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, উপাচার্য, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
৮৩. অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, সাবেক উপ-উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৮৪. অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর আলী, সাবেক উপ-উপাচার্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৮৫. অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, সাবেক উপ-উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৮৬. প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা, সাবেক উপ-উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৮৭. অধ্যাপক আমির হোসেন, অর্থনীতিবিদ ও সাবেক উপ-উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৮৮. অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর আলী, সাবেক উপ-উপাচার্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৮৯. অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও সভাপতি, বাংলাদেশ ইতিহাস
সমিতি
৯০. শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক
৯১. মোজাম্মেল বাবু, সাংবাদিক
৯২. অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশিষ্ট প্রাণিবিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক
৯৩. প্রকৌশলী আব্দুস সবুর খান
৯৪. প্রকৌশলী নূরুল হুদা
৯৫. প্রকৌশলী মঞ্ছুরুল হক মঞ্ছুর
৯৬. অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, বিশিষ্ট পরিসংখ্যানবিদ
৯৭. অধ্যাপক ড. এ এ মামুন, বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী
৯৮. ডাক্তার নুজহাত চৌধুরী, সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৯৯. ডাক্তার মামুন আল মাহতাব, সদস্যসচিব, সম্প্রীতির বাংলাদেশ
১০০. শিল্পী আবুল বারক আলভী, মুক্তিযোদ্ধা
১০১. অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
১০২. চঞ্চল চৌধুরী, নাট্য অভিনেতা
১০৩. তারানা হালিম, অভিনেত্রী ও সাংস্কৃতিক কর্মী
১০৪. আতাউর রহমান, মঞ্চসারথী
১০৫. নাট্যজন মামুনুর রশীদ
১০৬. ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান
১০৭. অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন
১০৮. ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন
১০৯. ডা. জামাল উদ্দীন চৌধুরী, সভাপতি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
১১০. অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, মহাসচিব, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
১১১. অধ্যাপক ড. এম. কামীম জেড বসুনিয়া, পিইঞ্ছ
১১২. প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা
১১৩. প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর
১১৪. অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মুনাজ আহমেদ নূর, সাবেক উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
১১৫. প্রকৌশলী এস এম মনজুরুল হক মঞ্ছু, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়
১১৬. আসিফ মুনীর, সভাপতি, প্রজন্ম ’৭১
১১৭. কাজী সাইফুদ্দীন আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক, প্রজন্ম ’৭১
১১৮. অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, ডিন, কলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১১৯. অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২০. অধ্যাপক ড. সীমা জামান, ডিন, আইন অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২১. অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, ডিন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২২. অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৩. অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৪. অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ডিন, ফার্মেসি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৫. অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, ডিন, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৬. অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ডিন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৭. অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৮. অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৯. অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৩০. ডা. শাহরিয়ার নবী, ডিন, চিকিৎসা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৩১. আহসান হাবিব নাসিম, সভাপতি, অভিনয় শিল্পী সংঘ
১৩২. অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি ও সাবেক ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, শাহজালাল
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৩. অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি ও বর্তমান সভাপতি, বাংলাদেশ
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৪. অধ্যাপক ড. মোশতাক আহমেদ, সাবেক ডিন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৫. অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৬. অধ্যাপক ড. আব্দুল গনি, সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৭. রঞ্ছন কর্মকার, সাবেক মহাসচিব, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন
১৩৮. অধ্যাপক জামাল উদ্দিন আহমেদ, সভাপতি, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ
১৩৯. শিল্পী শেখ আফজাল হোসেন
১৪০. শিল্পী অধ্যাপক ফরিদা জামান
১৪১. সুভাষ সিংহ রায়, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
১৪২. অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, সাবেক সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৩. অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৪. অধ্যাপক শামীম কায়সার, সম্পাদক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৫. অধ্যাপক আহমেদ রেজা, সদস্য, শিক্ষক সমিতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৬. অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার চৌধুরী, সভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৭. অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, সভাপতি, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৮. অধ্যাপক আবদুল হক, সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৯. ড. আহমদ সালাউদ্দিন, সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫০. অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, সাবেক ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫১. ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫২. অধ্যাপক মো. জসীম উদ্দিন, চিত্রশিল্পী ও সাবেক পরিচালক, চারুকলা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৩. অধ্যাপক মনজুর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৪. অধ্যাপক অসীম দাশ, নাট্য নির্দেশক, নাট্যকলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৫. অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান, সাবেক ডিন, আইন অনুষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৬. অধ্যাপক স্বরোচিষ সরকার, ভাষা গবেষক
১৫৭. সঙ্গীতা ইমাম, সংস্কৃতিকর্মী
১৫৮. মসিহউদ্দিন শাকের, চলচ্চিত্র নির্মাতা
১৫৯. ড. ইসরাফিল শাহিন, নাট্যব্যক্তিত্ব
১৬০. শিমুল ইউসুফ, নৃত্যশিল্পী
১৬১. অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া, সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
১৬২. অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
১৬৩. সংগীতশিল্পী শামা রহমান
১৬৪. বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাজ্জাদ আলী জহির
১৬৫. মো. মঞ্ছুরুল ইসলাম, সাংবাদিক ও প্রধান সম্পাদক, ডিবিসি টেলিভিশন
১৬৬. আবৃত্তিকার আহকাম উল্ল্যাহ
১৬৭. ফাল্গুনী হামিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
১৬৮. অধ্যাপক ডা. বরেন চক্রবর্তী, চিকিৎসক ও কবি
১৬৯. কবি রুবী রহমান
১৭০. আফসানা মিমি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
১৭১. শিল্পী অধ্যাপক নিসার হোসেন

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ১০০ নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জন বিদেশি বিশিষ্টজনের খোলাচিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ১৭১ বিশিষ্টজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিসার হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বাংলাদেশের বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের পক্ষে থেকে আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়।
নোবেল পুরস্কারজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সদস্যদের লেখা খোলাচিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর স্পষ্ট হুমকি হিসেবে মনে করেন এই বিশিষ্টজনেরা। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের করা চলমান মামলাগুলোর বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ অভিহিত করে এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন তাঁরা।
এই খোলাচিঠিতে ‘নিরপেক্ষ’ বিচারকের মাধ্যমে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বিচারের যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে হেয়প্রতিপন্ন করার শামিল বলে মনে করেন তাঁরা।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিতের দাবির প্রতিবাদে বিবৃতি দেওয়া দেশের ১৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীর মধ্যে রয়েছেন: নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক অনুপম সেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, শিল্পী হাশেম খান, কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী, আবুল বারক আলভী, লেখক বুলবন ওসমান, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, শিল্পী সাহাবুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আবুল বারকাত, আব্দুল বায়েস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, তারানা হালিম, ফাল্গুনী হামিদ, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি নির্মলেন্দু গুণ, অসীম সাহা, সাবেক বিচারপতি মমতাজউদ্দীন আহমেদ, আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ আলী জহির, প্রকৌশলী অধ্যাপক শামীম বাসুনিয়া, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, অভিনেত্রী লাকী ইনাম, কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য্য, নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডা. কামরুল হাসান খান, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, মঞ্চসারথী আতাউর রহমান প্রমুখ।
এর আগে একই ধরনের বিবৃতি দেয় ১৩টি সাংস্কৃতিক সংগঠন। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে বিদেশিদের বিবৃতি অগ্রহণযোগ্য।
যৌথ বিবৃতি দেওয়া ১৩টি জাতীয়ভিত্তিক সাংস্কৃতিক ফেডারেশনের মধ্যে রয়েছে: সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদ, অভিনয় শিল্পী সংঘ, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। এ ছাড়া পৃথকভাবে একই রকম বিবৃতি পাঠিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
গত সোমবার (২৮ আগস্ট) নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর খোলাচিঠি পাঠিয়েছেন ১৬০ জন বিদেশি বিশিষ্টজন। ওই চিঠিতে ১০০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ীসহ রাজনীতি, কূটনীতিক, ব্যবসা, শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যক্তিরা রয়েছেন। তাঁরা লিখেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি দেখেছি, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া এবং নির্বাচনে প্রশাসন দেশের সব বড় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনে বৈধতার অভাব ছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি আমাদের উদ্বিগ্ন করে, তা হলো নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা। আমরা উদ্বিগ্ন যে সম্প্রতি তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে। এটা ক্রমাগত বিচারিক হয়রানি বলেই আমাদের বিশ্বাস। আমরা বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যে, আপনি অবিলম্বে অধ্যাপক ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করুন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘হয়রানি বন্ধের’ আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
শুক্রবার বিবৃতিদাতা ১৭১ বিশিষ্টজন:
জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নয়:
১. অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, নগর-পরিকল্পনাবিদ ও সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
২. অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, সমাজবিজ্ঞানী
৩. অধ্যাপক ড. সৎ কুমার সাহা, অর্থনীতিবিদ
৪. অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
৫. শিল্পী হাশেম খান, ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬. অধ্যাপক বুলবন ওসমান, সমাজবিজ্ঞানী ও লেখক
৭. শিল্পী রফিকুন নবী, ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৮. অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সাবেক উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
৯. অধ্যাপক মাহফুজা খানম, সাবেক সভাপতি, এশিয়াটিক সোসাইটি ও সভাপতি, বিশ্ব শিক্ষক পরিষদ
১০. অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ইতিহাসবিদ, বঙ্গবন্ধু চেয়ার, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস
১১. শাহাবুদ্দিন আহমেদ, শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা
১২. ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন
১৩. অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, সভাপতি, অর্থনীতি সমিতি
১৪. হাসান ইমাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
১৫. রামেন্দু মজুমদার, নাট্যব্যক্তিত্ব
১৬. কবি নির্মলেন্দু গুণ
১৭. অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার, প্রেসিডেন্ট, এশিয়াটিক সোসাইটি
১৮. নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাবেক সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট
১৯. অধ্যাপক আব্দুল বায়েস, অর্থনীতিবিদ ও সাবেক উপাচার্য
২০. মমতাজউদ্দীন আহমেদ, সাবেক বিচারপতি
২১. অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন
২২. অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, ইতিহাসবিদ
২৩. বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ আলী জহির
২৪. অধ্যাপক ড. এ কে এম মনোয়ার উদ্দিন আহমদ, অর্থনীতিবিদ
২৫. মামুনুর রশীদ, নাট্যব্যক্তিত্ব
২৬. আরমা দত্ত, মানবাধিকারকর্মী
২৭. রোকেয়া কবীর, নারীনেত্রী
২৮. আবেদ খান, সাংবাদিক
২৯. নূহ-উল-আলম লেনিন, কবি ও লেখক
৩০. হারুন হাবীব, সাংবাদিক
৩১. প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. শামীম বসুনিয়া
৩২. কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন
৩৩. অভিনেত্রী লাকী ইনাম
৩৪. কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য্য
৩৫. মানজারে হাসিন মুরাদ, চলচ্চিত্রকার
৩৬. লায়লা হাসান, নৃত্যশিল্পী
৩৭. ম. হামিদ, নাট্যজন
৩৮. মফিদুল হক, ট্রাস্টি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
৩৯. শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া
৪০. মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক, সাধারণ সম্পাদক, বিএফইউজে
৪১. নাঈমুল ইসলাম খান, সাংবাদিক
৪২. মমতাজ উদ্দীন ফকির, সভাপতি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
৪৩. মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ
৪৪. মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার
৪৫. মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন
৪৬. অজয় দাশগুপ্ত, সাংবাদিক
৪৭. সুবর্ণা মুস্তাফা, নাট্যব্যক্তিত্ব
৪৮. শাহরিয়ার কবির, লেখক
৪৯. কবি তারিক সুজাত
৫০. কবি অসীম সাহা
৫১. পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাট্যজন
৫২. হারিছুল হক, কবি ও চিকিৎসক
৫৩. রোকেয়া কবির, নারী নেত্রী
৫৪. গোলাম কুদ্দুস, নাট্যব্যক্তিত্ব এবং সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট
৫৫. অধ্যাপক ড. খালেদ হোসাইন, বিশিষ্ট কবি ও ছড়াকার
৫৬. লুৎফর রহমান রিটন, ছড়াকার
৫৭. অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, প্রত্নতত্ত্ববিদ
৫৮. অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ, প্রত্নতত্ত্ববিদ ও কলামিস্ট
৫৯. অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ইতিহাসবিদ
৬০. অধ্যাপক ড. প্রাণ গোপাল দত্ত, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
৬১. অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
৬২. অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবার রহমান, সাবেক উপচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৩. অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান আকন্দ, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৪. অধ্যাপক ড. শরিফ এনামুল কবীর, সাবেক উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৬৫. অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক, সাবেক উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৬৬. অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশীদ, সাবেক উপাচার্য, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৭. অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন, সাবেক উপাচার্য, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৮. অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার, সাবেক উপাচার্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৯. অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৭০. অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশীদ আশকারী, সাবেক উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
৭১. অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, সাবেক উপাচার্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৭২. অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি
৭৩. অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর, সাবেক উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
৭৪. অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপাচার্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৭৫. অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন, সাবেক উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
৭৬. অধ্যাপক ড. আবদুস সাত্তার, সাবেক উপাচার্য, যশোর বিশ্ববিদ্যালয়
৭৭. অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন, সাবেক উপাচার্য, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৭৮. অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ, সাবেক উপ-উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
৭৯. অধ্যাপক এম এ মতিন, সাবেক উপ-উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৮০. অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ্ সিকদার, সাবেক উপ-উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
৮১. অধ্যাপক মো. নুরুল্লা, সাবেক উপ-উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৮২. অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, উপাচার্য, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
৮৩. অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, সাবেক উপ-উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৮৪. অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর আলী, সাবেক উপ-উপাচার্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৮৫. অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, সাবেক উপ-উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৮৬. প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা, সাবেক উপ-উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৮৭. অধ্যাপক আমির হোসেন, অর্থনীতিবিদ ও সাবেক উপ-উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৮৮. অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর আলী, সাবেক উপ-উপাচার্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৮৯. অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও সভাপতি, বাংলাদেশ ইতিহাস
সমিতি
৯০. শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক
৯১. মোজাম্মেল বাবু, সাংবাদিক
৯২. অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশিষ্ট প্রাণিবিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক
৯৩. প্রকৌশলী আব্দুস সবুর খান
৯৪. প্রকৌশলী নূরুল হুদা
৯৫. প্রকৌশলী মঞ্ছুরুল হক মঞ্ছুর
৯৬. অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, বিশিষ্ট পরিসংখ্যানবিদ
৯৭. অধ্যাপক ড. এ এ মামুন, বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী
৯৮. ডাক্তার নুজহাত চৌধুরী, সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৯৯. ডাক্তার মামুন আল মাহতাব, সদস্যসচিব, সম্প্রীতির বাংলাদেশ
১০০. শিল্পী আবুল বারক আলভী, মুক্তিযোদ্ধা
১০১. অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
১০২. চঞ্চল চৌধুরী, নাট্য অভিনেতা
১০৩. তারানা হালিম, অভিনেত্রী ও সাংস্কৃতিক কর্মী
১০৪. আতাউর রহমান, মঞ্চসারথী
১০৫. নাট্যজন মামুনুর রশীদ
১০৬. ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান
১০৭. অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন
১০৮. ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন
১০৯. ডা. জামাল উদ্দীন চৌধুরী, সভাপতি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
১১০. অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, মহাসচিব, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
১১১. অধ্যাপক ড. এম. কামীম জেড বসুনিয়া, পিইঞ্ছ
১১২. প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা
১১৩. প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর
১১৪. অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মুনাজ আহমেদ নূর, সাবেক উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
১১৫. প্রকৌশলী এস এম মনজুরুল হক মঞ্ছু, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়
১১৬. আসিফ মুনীর, সভাপতি, প্রজন্ম ’৭১
১১৭. কাজী সাইফুদ্দীন আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক, প্রজন্ম ’৭১
১১৮. অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, ডিন, কলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১১৯. অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২০. অধ্যাপক ড. সীমা জামান, ডিন, আইন অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২১. অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, ডিন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২২. অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৩. অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৪. অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ডিন, ফার্মেসি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৫. অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, ডিন, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৬. অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ডিন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৭. অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৮. অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৯. অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৩০. ডা. শাহরিয়ার নবী, ডিন, চিকিৎসা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৩১. আহসান হাবিব নাসিম, সভাপতি, অভিনয় শিল্পী সংঘ
১৩২. অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি ও সাবেক ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, শাহজালাল
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৩. অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি ও বর্তমান সভাপতি, বাংলাদেশ
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৪. অধ্যাপক ড. মোশতাক আহমেদ, সাবেক ডিন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৫. অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৬. অধ্যাপক ড. আব্দুল গনি, সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৭. রঞ্ছন কর্মকার, সাবেক মহাসচিব, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন
১৩৮. অধ্যাপক জামাল উদ্দিন আহমেদ, সভাপতি, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ
১৩৯. শিল্পী শেখ আফজাল হোসেন
১৪০. শিল্পী অধ্যাপক ফরিদা জামান
১৪১. সুভাষ সিংহ রায়, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
১৪২. অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, সাবেক সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৩. অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৪. অধ্যাপক শামীম কায়সার, সম্পাদক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৫. অধ্যাপক আহমেদ রেজা, সদস্য, শিক্ষক সমিতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৬. অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার চৌধুরী, সভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৭. অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, সভাপতি, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৮. অধ্যাপক আবদুল হক, সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৯. ড. আহমদ সালাউদ্দিন, সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫০. অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, সাবেক ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫১. ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫২. অধ্যাপক মো. জসীম উদ্দিন, চিত্রশিল্পী ও সাবেক পরিচালক, চারুকলা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৩. অধ্যাপক মনজুর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৪. অধ্যাপক অসীম দাশ, নাট্য নির্দেশক, নাট্যকলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৫. অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান, সাবেক ডিন, আইন অনুষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৬. অধ্যাপক স্বরোচিষ সরকার, ভাষা গবেষক
১৫৭. সঙ্গীতা ইমাম, সংস্কৃতিকর্মী
১৫৮. মসিহউদ্দিন শাকের, চলচ্চিত্র নির্মাতা
১৫৯. ড. ইসরাফিল শাহিন, নাট্যব্যক্তিত্ব
১৬০. শিমুল ইউসুফ, নৃত্যশিল্পী
১৬১. অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া, সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
১৬২. অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
১৬৩. সংগীতশিল্পী শামা রহমান
১৬৪. বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাজ্জাদ আলী জহির
১৬৫. মো. মঞ্ছুরুল ইসলাম, সাংবাদিক ও প্রধান সম্পাদক, ডিবিসি টেলিভিশন
১৬৬. আবৃত্তিকার আহকাম উল্ল্যাহ
১৬৭. ফাল্গুনী হামিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
১৬৮. অধ্যাপক ডা. বরেন চক্রবর্তী, চিকিৎসক ও কবি
১৬৯. কবি রুবী রহমান
১৭০. আফসানা মিমি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
১৭১. শিল্পী অধ্যাপক নিসার হোসেন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
সুদান থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু রাতেই দেশটির আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শান্ত মন্ডল। কুড়িগ্রামে শান্তদের বাড়িতে এখন চলছে শুধুই মাতম।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজনৈতিক নেতারাসহ জুলাই যোদ্ধারা। সরকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেও এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সময়মতো কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন হাল। নির্বাচনের ট্রেন চলা শুরু হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে সবাইকে। পরিস্থিতি ঠিক করতে এখনই দৃশ্যমান ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা।
ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে প্রকাশ্যে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে চোরাগোপ্তা হামলা, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার এবং নাশকতার আশঙ্কার মধ্যে এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে থমথমে ভাব নেমে এসেছে। তফসিলের পর যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল, তাও কমে গেছে।
সূত্র বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে মাঠপর্যায় থেকেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। গত শনিবার পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে দেশের সব রেঞ্জের ডিআইজি ও মহানগর পুলিশের কমিশনারদের বৈঠকেও এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে পরামর্শ এসেছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং কোনো প্রার্থী অনিরাপদ বোধ করলে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই বৈঠকেও চোরাগোপ্তা হামলা ও জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের প্রসঙ্গে ওঠে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, যাতে ভবিষ্যতে নিরাপত্তা পরিকল্পনা আরও কার্যকর করা যায়। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রকার শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।’
এদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্তি থাকলেও ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান সব রাজনৈতিক দল আবার এক কাতারে দাঁড়িয়েছে। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণাও এসেছে। ওই বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদউল্লাহর গণসংযোগের সময় গুলিতে একজন নিহত ও প্রার্থীসহ দুজন আহত হন। অবশ্য সেখানে হত্যার লক্ষ্য ছিলেন সন্ত্রাসী সরোয়ার। এরপর ২৭ নভেম্বর পাবনা-৪ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডলের গণসংযোগকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষ হয়। এর পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা ভিন্ন। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর কোনো কোনো দল থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।
রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, কয়েক দিন ধরে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলার মাধ্যমে আতঙ্ক তৈরির একটি চেষ্টা চলছে। তবে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নির্বাচন যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
ওসমান হাদির ওপর হামলাকে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার একটি সুপরিকল্পিত চেষ্টা হিসেবে দেখছেন রাজনীতিকদের অনেকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই একটি পক্ষ নির্বাচন ঠেকানোর হুমকি দিয়ে আসছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারও ঘটনাটিকে নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা ও প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, কোথায় কোথায় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও শত্রুতা বেশি, কোথায় শক্ত প্রার্থী রয়েছেন—এসব জায়গায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এমন ঘটনা যেকোনোভাবেই প্রতিরোধ করতে হবে। করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সংগ্রহ ও গোয়েন্দা চ্যানেলকে সক্রিয় করতে হবে এবং অন্য কাজের চেয়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এদিকে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে শনিবার আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে কমিটি করা হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট-২ শুরুর ঘোষণাও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এদিকে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের জন্য পুলিশ নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলোতে আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র ছিল, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি পেশাদার সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনার আলোকে অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহপথ চিহ্নিত করা এবং অস্ত্রের পেছনে থাকা অর্থের জোগানদাতাদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে।
এদিকে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে জোর দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, লুণ্ঠিত ১ হাজার ৩৩৭টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এগুলোর মধ্যে প্রায় ৪০০টি পিস্তল রয়েছে।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, সীমান্ত দিয়ে দেশে অস্ত্র প্রবেশের আশঙ্কার পাশাপাশি লুট হওয়া অস্ত্রগুলো কোনো অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, সেটিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। অভিযানে এসব বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
নতুন নিরাপত্তা পরিকল্পনা
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের দাবি করেছে রাজনৈতিক দলগুলোও। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ও জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশের নিরাপত্তা পরিকল্পনা নতুন করে সাজানো হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে প্রার্থীদের এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, নির্বাচনের সময় যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলা করতে এবং নির্বাচনকে শঙ্কামুক্ত রাখতে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রার্থীদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, প্রার্থীদের সঙ্গে সশস্ত্র প্রহরী থাকবে এবং গোয়েন্দা সংস্থা সম্ভাব্য ঝুঁকি ও দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সতর্ক করবে। প্রার্থীদের ঠিক কোন জায়গায় যাওয়া নিরাপদ বা ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজনৈতিক নেতারাসহ জুলাই যোদ্ধারা। সরকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেও এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সময়মতো কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন হাল। নির্বাচনের ট্রেন চলা শুরু হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে সবাইকে। পরিস্থিতি ঠিক করতে এখনই দৃশ্যমান ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা।
ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে প্রকাশ্যে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে চোরাগোপ্তা হামলা, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার এবং নাশকতার আশঙ্কার মধ্যে এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে থমথমে ভাব নেমে এসেছে। তফসিলের পর যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল, তাও কমে গেছে।
সূত্র বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে মাঠপর্যায় থেকেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। গত শনিবার পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে দেশের সব রেঞ্জের ডিআইজি ও মহানগর পুলিশের কমিশনারদের বৈঠকেও এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে পরামর্শ এসেছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং কোনো প্রার্থী অনিরাপদ বোধ করলে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই বৈঠকেও চোরাগোপ্তা হামলা ও জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের প্রসঙ্গে ওঠে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, যাতে ভবিষ্যতে নিরাপত্তা পরিকল্পনা আরও কার্যকর করা যায়। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রকার শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।’
এদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্তি থাকলেও ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান সব রাজনৈতিক দল আবার এক কাতারে দাঁড়িয়েছে। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণাও এসেছে। ওই বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদউল্লাহর গণসংযোগের সময় গুলিতে একজন নিহত ও প্রার্থীসহ দুজন আহত হন। অবশ্য সেখানে হত্যার লক্ষ্য ছিলেন সন্ত্রাসী সরোয়ার। এরপর ২৭ নভেম্বর পাবনা-৪ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডলের গণসংযোগকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষ হয়। এর পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা ভিন্ন। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর কোনো কোনো দল থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।
রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, কয়েক দিন ধরে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলার মাধ্যমে আতঙ্ক তৈরির একটি চেষ্টা চলছে। তবে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নির্বাচন যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
ওসমান হাদির ওপর হামলাকে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার একটি সুপরিকল্পিত চেষ্টা হিসেবে দেখছেন রাজনীতিকদের অনেকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই একটি পক্ষ নির্বাচন ঠেকানোর হুমকি দিয়ে আসছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারও ঘটনাটিকে নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা ও প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, কোথায় কোথায় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও শত্রুতা বেশি, কোথায় শক্ত প্রার্থী রয়েছেন—এসব জায়গায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এমন ঘটনা যেকোনোভাবেই প্রতিরোধ করতে হবে। করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সংগ্রহ ও গোয়েন্দা চ্যানেলকে সক্রিয় করতে হবে এবং অন্য কাজের চেয়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এদিকে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে শনিবার আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে কমিটি করা হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট-২ শুরুর ঘোষণাও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এদিকে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের জন্য পুলিশ নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলোতে আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র ছিল, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি পেশাদার সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনার আলোকে অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহপথ চিহ্নিত করা এবং অস্ত্রের পেছনে থাকা অর্থের জোগানদাতাদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে।
এদিকে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে জোর দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, লুণ্ঠিত ১ হাজার ৩৩৭টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এগুলোর মধ্যে প্রায় ৪০০টি পিস্তল রয়েছে।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, সীমান্ত দিয়ে দেশে অস্ত্র প্রবেশের আশঙ্কার পাশাপাশি লুট হওয়া অস্ত্রগুলো কোনো অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, সেটিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। অভিযানে এসব বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
নতুন নিরাপত্তা পরিকল্পনা
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের দাবি করেছে রাজনৈতিক দলগুলোও। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ও জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশের নিরাপত্তা পরিকল্পনা নতুন করে সাজানো হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে প্রার্থীদের এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, নির্বাচনের সময় যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলা করতে এবং নির্বাচনকে শঙ্কামুক্ত রাখতে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রার্থীদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, প্রার্থীদের সঙ্গে সশস্ত্র প্রহরী থাকবে এবং গোয়েন্দা সংস্থা সম্ভাব্য ঝুঁকি ও দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সতর্ক করবে। প্রার্থীদের ঠিক কোন জায়গায় যাওয়া নিরাপদ বা ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ১০০ নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জন বিদেশি বিশিষ্টজনের খোলাচিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ১৭১ বিশিষ্টজন।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সুদান থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু রাতেই দেশটির আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শান্ত মন্ডল। কুড়িগ্রামে শান্তদের বাড়িতে এখন চলছে শুধুই মাতম।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদান থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু রাতেই দেশটির আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শান্ত মন্ডল। কুড়িগ্রামে শান্তদের বাড়িতে এখন চলছে শুধুই মাতম।
শুধু শান্ত নন, সুদানের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ওই ঘাঁটিতে হামলায় সেনাবাহিনীর আরও তিন সৈনিক এবং দুই কর্মচারী নিহত হয়েছেন। সবার বাড়িতে এখন মাতম চলছে। তাঁদের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজন ও প্রতিবেশীদের কেউ।
২০১৮ সালে সৈনিক পদে যোগ দেওয়া শান্ত গত ৭ নভেম্বর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যান। এক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি। শান্তর স্ত্রী এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সাটমাধাই ডারারপাড়ে শান্ত মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সুনসান নীরবতা, সেখানে কান্নার কোনো শব্দ নেই। শান্তর মা সাহেরা বেগম বিছানায় বসে শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন। কথা নেই, কান্নাও নেই। ছেলের নাম উচ্চারণ করলেই চোখ ভিজে ওঠে সাহেরা বেগম এবং পাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনদের। লাশ দেশে এলে বাবার কবরের পাশে দাফনের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এখন তাঁরা লাশ আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। শান্তর ভাই সোহাগ মন্ডল বলেন, ‘যাওয়ার সময় মায়ের পা ছুঁয়ে দোয়া নিয়েছিল। কেউ ভাবেনি, সেটিই হবে তার শেষ দেখা। এমন মৃত্যু আমাদের কল্পনার বাইরে।’
শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের কাদুগলি লজিস্টিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী। এতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মধ্যে করপোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর) এবং সৈনিকদের মধ্যে মো. মমিনুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম), শামীম রেজা (রাজবাড়ী), শান্ত মন্ডল (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা) নিহত হন।
এ ঘটনায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (দিনাজপুর), করপোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (ঢাকা), ল্যান্স করপোরাল মহিবুল ইসলাম (বরগুনা); সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (কুড়িগ্রাম), মোসা. উম্মে হানি আক্তার (রংপুর), চুমকি আক্তার (মানিকগঞ্জ) ও মো. মানাজির আহসান (নোয়াখালী) আহত হয়েছেন বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
হামলায় নিহত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে শোকের আবহ চলছে বাড়িতে। জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে সহকর্মীদের কাছ থেকে খবর পাই। এরপর ভোরে সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফোন করে নিশ্চিত করেন।’ জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার স্বামীর ছবি আর তিন বছরের ছেলেকে বুকে জড়িয়ে নিস্তব্ধ হয়ে আছেন। বৃদ্ধ বাবা হজরত আলী রহমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি শুনছি, বোমা ফালাইয়া আমার ছেলেরে মাইরা ফেলছে। এ দুঃখ কেমনে সহ্য করমু?’
হামলায় নিহত মমিনুল ইসলামের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের পারুলেরপাড় গ্রামে। তাঁর বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে, ছোট মেয়ের বয়স ৪ বছর। মমিনুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার বিকেলে ভিডিও কলে বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলেন মমিনুল। কয়েক ঘণ্টা পরই আসে মৃত্যুর খবর। প্রতিবেশীরা জানান, খবর শোনার পর স্ত্রী ও মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। বাবা আব্দুল করিম বলেন, ‘আমার ছেলে ভালো মানুষ ছিল। আল্লাহ হয়তো তাকে ভালোবাসেন বলেই শহীদের মৃত্যু দিয়েছেন।’
ড্রোন হামলায় নিহত গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি গ্রামের সবুজ মিয়া ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন। এক বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরে মা, স্ত্রীসহ স্বজনেরা শোকে ভেঙে পড়েছেন। গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
হামলায় নিহত রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে শামীম রেজা ছিলেন তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
শামীম রেজার ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকে আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার তিনি বাড়িতে ভিডিও কলে শেষবার কথা বলেছিলেন।’
শামীম রেজার বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে ৭ মাস আগে বিদেশে গেছে। শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা।’
নাটোরের লালপুর উপজেলার আরবাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ রানা নিহত হওয়ার খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে মাসুদ ছিলেন সবার বড়। ২০০৬ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তাঁর দুই ভাইও সেনাবাহিনীর সদস্য।
মাসুদ রানার স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি বলেন, ‘তিনি আমার মেয়েকে এতিম করে চলে গেলেন। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও আমাদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন। আজ তিনি নেই ভাবতেই পারছি না।’
ড্রোন হামলায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে আইএসপিআর বলেছে, তাঁদের মধ্যে সৈনিক মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আহত অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে স্থানান্তর করা হয়েছে, তাঁরা সবাই শঙ্কামুক্ত।
আন্তোনিও গুতেরেসের শোক
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘আমি গভীর সমবেদনা জানাতে ফোন করেছি। আমি এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত।’
হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ড. ইউনূসও শান্তিরক্ষীদের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি আহত সেনাসদস্যদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার এবং নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান।

সুদান থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু রাতেই দেশটির আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শান্ত মন্ডল। কুড়িগ্রামে শান্তদের বাড়িতে এখন চলছে শুধুই মাতম।
শুধু শান্ত নন, সুদানের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ওই ঘাঁটিতে হামলায় সেনাবাহিনীর আরও তিন সৈনিক এবং দুই কর্মচারী নিহত হয়েছেন। সবার বাড়িতে এখন মাতম চলছে। তাঁদের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজন ও প্রতিবেশীদের কেউ।
২০১৮ সালে সৈনিক পদে যোগ দেওয়া শান্ত গত ৭ নভেম্বর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যান। এক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি। শান্তর স্ত্রী এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সাটমাধাই ডারারপাড়ে শান্ত মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সুনসান নীরবতা, সেখানে কান্নার কোনো শব্দ নেই। শান্তর মা সাহেরা বেগম বিছানায় বসে শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন। কথা নেই, কান্নাও নেই। ছেলের নাম উচ্চারণ করলেই চোখ ভিজে ওঠে সাহেরা বেগম এবং পাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনদের। লাশ দেশে এলে বাবার কবরের পাশে দাফনের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এখন তাঁরা লাশ আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। শান্তর ভাই সোহাগ মন্ডল বলেন, ‘যাওয়ার সময় মায়ের পা ছুঁয়ে দোয়া নিয়েছিল। কেউ ভাবেনি, সেটিই হবে তার শেষ দেখা। এমন মৃত্যু আমাদের কল্পনার বাইরে।’
শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের কাদুগলি লজিস্টিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী। এতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মধ্যে করপোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর) এবং সৈনিকদের মধ্যে মো. মমিনুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম), শামীম রেজা (রাজবাড়ী), শান্ত মন্ডল (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা) নিহত হন।
এ ঘটনায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (দিনাজপুর), করপোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (ঢাকা), ল্যান্স করপোরাল মহিবুল ইসলাম (বরগুনা); সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (কুড়িগ্রাম), মোসা. উম্মে হানি আক্তার (রংপুর), চুমকি আক্তার (মানিকগঞ্জ) ও মো. মানাজির আহসান (নোয়াখালী) আহত হয়েছেন বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
হামলায় নিহত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে শোকের আবহ চলছে বাড়িতে। জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে সহকর্মীদের কাছ থেকে খবর পাই। এরপর ভোরে সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফোন করে নিশ্চিত করেন।’ জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার স্বামীর ছবি আর তিন বছরের ছেলেকে বুকে জড়িয়ে নিস্তব্ধ হয়ে আছেন। বৃদ্ধ বাবা হজরত আলী রহমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি শুনছি, বোমা ফালাইয়া আমার ছেলেরে মাইরা ফেলছে। এ দুঃখ কেমনে সহ্য করমু?’
হামলায় নিহত মমিনুল ইসলামের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের পারুলেরপাড় গ্রামে। তাঁর বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে, ছোট মেয়ের বয়স ৪ বছর। মমিনুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার বিকেলে ভিডিও কলে বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলেন মমিনুল। কয়েক ঘণ্টা পরই আসে মৃত্যুর খবর। প্রতিবেশীরা জানান, খবর শোনার পর স্ত্রী ও মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। বাবা আব্দুল করিম বলেন, ‘আমার ছেলে ভালো মানুষ ছিল। আল্লাহ হয়তো তাকে ভালোবাসেন বলেই শহীদের মৃত্যু দিয়েছেন।’
ড্রোন হামলায় নিহত গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি গ্রামের সবুজ মিয়া ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন। এক বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরে মা, স্ত্রীসহ স্বজনেরা শোকে ভেঙে পড়েছেন। গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
হামলায় নিহত রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে শামীম রেজা ছিলেন তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
শামীম রেজার ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকে আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার তিনি বাড়িতে ভিডিও কলে শেষবার কথা বলেছিলেন।’
শামীম রেজার বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে ৭ মাস আগে বিদেশে গেছে। শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা।’
নাটোরের লালপুর উপজেলার আরবাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ রানা নিহত হওয়ার খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে মাসুদ ছিলেন সবার বড়। ২০০৬ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তাঁর দুই ভাইও সেনাবাহিনীর সদস্য।
মাসুদ রানার স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি বলেন, ‘তিনি আমার মেয়েকে এতিম করে চলে গেলেন। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও আমাদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন। আজ তিনি নেই ভাবতেই পারছি না।’
ড্রোন হামলায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে আইএসপিআর বলেছে, তাঁদের মধ্যে সৈনিক মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আহত অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে স্থানান্তর করা হয়েছে, তাঁরা সবাই শঙ্কামুক্ত।
আন্তোনিও গুতেরেসের শোক
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘আমি গভীর সমবেদনা জানাতে ফোন করেছি। আমি এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত।’
হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ড. ইউনূসও শান্তিরক্ষীদের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি আহত সেনাসদস্যদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার এবং নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান।

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ১০০ নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জন বিদেশি বিশিষ্টজনের খোলাচিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ১৭১ বিশিষ্টজন।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী। পরিকল্পিতভাবে একযোগে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী স্থানীয় আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরাই মূলত বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল। আর এই দুই বাহিনীর মূল শক্তি ছিল স্বাধীনতাবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা। পাকসেনাদের আত্মসমর্পণের আগে ঢাকা শহরে ঘন ঘন কারফিউয়ের মধ্যে মাইক্রোবাস নিয়ে বেরিয়ে অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নেওয়া হয়েছিল। তাদের সহায়তা করেছিল ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ছাত্রসংঘের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও আলবদর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। পলাতক আশরাফুজ্জামান বর্তমানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে। কোনো দেশই তাদের ফেরত দিচ্ছে না।
ট্রাইব্যনালের ১৫৪ পৃষ্ঠার রায়ে উঠে এসেছে, কীভাবে আশরাফুজ্জামান ও মুঈনুদ্দীন ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আল বদর সদস্যদের নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যার পর বধ্যভূমিতে লাশ গুম করেছিলেন। আশরাফুজ্জামান ছিলেন হত্যাযজ্ঞের ‘চিফ এক্সিকিউটর’ ও মুঈনুদ্দীন ‘অপারেশন ইনচার্জ’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আশরাফুজ্জামানের নাখালপাড়ার বাসা থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিগত দিনপঞ্জিতে হত্যার পরিকল্পনা ও একটি তালিকাও পাওয়া যায়।
জামায়াতের এই দুই ছাত্র নেতা ও তাদের সহযোগীদের হাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. সিরাজুল হক খান, ড. আবুল খায়ের, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য।

সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, সৈয়দ নাজমুল হক, এএনএম গোলাম মুস্তাফা, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সেলিনা পারভীন, শহীদুল্লাহ কায়সার এবং চিকিৎসক মো. মর্তুজা, মো. ফজলে রাব্বি ও আলিম চৌধুরীকেও হত্যার পর গুম করে তারা।
‘ফ্যাসিস্ট’ জামায়াত
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে উঠে এসেছিল। আদালত বলেছিল, সেই সময় জামায়াতে ইসলামী একটি ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসাবে কাজ করেছে। ‘কিলিং স্কোয়াড’ আল বদরের নিয়ন্ত্রণ জামায়াতের হাতেই ছিল।
রায়ে বলা হয়, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ফ্যাসিস্ট জামায়াতে ইসলামীর সংগঠিত মহাপরিকল্পনার আলোকেই সে সময় আল বদর বাহিনীকে নামানো হয়। বাঙালি জাতিকে প্যারালাইজড করতে তারা বুদ্ধিজীবী-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিহীন করতে চেয়েছিল।
একাত্তরের ১৩ ডিসেম্বর দৈনিক শিলালিপির সম্পাদক সেলিনা পারভীনকে অপহরণের পর হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, ‘সন্তানের জন্য সেলিনা পারভীন প্রাণ ভিক্ষা চান, তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। তার ছোট একটি ছেলে রয়েছে, যাকে দেখাশুনা করার আর কেউ নেই। কিন্তু নিষ্ঠুর হত্যাকারীরা তাকে ছাড়েনি। বেয়নেট দিয়ে তাকে তাতক্ষণিকভাবে হত্যা করা হয় বলে প্রসিকিউশনের ২২ নম্বর সাক্ষী জানিয়েছেন। সেলিনা পারভীন ছিলেন একজন মা। ভীতিকর আক্রমণ কেবল সেলিনা পারভীনের ওপরই করা হয় নাই। বরং মাতৃত্বের ওপরও হয়েছে। এটা বরং মাতৃহন্তাও। অবর্ণনীয় এই নিষ্ঠুরতা মানবতার বিবেককে আঘাত করেছে।’
এর আগে জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়ে দলটিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের আমলে পুলিশ প্রহরায় মুঈনুদ্দীনকে দেশে আসার সুযোগ করে দেয়ায় ওই দুই সামরিক শাসককেও ধিক্কার জানানো হয়েছে রায়ের পর্যবেক্ষণে।
রায়ে বলা হয়, ‘এটা জাতির বড় একটি বিরাট লজ্জা (গ্রেট শেম) যে, জিয়া ও এরশাদ তাকে গ্রামের বাড়িতে যেতে দিয়েছেন। আত্মগোপনে গিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এই আসামিকে সে সময় পুলিশি নিরাপত্তাও দেয়া হয়। বিচারের মুখোমুখি করার পরিবর্তে তাকে রাষ্ট্রীয় মেশিনারি দিয়ে সম্মান দেয়া হলো।’

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী। পরিকল্পিতভাবে একযোগে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী স্থানীয় আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরাই মূলত বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল। আর এই দুই বাহিনীর মূল শক্তি ছিল স্বাধীনতাবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা। পাকসেনাদের আত্মসমর্পণের আগে ঢাকা শহরে ঘন ঘন কারফিউয়ের মধ্যে মাইক্রোবাস নিয়ে বেরিয়ে অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নেওয়া হয়েছিল। তাদের সহায়তা করেছিল ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ছাত্রসংঘের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও আলবদর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। পলাতক আশরাফুজ্জামান বর্তমানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে। কোনো দেশই তাদের ফেরত দিচ্ছে না।
ট্রাইব্যনালের ১৫৪ পৃষ্ঠার রায়ে উঠে এসেছে, কীভাবে আশরাফুজ্জামান ও মুঈনুদ্দীন ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আল বদর সদস্যদের নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যার পর বধ্যভূমিতে লাশ গুম করেছিলেন। আশরাফুজ্জামান ছিলেন হত্যাযজ্ঞের ‘চিফ এক্সিকিউটর’ ও মুঈনুদ্দীন ‘অপারেশন ইনচার্জ’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আশরাফুজ্জামানের নাখালপাড়ার বাসা থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিগত দিনপঞ্জিতে হত্যার পরিকল্পনা ও একটি তালিকাও পাওয়া যায়।
জামায়াতের এই দুই ছাত্র নেতা ও তাদের সহযোগীদের হাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. সিরাজুল হক খান, ড. আবুল খায়ের, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য।

সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, সৈয়দ নাজমুল হক, এএনএম গোলাম মুস্তাফা, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সেলিনা পারভীন, শহীদুল্লাহ কায়সার এবং চিকিৎসক মো. মর্তুজা, মো. ফজলে রাব্বি ও আলিম চৌধুরীকেও হত্যার পর গুম করে তারা।
‘ফ্যাসিস্ট’ জামায়াত
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে উঠে এসেছিল। আদালত বলেছিল, সেই সময় জামায়াতে ইসলামী একটি ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসাবে কাজ করেছে। ‘কিলিং স্কোয়াড’ আল বদরের নিয়ন্ত্রণ জামায়াতের হাতেই ছিল।
রায়ে বলা হয়, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ফ্যাসিস্ট জামায়াতে ইসলামীর সংগঠিত মহাপরিকল্পনার আলোকেই সে সময় আল বদর বাহিনীকে নামানো হয়। বাঙালি জাতিকে প্যারালাইজড করতে তারা বুদ্ধিজীবী-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিহীন করতে চেয়েছিল।
একাত্তরের ১৩ ডিসেম্বর দৈনিক শিলালিপির সম্পাদক সেলিনা পারভীনকে অপহরণের পর হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, ‘সন্তানের জন্য সেলিনা পারভীন প্রাণ ভিক্ষা চান, তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। তার ছোট একটি ছেলে রয়েছে, যাকে দেখাশুনা করার আর কেউ নেই। কিন্তু নিষ্ঠুর হত্যাকারীরা তাকে ছাড়েনি। বেয়নেট দিয়ে তাকে তাতক্ষণিকভাবে হত্যা করা হয় বলে প্রসিকিউশনের ২২ নম্বর সাক্ষী জানিয়েছেন। সেলিনা পারভীন ছিলেন একজন মা। ভীতিকর আক্রমণ কেবল সেলিনা পারভীনের ওপরই করা হয় নাই। বরং মাতৃত্বের ওপরও হয়েছে। এটা বরং মাতৃহন্তাও। অবর্ণনীয় এই নিষ্ঠুরতা মানবতার বিবেককে আঘাত করেছে।’
এর আগে জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়ে দলটিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের আমলে পুলিশ প্রহরায় মুঈনুদ্দীনকে দেশে আসার সুযোগ করে দেয়ায় ওই দুই সামরিক শাসককেও ধিক্কার জানানো হয়েছে রায়ের পর্যবেক্ষণে।
রায়ে বলা হয়, ‘এটা জাতির বড় একটি বিরাট লজ্জা (গ্রেট শেম) যে, জিয়া ও এরশাদ তাকে গ্রামের বাড়িতে যেতে দিয়েছেন। আত্মগোপনে গিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এই আসামিকে সে সময় পুলিশি নিরাপত্তাও দেয়া হয়। বিচারের মুখোমুখি করার পরিবর্তে তাকে রাষ্ট্রীয় মেশিনারি দিয়ে সম্মান দেয়া হলো।’

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ১০০ নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জন বিদেশি বিশিষ্টজনের খোলাচিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ১৭১ বিশিষ্টজন।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
সুদান থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু রাতেই দেশটির আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শান্ত মন্ডল। কুড়িগ্রামে শান্তদের বাড়িতে এখন চলছে শুধুই মাতম।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ১০০ নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জন বিদেশি বিশিষ্টজনের খোলাচিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ১৭১ বিশিষ্টজন।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
সুদান থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু রাতেই দেশটির আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শান্ত মন্ডল। কুড়িগ্রামে শান্তদের বাড়িতে এখন চলছে শুধুই মাতম।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
১০ ঘণ্টা আগে