মাহমুদ সোহেল, ঢাকা
বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টা আর কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম—দুইয়ে মিলে দুই দশকের বেশি সময় ধরে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। দেশের জন্য এ এক স্বস্তির জায়গা। কিন্তু তাপ–খরা আর শীত–বৃষ্টির খামখেয়ালিপনা এবং এ নিয়ে দেশি–বিদেশি গবেষণার তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, এই স্বস্তি খুব বেশি দিন ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। কৃষিজমি দ্রুত হ্রাস পাওয়া একটা কারণ, কিন্তু এর চেয়ে বড় কারণ হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব।
বিশেষজ্ঞরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, ধানসহ প্রধান প্রধান খাদ্যশস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন অব্যাহত রাখতে হবে। বাড়াতে হবে উৎপাদন। আর বদল আনতে হবে দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে। শুধু ভাতনির্ভর হয়ে থাকলে একদিন হয়তো ভুগতে হতে পারে। এখানে আনতে হবে বৈচিত্র্য।
খাদ্য উৎপাদন নিয়ে বাংলাদেশের এই ঝুঁকি আরও একবার সামনে এসেছে জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) প্রতিবেদন। গত সোমবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২০ বছরেই বিশ্বে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়বে। অতিবৃষ্টি, খরা, তীব্র দাবদাহ, সুপার সাইক্লোনসহ নানা দুর্যোগ বাড়বে বিশ্বজুড়ে। ফসলহানির কারণে দুর্ভিক্ষের আভাস দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। এই প্রতিবেদনকে ‘মানবতার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
আইপিসিসির এই জলবায়ু প্রতিবেদনকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরাও। এর কারণও আছে। বিশ্বের ১৪ হাজারের বেশি গবেষণা প্রতিবেদন একসঙ্গে পর্যালোচনা করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
১৯৪৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টির ধরন ও পরিমাণ পর্যবেক্ষণ শেষে আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টির আচরণগত ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে সাম্প্রতিক কালে।
তাঁরা বলছেন, তাই দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য শুধু ধানের ওপর নির্ভরশীল হওয়া খাদ্যনিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি। একক খাদ্যের ওপর চাপ কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
গবেষকেরা বলছেন, কৃষিবিজ্ঞানীরা যত আধুনিক যন্ত্রপাতি বা হাইব্রিড জাতের ধান আবিষ্কার করুক, ধান উৎপন্ন করতে গেলে জলবায়ুর ওপর নির্ভরশীল হতেই হবে।
গবেষণা ছাড়াও খালি চোখে দেশের বর্ষার ধরন দেখলেও ফসল উৎপাদনের ঝুঁকির বিষয়টি ফুটে ওঠে। আমাদের সারা দেশের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য বলছে, আষাঢ়–শ্রাবণের ভরা বৃষ্টির মৌসুমেও বৃষ্টিহীন আছে দেশের উত্তরের আট জেলা। বৃষ্টির আশায় প্রহর গুনছেন কৃষকেরা। ভরা বর্ষায় পানির অভাবে ধানের খেত ফেটে চৌচির। কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। আবার অতিবৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে দক্ষিণের ১৮ জেলায়।
আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আবুল কালাম মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব যে বাংলাদেশেও দেখা যাচ্ছে, তা স্পষ্ট। প্রয়োজনের সময় বৃষ্টির দেখা নেই। অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে। তীব্র দাবদাহ দেখা দিচ্ছে বর্ষাকালেও। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এসব পরিবর্তন হলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে এটাই স্বাভাবিক।
প্রতিটি উদ্ভিদের ফুল–ফল ও বিকাশের সঙ্গে আবহাওয়ার বিষয়টি সরাসরি জড়িত মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সময়মতো ও পরিমিত বৃষ্টি না হলে ফলন ভালো হবে না। পানির মতো সূর্যের আলো ও তাপ যথাসময়ে পরিমিত না পেলে ধানে ফুল আসে না। সময়ের আগে বা পরে পানি হলে ধান নষ্ট হবে। এগুলো এলোমেলো হলেই ধানের ফলন কমে যাবে। তখন উন্নত জাত রোপণ করেও লাভ হবে না।
জলবায়ুর এই বিরূপ আচরণ ধান চাষে বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ অবস্থায় মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণে অতিবৃষ্টি, উত্তরে হাহাকার দেশের কৃষির জন্য অশনিসংকেত। এভাবে চললে এবার আমন আবাদে ভরাডুবি হবে।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এমন সমস্যা বুঝতে পেরেই চীন, জাপান ও ইউরোপ–আমেরিকার অনেক দেশ আগেভাগেই তাদের খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলেছে। একক ফসলের ওপর চাপ কমিয়েছে, তাতে খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিও কমেছে। তাই আগামী ১০ বছর পর হলেও ভাতের ওপর চাপ কমাতে বাধ্য হবে বাংলাদেশ। এটা যত আগে করা যাবে, ততই কল্যাণ।’
খাদ্য উৎপাদনে জলবায়ু পরিবর্তনের আরেক বিপদ দেখিয়ে দিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট কীটবিদ ড. কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নতুন নতুন ক্ষতিকর কীটের আগমন ঘটে। ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ায় পঙ্গপালের যে আগমন ঘটেছে, তা–ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফল। পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক না থাকলে হঠাৎ করে কিছু কীট–পতঙ্গের বংশবিস্তার ঘটতে পারে, প্রচলিত ওষুধ যাদের দমাতে পারে না। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে এরা।
তবে খাদ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ১০০ বছর সামনে রেখে নীতিমালা করেছি। এজন্য ‘রাইস ভিশন ২০৫০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে তাপসহিষ্ণু, বন্যাসহিষ্ণু, লবণসহিষ্ণুসহ ১০০ প্রকারের উন্নত জাতের ধান আবিষ্কার করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত হওয়ার মতো এখনো কিছু ঘটেনি।’
বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টা আর কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম—দুইয়ে মিলে দুই দশকের বেশি সময় ধরে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। দেশের জন্য এ এক স্বস্তির জায়গা। কিন্তু তাপ–খরা আর শীত–বৃষ্টির খামখেয়ালিপনা এবং এ নিয়ে দেশি–বিদেশি গবেষণার তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, এই স্বস্তি খুব বেশি দিন ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। কৃষিজমি দ্রুত হ্রাস পাওয়া একটা কারণ, কিন্তু এর চেয়ে বড় কারণ হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব।
বিশেষজ্ঞরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, ধানসহ প্রধান প্রধান খাদ্যশস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন অব্যাহত রাখতে হবে। বাড়াতে হবে উৎপাদন। আর বদল আনতে হবে দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে। শুধু ভাতনির্ভর হয়ে থাকলে একদিন হয়তো ভুগতে হতে পারে। এখানে আনতে হবে বৈচিত্র্য।
খাদ্য উৎপাদন নিয়ে বাংলাদেশের এই ঝুঁকি আরও একবার সামনে এসেছে জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) প্রতিবেদন। গত সোমবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২০ বছরেই বিশ্বে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়বে। অতিবৃষ্টি, খরা, তীব্র দাবদাহ, সুপার সাইক্লোনসহ নানা দুর্যোগ বাড়বে বিশ্বজুড়ে। ফসলহানির কারণে দুর্ভিক্ষের আভাস দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। এই প্রতিবেদনকে ‘মানবতার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
আইপিসিসির এই জলবায়ু প্রতিবেদনকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরাও। এর কারণও আছে। বিশ্বের ১৪ হাজারের বেশি গবেষণা প্রতিবেদন একসঙ্গে পর্যালোচনা করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
১৯৪৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টির ধরন ও পরিমাণ পর্যবেক্ষণ শেষে আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টির আচরণগত ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে সাম্প্রতিক কালে।
তাঁরা বলছেন, তাই দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য শুধু ধানের ওপর নির্ভরশীল হওয়া খাদ্যনিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি। একক খাদ্যের ওপর চাপ কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
গবেষকেরা বলছেন, কৃষিবিজ্ঞানীরা যত আধুনিক যন্ত্রপাতি বা হাইব্রিড জাতের ধান আবিষ্কার করুক, ধান উৎপন্ন করতে গেলে জলবায়ুর ওপর নির্ভরশীল হতেই হবে।
গবেষণা ছাড়াও খালি চোখে দেশের বর্ষার ধরন দেখলেও ফসল উৎপাদনের ঝুঁকির বিষয়টি ফুটে ওঠে। আমাদের সারা দেশের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য বলছে, আষাঢ়–শ্রাবণের ভরা বৃষ্টির মৌসুমেও বৃষ্টিহীন আছে দেশের উত্তরের আট জেলা। বৃষ্টির আশায় প্রহর গুনছেন কৃষকেরা। ভরা বর্ষায় পানির অভাবে ধানের খেত ফেটে চৌচির। কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। আবার অতিবৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে দক্ষিণের ১৮ জেলায়।
আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আবুল কালাম মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব যে বাংলাদেশেও দেখা যাচ্ছে, তা স্পষ্ট। প্রয়োজনের সময় বৃষ্টির দেখা নেই। অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে। তীব্র দাবদাহ দেখা দিচ্ছে বর্ষাকালেও। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এসব পরিবর্তন হলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে এটাই স্বাভাবিক।
প্রতিটি উদ্ভিদের ফুল–ফল ও বিকাশের সঙ্গে আবহাওয়ার বিষয়টি সরাসরি জড়িত মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সময়মতো ও পরিমিত বৃষ্টি না হলে ফলন ভালো হবে না। পানির মতো সূর্যের আলো ও তাপ যথাসময়ে পরিমিত না পেলে ধানে ফুল আসে না। সময়ের আগে বা পরে পানি হলে ধান নষ্ট হবে। এগুলো এলোমেলো হলেই ধানের ফলন কমে যাবে। তখন উন্নত জাত রোপণ করেও লাভ হবে না।
জলবায়ুর এই বিরূপ আচরণ ধান চাষে বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ অবস্থায় মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণে অতিবৃষ্টি, উত্তরে হাহাকার দেশের কৃষির জন্য অশনিসংকেত। এভাবে চললে এবার আমন আবাদে ভরাডুবি হবে।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এমন সমস্যা বুঝতে পেরেই চীন, জাপান ও ইউরোপ–আমেরিকার অনেক দেশ আগেভাগেই তাদের খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলেছে। একক ফসলের ওপর চাপ কমিয়েছে, তাতে খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিও কমেছে। তাই আগামী ১০ বছর পর হলেও ভাতের ওপর চাপ কমাতে বাধ্য হবে বাংলাদেশ। এটা যত আগে করা যাবে, ততই কল্যাণ।’
খাদ্য উৎপাদনে জলবায়ু পরিবর্তনের আরেক বিপদ দেখিয়ে দিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট কীটবিদ ড. কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নতুন নতুন ক্ষতিকর কীটের আগমন ঘটে। ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ায় পঙ্গপালের যে আগমন ঘটেছে, তা–ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফল। পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক না থাকলে হঠাৎ করে কিছু কীট–পতঙ্গের বংশবিস্তার ঘটতে পারে, প্রচলিত ওষুধ যাদের দমাতে পারে না। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে এরা।
তবে খাদ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ১০০ বছর সামনে রেখে নীতিমালা করেছি। এজন্য ‘রাইস ভিশন ২০৫০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে তাপসহিষ্ণু, বন্যাসহিষ্ণু, লবণসহিষ্ণুসহ ১০০ প্রকারের উন্নত জাতের ধান আবিষ্কার করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত হওয়ার মতো এখনো কিছু ঘটেনি।’
সারা দেশের সাধারণ জনগণকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ‘আপনারা ধৈর্য ধরুন, শান্ত থাকুন। নিজেরা আইন হাতে তুলে নিয়ে দয়া করে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না।’
৩ মিনিট আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ব্যালটে ভোট গ্রহণসহ নানা প্রস্তাব নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে তুলে ধরেছেন রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা, প্
১ ঘণ্টা আগেগণমাধ্যমে গুজব প্রচারের ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন
২ ঘণ্টা আগেগণমাধ্যমে হামলাসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে মব জাস্টিস কঠোর হস্তে দমন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। একই সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকারও অনুরোধ জানান তারা। সম্পাদক পরিষদ মনে করে, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এখনো নিরাপত্তা হুমকিত
৩ ঘণ্টা আগে