গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকের শিশুরা ডিজিটাল যুগের। কাজেই ডিজিটাল শিক্ষার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ দেখতে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ করার। এই শিশুরা তো একদিন এই প্রযুক্তি ব্যবহার শিখবে। আমাদের যে স্মার্ট বাংলাদেশ সে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, অর্থাৎ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব আজকের শিশুরাই দেবে। আর সেটাই তো আমাদের লক্ষ্য। সেই ভাবে আমরা তাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
আজ রোববার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অভিভাবকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘লেখাপড়া খুবই দরকার, কিন্তু লেখাপড়ার নামে তাদের ওপর কোনো রকম চাপ সৃষ্টি করবেন না। আমরাই এখন চাচ্ছি, খেলাধুলার মধ্য দিয়েই শিশুরা তাদের লেখাপড়া শিখবে, যাতে তার ভেতরের সুপ্ত মেধাবিকাশের সুযোগ পায়। সেই ভাবে আমরা কারিকুলাম তৈরি করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। কারণ, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন তো শিশুরা বিশ্বটাকে সামনে দেখতে পায়। ক্লাসে শুধু বই পড়া না চোখে দেখে শিখতে পারে। আর এর পরে তারাই হবে এক স্মার্ট বাংলাদেশের এক স্মার্ট নাগরিক। সেটাই আমরা চাই। আজকের শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে আনব হাসি সবার ঘরে যথার্থ প্রতিপাদ্য গ্রহণ করার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি চাই আমার দেশের প্রতিটা শিশু নিরাপদ জীবন পাক, সুন্দর ও উন্নত জীবন পাক সেটাই আমার কাম্য।’
শিশু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই বাংলাদেশটাকে একটা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন। আজকের শিশুদের কাছে আমার অনুরোধ—গুরুজনদের মানতে হবে, শিক্ষককে মানতে হবে, বাবা-মার কথা শুনে চলতে হবে। বাবা-মার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে। তাহলে কেউ বিপথে যেতে পারবে না। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি থেকে দূরে রাখার জন্য ছোটবেলা থেকেই সততার শিক্ষা দিতে হবে। সেই সঙ্গে সঙ্গে গান-বাজনা লেখাপড়া, ধর্মীয় শিক্ষা, ছবি আঁকা থেকে শুরু করে সব ধরনের কারিকুলাম এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। শিক্ষক আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে ছোটবেলা থেকে তাদের ভেতরে যেন মানবিক গুণগুলি বজায় থাকে, সেদিকে যেমন দেখবেন, আবার এই শিশুদের ভেতরে যে সুপ্ত মেধা আছে সেই মেধা ও মানব বিকাশে সুযোগ যেন তারা পায় সেদিকে দেখবেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে বিশ্বব্যাপী আমরা দেখি অনেকেই শিশু অধিকারের কথা বলে, শিশু শিক্ষার কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু আমরা এটিও দেখি যে পাশাপাশি একটি দ্বিমুখী কার্যক্রম। সেই গাজায় শিশুদের ওপর যখন বোমা ফেলা হয়, হত্যা করা হয়, হাসপাতালে বোমা ফেলা হয়, ফিলিস্তিনের ওপর যখন আক্রমণ করা হয়, তখন আমি জানি না এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের সেই মানবিকতা বোধ কোথায় থাকে? সেটাই আমার প্রশ্ন। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। কারণ, যুদ্ধের সেই ভয়াবহতা আমরা নিজেরাও দেখেছি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী যেভাবে আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে। আমরা সব সময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। তাই তো আমার প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে যখন মানুষের ওপর অত্যাচার হলো, শিশুরা আহত অবস্থায় ছিল, তারা যখন আশ্রয় চাইল আমরা মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু আজকে গাজায় শিশুদের যে অবস্থাটা দেখি, নারীদের যে অবস্থাটা দেখি—আমি জানি না বিশ্বের বিবেক কেন নাড়া দেয় না। সেটাই আমার প্রশ্ন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ’৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পরে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করি, তখন আমাদের শিশুদের সব রকম সুরক্ষা দেওয়ার পদক্ষেপ নেই। আমরা ২০০৭ সালে নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইন করে শিশুদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করি। তা ছাড়া ২০১০ সালে জাতীয় শিশু নীতি-২০১১ আমরা প্রণয়ন করি। আমরা শিশু আইন-২০১৩ প্রণয়ন করি, ২০১৮ সালে সেটাকে আবার সংশোধন করে শিশুদের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। আমরা শিশুর উন্নয়ন ও স্বাভাবিক জীবন একীভূত করার লক্ষ্যে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে শিশুদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি। তা ছাড়া শিশুদের জন্য শিশুসদন প্রতিষ্ঠা, প্রাথমিক বৃত্তিমূলক শিক্ষাদান কর্মসূচি, সারা বাংলাদেশে শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রাইমারি স্কুল ২ কিলোমিটারের মধ্যে যেন এক একটি প্রাইমারি স্কুল হয়—সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। আমাদের দেশে মাত্র ৪৫ ভাগ শিশু লেখাপড়া করত; আজকে আমাদের দেশে প্রায় ৯৮ ভাগ শিশু স্কুলে যায় পড়াশোনা করে এবং সেই সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। বিশেষ করে মেয়েরা তো স্কুলে যেতে পারত না, তাদের জন্য আমরা সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের দেশের কারিগরি শিক্ষার হার ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৮ ভাগ এটি এখন বাড়িয়ে ১৭ দশমিক ৮৮ ভাগে উন্নীত করতে পেরেছি। এ ছাড়া আরও যেন ভালো কারিগরি ও ভোকেশনাল ট্রেনিং পায়, সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। স্কুলগুলোতে আমরা কম্পিউটার ল্যাব করেছি, কম্পিউটার শিক্ষা এবং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। প্রযুক্তির শিক্ষাটা যেন শিশুকাল থেকে পায়, সে ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়সংখ্যা আমরা বাড়িয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সকল সুযোগ একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিল। মাত্র ৩ বছর ৭ মাস সময় পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি আমাদের একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। যে সংবিধানে এ দেশের মানুষের প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করা, নারী শিক্ষার সুযোগ, নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসন থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থা তিনি করেছিলেন। আজকে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে যা কিছুই করি, সব ভিত্তি তিনি করে দিয়ে গেছেন। শিশুদের সুরক্ষার জন্য শিশু আইন তিনি প্রণয়ন করেন এবং শিশুদের জন্য তিনি এমন ব্যবস্থা করে যান, যেন কোনো শিশু অবহেলিত না থাকে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, জাতির পিতার যে আকাঙ্ক্ষা ছিল দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত থেকে তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আর সেই সময় ১৫ আগস্টের আঘাত এল। এরপর আর বাংলাদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। এই টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জন্ম গ্রহণ করেন। এই মাটিতেই তিনি ঘুমিয়ে আছেন বাবা-মায়ের কবরের পাশে। আজকে এখানে আমরা জাতীয় শিশু দিবস পালন করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমরা একটা জিনিস চাই, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে, আর সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।’
এর আগে জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং পরে ১০টা ৩৯ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপরে পবিত্র সুরা ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন তাঁরা। দোয়া-মোনাজাত শেষে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে রক্ষিত মন্তব্য বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানানোর পর দলীয় প্রধান হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি প্রাঙ্গণে আয়োজিত শিশু সমাবেশ অনুষ্ঠানে আসন গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ১১টা ৩৭ মিনিটে স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। স্বাগত বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকারবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে শিশু প্রতিনিধির বক্তব্য দেন তাইমা তাসনিম। এরপরে বেলা ১১টা ৫৬ মিনিটে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি এমপি। এরপরে দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে সভাপতির বক্তব্য দেন শিশু প্রতিনিধি তিয়াশা জামিন। সভাপতির বক্তব্যের পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এরপরে প্রধান অতিথি জেলার ১০৪ জন অসচ্ছল, মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে দুজনের হাতে পাঁচ হাজার টাকার আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধানমন্ত্রীকে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম গোপালগঞ্জের জিআই আবেদীত ব্রোঞ্জের গয়নার স্মারক উপহার ও জিআই সনদ পাওয়া গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ভর্তি হাঁড়ি তুলে দেন। পরে দুপুর ১২টা ৩৩ মিনিটে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২টা ৫৬ মিনিটে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষ করেন। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী, প্রশিক্ষক ও কলাকুশলীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপরে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধি প্রাঙ্গণে আয়োজিত বইমেলা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মোহাম্মদ ফারুক খান এমপি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এমপি, শেখ হেলালুদ্দীন এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাইম, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকার (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ৩টা ১৭ মিনিটে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকের শিশুরা ডিজিটাল যুগের। কাজেই ডিজিটাল শিক্ষার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ দেখতে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ করার। এই শিশুরা তো একদিন এই প্রযুক্তি ব্যবহার শিখবে। আমাদের যে স্মার্ট বাংলাদেশ সে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, অর্থাৎ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব আজকের শিশুরাই দেবে। আর সেটাই তো আমাদের লক্ষ্য। সেই ভাবে আমরা তাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
আজ রোববার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অভিভাবকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘লেখাপড়া খুবই দরকার, কিন্তু লেখাপড়ার নামে তাদের ওপর কোনো রকম চাপ সৃষ্টি করবেন না। আমরাই এখন চাচ্ছি, খেলাধুলার মধ্য দিয়েই শিশুরা তাদের লেখাপড়া শিখবে, যাতে তার ভেতরের সুপ্ত মেধাবিকাশের সুযোগ পায়। সেই ভাবে আমরা কারিকুলাম তৈরি করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। কারণ, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন তো শিশুরা বিশ্বটাকে সামনে দেখতে পায়। ক্লাসে শুধু বই পড়া না চোখে দেখে শিখতে পারে। আর এর পরে তারাই হবে এক স্মার্ট বাংলাদেশের এক স্মার্ট নাগরিক। সেটাই আমরা চাই। আজকের শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে আনব হাসি সবার ঘরে যথার্থ প্রতিপাদ্য গ্রহণ করার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি চাই আমার দেশের প্রতিটা শিশু নিরাপদ জীবন পাক, সুন্দর ও উন্নত জীবন পাক সেটাই আমার কাম্য।’
শিশু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই বাংলাদেশটাকে একটা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন। আজকের শিশুদের কাছে আমার অনুরোধ—গুরুজনদের মানতে হবে, শিক্ষককে মানতে হবে, বাবা-মার কথা শুনে চলতে হবে। বাবা-মার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে। তাহলে কেউ বিপথে যেতে পারবে না। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি থেকে দূরে রাখার জন্য ছোটবেলা থেকেই সততার শিক্ষা দিতে হবে। সেই সঙ্গে সঙ্গে গান-বাজনা লেখাপড়া, ধর্মীয় শিক্ষা, ছবি আঁকা থেকে শুরু করে সব ধরনের কারিকুলাম এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। শিক্ষক আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে ছোটবেলা থেকে তাদের ভেতরে যেন মানবিক গুণগুলি বজায় থাকে, সেদিকে যেমন দেখবেন, আবার এই শিশুদের ভেতরে যে সুপ্ত মেধা আছে সেই মেধা ও মানব বিকাশে সুযোগ যেন তারা পায় সেদিকে দেখবেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে বিশ্বব্যাপী আমরা দেখি অনেকেই শিশু অধিকারের কথা বলে, শিশু শিক্ষার কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু আমরা এটিও দেখি যে পাশাপাশি একটি দ্বিমুখী কার্যক্রম। সেই গাজায় শিশুদের ওপর যখন বোমা ফেলা হয়, হত্যা করা হয়, হাসপাতালে বোমা ফেলা হয়, ফিলিস্তিনের ওপর যখন আক্রমণ করা হয়, তখন আমি জানি না এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের সেই মানবিকতা বোধ কোথায় থাকে? সেটাই আমার প্রশ্ন। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। কারণ, যুদ্ধের সেই ভয়াবহতা আমরা নিজেরাও দেখেছি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী যেভাবে আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে। আমরা সব সময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। তাই তো আমার প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে যখন মানুষের ওপর অত্যাচার হলো, শিশুরা আহত অবস্থায় ছিল, তারা যখন আশ্রয় চাইল আমরা মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু আজকে গাজায় শিশুদের যে অবস্থাটা দেখি, নারীদের যে অবস্থাটা দেখি—আমি জানি না বিশ্বের বিবেক কেন নাড়া দেয় না। সেটাই আমার প্রশ্ন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ’৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পরে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করি, তখন আমাদের শিশুদের সব রকম সুরক্ষা দেওয়ার পদক্ষেপ নেই। আমরা ২০০৭ সালে নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইন করে শিশুদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করি। তা ছাড়া ২০১০ সালে জাতীয় শিশু নীতি-২০১১ আমরা প্রণয়ন করি। আমরা শিশু আইন-২০১৩ প্রণয়ন করি, ২০১৮ সালে সেটাকে আবার সংশোধন করে শিশুদের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। আমরা শিশুর উন্নয়ন ও স্বাভাবিক জীবন একীভূত করার লক্ষ্যে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে শিশুদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি। তা ছাড়া শিশুদের জন্য শিশুসদন প্রতিষ্ঠা, প্রাথমিক বৃত্তিমূলক শিক্ষাদান কর্মসূচি, সারা বাংলাদেশে শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রাইমারি স্কুল ২ কিলোমিটারের মধ্যে যেন এক একটি প্রাইমারি স্কুল হয়—সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। আমাদের দেশে মাত্র ৪৫ ভাগ শিশু লেখাপড়া করত; আজকে আমাদের দেশে প্রায় ৯৮ ভাগ শিশু স্কুলে যায় পড়াশোনা করে এবং সেই সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। বিশেষ করে মেয়েরা তো স্কুলে যেতে পারত না, তাদের জন্য আমরা সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের দেশের কারিগরি শিক্ষার হার ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৮ ভাগ এটি এখন বাড়িয়ে ১৭ দশমিক ৮৮ ভাগে উন্নীত করতে পেরেছি। এ ছাড়া আরও যেন ভালো কারিগরি ও ভোকেশনাল ট্রেনিং পায়, সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। স্কুলগুলোতে আমরা কম্পিউটার ল্যাব করেছি, কম্পিউটার শিক্ষা এবং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। প্রযুক্তির শিক্ষাটা যেন শিশুকাল থেকে পায়, সে ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়সংখ্যা আমরা বাড়িয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সকল সুযোগ একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিল। মাত্র ৩ বছর ৭ মাস সময় পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি আমাদের একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। যে সংবিধানে এ দেশের মানুষের প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করা, নারী শিক্ষার সুযোগ, নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসন থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থা তিনি করেছিলেন। আজকে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে যা কিছুই করি, সব ভিত্তি তিনি করে দিয়ে গেছেন। শিশুদের সুরক্ষার জন্য শিশু আইন তিনি প্রণয়ন করেন এবং শিশুদের জন্য তিনি এমন ব্যবস্থা করে যান, যেন কোনো শিশু অবহেলিত না থাকে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, জাতির পিতার যে আকাঙ্ক্ষা ছিল দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত থেকে তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আর সেই সময় ১৫ আগস্টের আঘাত এল। এরপর আর বাংলাদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। এই টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জন্ম গ্রহণ করেন। এই মাটিতেই তিনি ঘুমিয়ে আছেন বাবা-মায়ের কবরের পাশে। আজকে এখানে আমরা জাতীয় শিশু দিবস পালন করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমরা একটা জিনিস চাই, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে, আর সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।’
এর আগে জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং পরে ১০টা ৩৯ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপরে পবিত্র সুরা ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন তাঁরা। দোয়া-মোনাজাত শেষে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে রক্ষিত মন্তব্য বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানানোর পর দলীয় প্রধান হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি প্রাঙ্গণে আয়োজিত শিশু সমাবেশ অনুষ্ঠানে আসন গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ১১টা ৩৭ মিনিটে স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। স্বাগত বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকারবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে শিশু প্রতিনিধির বক্তব্য দেন তাইমা তাসনিম। এরপরে বেলা ১১টা ৫৬ মিনিটে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি এমপি। এরপরে দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে সভাপতির বক্তব্য দেন শিশু প্রতিনিধি তিয়াশা জামিন। সভাপতির বক্তব্যের পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এরপরে প্রধান অতিথি জেলার ১০৪ জন অসচ্ছল, মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে দুজনের হাতে পাঁচ হাজার টাকার আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধানমন্ত্রীকে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম গোপালগঞ্জের জিআই আবেদীত ব্রোঞ্জের গয়নার স্মারক উপহার ও জিআই সনদ পাওয়া গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ভর্তি হাঁড়ি তুলে দেন। পরে দুপুর ১২টা ৩৩ মিনিটে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২টা ৫৬ মিনিটে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষ করেন। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী, প্রশিক্ষক ও কলাকুশলীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপরে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধি প্রাঙ্গণে আয়োজিত বইমেলা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মোহাম্মদ ফারুক খান এমপি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এমপি, শেখ হেলালুদ্দীন এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাইম, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকার (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ৩টা ১৭ মিনিটে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় ভ্রমণের ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে সরকার। স্ক্যাম চক্রের প্রতারণা এড়াতে নিয়োগ যাচাই এবং সাইবার নিরাপত্তা মেনে চলার পরামর্শ।
৩৯ মিনিট আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৭ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৮ ঘণ্টা আগে