বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
শিগগির বিসিএস ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সভাও শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আজ রোববার সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত এক সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব সংলাপে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক সংলাপ পরিচালনা করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে ২৮ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হবে। যাঁদের (ডিসি পদ থেকে) তুলে আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২০ জন বিসিএস ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তা। আশা করা যাচ্ছে, তাঁরা এ মাস নাগাদ যুগ্ম সচিব হয়ে যাবেন। এ জন্যই তাঁদের উঠিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদের জায়গায় নতুনদের পদায়ন করা হয়েছে। ডিসির পদটি উপসচিব পদমর্যাদার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৯ জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে যুগ্ম সচিবের ৩৩২টি পদে আছেন প্রায় ৭২৫ কর্মকর্তা। যা পদের দ্বিগুণের বেশি। শূন্যপদ না থাকায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অধিকাংশকেই ইনসিটু (আগের পদে) রাখা হবে যথারীতি। বিসিএস ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল উপসচিব পদে পদোন্নতি পান। সে হিসেবে তাঁরা ছয় বছর ধরে এ পদে দায়িত্ব পালন করে সবাই যুগ্ম সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
এই ব্যাচের ২৪৫ জন ছাড়াও ইকোনমিক ক্যাডার থেকে একীভূত হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে এসেছেন আরও ৩৯ জন। তাঁরাসহ এ পদোন্নতিতে সাড়ে ৫০০ কর্মকর্তার কর্মজীবনের সব নথিপত্র পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতি বঞ্চিত বিভিন্ন ব্যাচের শতাধিক ও অন্যান্য ক্যাডারের দুই শতাধিক কর্মকর্তা আছেন। তাঁদের প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরিজীবনের শৃঙ্খলা, দুর্নীতির বিষয়সহ ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে চাকরিজীবনের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত এবং গ্রামের বাড়িসহ আত্মীয়-স্বজনদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না তার খবর নেওয়া হচ্ছে।
ডিসি নিয়োগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে কোনো পক্ষপাত নেই। যোগ্যতা অনুযায়ী সেরা কর্মকর্তাদের ডিসি বানানো হচ্ছে। আর বেছে বেছে সেরা কর্মকর্তাদের মন্ত্রীদের একান্ত সচিব (পিএস) পদে নিয়োগ দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। কেউ যাতে ইচ্ছেমতো পিএস নিয়োগ দিতে না পারেন, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করে পিএস দিয়েছেন। কোনো মন্ত্রী জানেন না, কোন পিএস আসবেন। এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেরা কর্মকর্তাদের। কারণ, তিনি মন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন, তিনি যাতে যথাযথভাবে সাহায্য করতে পারেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৪, ২৫ ও ২৭তম বিসিএসের মধ্যে যাঁরা ভালো কর্মকর্তা, তাঁরা বোর্ডে (ডিসি নিয়োগের জন্য ফিস্ট লিস্ট বা বাছাই বোর্ড) ওপরের দিকে আছেন। সেরা কর্মকর্তাদেরই ডিসি বানানো হয়েছে। কারণ, ডিসির কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিসি হচ্ছেন একটি জেলার মুখ্য সমন্বয়ক। সে জন্য তাঁকে ব্যবস্থাপনার যোগ্যতা, মাঠে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের যোগ্যতা থাকতে হবে। এই গুণাবলি দেখে সেরা কর্মকর্তাদের আনা হয়েছে। এটি করা হয়েছে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে। এর চেয়ে বিকল্প ছিল না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের একটি নীতি রয়েছে। সেটি হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ একটি নির্বাচন উপহার দিতে চাই। সেটির জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রীও সেটি ইতিমধ্যে ব্যক্ত করেছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও বলেছেন। আমরা সেদিকে যাচ্ছি। সেটির জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া আছে—অত্যন্ত সচেতন ও সুন্দরভাবে কাজ করবেন। পেশাদারি দেখাবেন।’
মাঠ প্রশাসন থেকে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন ডিসিকে প্রত্যাহার করার বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাঠ প্রশাসন দেখে কেবিনেট ডিভিশন (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ) যারা মাঠে কাজের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি, কারও কারও বিরুদ্ধে মাঠ প্রশাসনে অভিযোগ ছিল, তাই মাঠ থেকে কয়েকজন ডিসিকে তুলে এনেছি। মাঠে যোগ্য অফিসার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’
প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার ই-নথি বাস্তবায়ন করেছে ৯৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, যা আমরা পেয়েছিলাম ৩০ শতাংশ। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি ছিল এটা।’
শিগগির বিসিএস ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সভাও শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আজ রোববার সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত এক সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব সংলাপে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক সংলাপ পরিচালনা করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে ২৮ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হবে। যাঁদের (ডিসি পদ থেকে) তুলে আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২০ জন বিসিএস ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তা। আশা করা যাচ্ছে, তাঁরা এ মাস নাগাদ যুগ্ম সচিব হয়ে যাবেন। এ জন্যই তাঁদের উঠিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদের জায়গায় নতুনদের পদায়ন করা হয়েছে। ডিসির পদটি উপসচিব পদমর্যাদার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৯ জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে যুগ্ম সচিবের ৩৩২টি পদে আছেন প্রায় ৭২৫ কর্মকর্তা। যা পদের দ্বিগুণের বেশি। শূন্যপদ না থাকায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অধিকাংশকেই ইনসিটু (আগের পদে) রাখা হবে যথারীতি। বিসিএস ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল উপসচিব পদে পদোন্নতি পান। সে হিসেবে তাঁরা ছয় বছর ধরে এ পদে দায়িত্ব পালন করে সবাই যুগ্ম সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
এই ব্যাচের ২৪৫ জন ছাড়াও ইকোনমিক ক্যাডার থেকে একীভূত হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে এসেছেন আরও ৩৯ জন। তাঁরাসহ এ পদোন্নতিতে সাড়ে ৫০০ কর্মকর্তার কর্মজীবনের সব নথিপত্র পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতি বঞ্চিত বিভিন্ন ব্যাচের শতাধিক ও অন্যান্য ক্যাডারের দুই শতাধিক কর্মকর্তা আছেন। তাঁদের প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরিজীবনের শৃঙ্খলা, দুর্নীতির বিষয়সহ ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে চাকরিজীবনের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত এবং গ্রামের বাড়িসহ আত্মীয়-স্বজনদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না তার খবর নেওয়া হচ্ছে।
ডিসি নিয়োগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে কোনো পক্ষপাত নেই। যোগ্যতা অনুযায়ী সেরা কর্মকর্তাদের ডিসি বানানো হচ্ছে। আর বেছে বেছে সেরা কর্মকর্তাদের মন্ত্রীদের একান্ত সচিব (পিএস) পদে নিয়োগ দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। কেউ যাতে ইচ্ছেমতো পিএস নিয়োগ দিতে না পারেন, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করে পিএস দিয়েছেন। কোনো মন্ত্রী জানেন না, কোন পিএস আসবেন। এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেরা কর্মকর্তাদের। কারণ, তিনি মন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন, তিনি যাতে যথাযথভাবে সাহায্য করতে পারেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৪, ২৫ ও ২৭তম বিসিএসের মধ্যে যাঁরা ভালো কর্মকর্তা, তাঁরা বোর্ডে (ডিসি নিয়োগের জন্য ফিস্ট লিস্ট বা বাছাই বোর্ড) ওপরের দিকে আছেন। সেরা কর্মকর্তাদেরই ডিসি বানানো হয়েছে। কারণ, ডিসির কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিসি হচ্ছেন একটি জেলার মুখ্য সমন্বয়ক। সে জন্য তাঁকে ব্যবস্থাপনার যোগ্যতা, মাঠে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের যোগ্যতা থাকতে হবে। এই গুণাবলি দেখে সেরা কর্মকর্তাদের আনা হয়েছে। এটি করা হয়েছে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে। এর চেয়ে বিকল্প ছিল না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের একটি নীতি রয়েছে। সেটি হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ একটি নির্বাচন উপহার দিতে চাই। সেটির জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রীও সেটি ইতিমধ্যে ব্যক্ত করেছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও বলেছেন। আমরা সেদিকে যাচ্ছি। সেটির জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া আছে—অত্যন্ত সচেতন ও সুন্দরভাবে কাজ করবেন। পেশাদারি দেখাবেন।’
মাঠ প্রশাসন থেকে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন ডিসিকে প্রত্যাহার করার বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাঠ প্রশাসন দেখে কেবিনেট ডিভিশন (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ) যারা মাঠে কাজের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি, কারও কারও বিরুদ্ধে মাঠ প্রশাসনে অভিযোগ ছিল, তাই মাঠ থেকে কয়েকজন ডিসিকে তুলে এনেছি। মাঠে যোগ্য অফিসার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’
প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার ই-নথি বাস্তবায়ন করেছে ৯৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, যা আমরা পেয়েছিলাম ৩০ শতাংশ। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি ছিল এটা।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৬ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৮ ঘণ্টা আগে