নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সব সময় পার্লামেন্ট প্র্যাকটিসে আন্তরিক বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সংস্থাটি তৈরির ইতিহাস তুলে ধরে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সৃষ্টির পেছনে চমৎকার বিষয় রয়েছে, সেটা হলো আমরা বিরোধী দলে এত বেশি সংসদ সদস্য ছিল না। কিন্তু আমরা যখন এই বিলটা নিয়ে এলাম, আমরা জানতাম, সরকারপক্ষ কখনোই এই বিল পাস করবে না।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাংসদেরা সব সময় পার্লামেন্ট প্র্যাকটিসে আন্তরিক ছিলাম। আমরা নিয়মিত হাউসে উপস্থিত থাকতাম। আর বিএনপির যারা সদস্য…জামায়াত ও বিএনপি মিলে সরকার গঠন করেছিল। তারা সংসদে খুব একটা উপস্থিত থাকত না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিলটি (কোস্টগার্ড বিল) যখন ওঠে, তখন কণ্ঠভোট আসে। আমরা নিজেরা গুনে দেখি যে আমরাই সংখ্যায় বেশি। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এক সংসদ সদস্য ডিভিশন ভোটের দাবি করেন। এই ভোটে বিরোধী দল জয়লাভ করে। তখনই আইনটি পাস হয়। এটা একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার। ১৯৯৪ সালে এ ঘটনা ঘটেছিল।’
১৯৯৪ সালে কোস্টগার্ড বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়। ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এই বাহিনী যাত্রা শুরু করে। গত ১৩ বছরে কোস্টগার্ডের জন্য ৭৭টি জলযান নির্মাণ ও সংযোজন করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আরও জাহাজ নির্মাণের পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই বাহিনীকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হবে। এই বাহিনীর সার্বিক কল্যাণে যা যা করা দরকার, সেগুলো সরকার করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরে ধারাবাহিকভাবে কোস্টগার্ডের জনবল বাড়িয়েছি। সুনীল অর্থনীতি ও গভীর সমুদ্রের নিরাপত্তার জন্য এই বাহিনীর জনবল ও জাহাজ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’ গভীর সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতিকে গতিশীল ও নিরাপদ রাখা এবং সুনীল অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ও ব্যক্তিদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
উপকূলীয় অঞ্চলে নিয়মিত বৃক্ষ রোপণ করায় কোস্টগার্ডকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে এবং পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমুদ্রসীমা রক্ষা এবং নদীমাতৃক দেশকেও নিরাপদ করার জন্য আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একান্তভাবে দরকার। সেই দায়িত্ব কোস্টগার্ড যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছে। কারণ, আমাদের এই অঞ্চল (বঙ্গোপসাগর) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলের সব নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রয়োজন এবং সেদিকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সেটা আমরা যথাযথভাবে করে যাচ্ছি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা-পরবর্তী মাত্র সাড়ে তিন বছরে শূন্য বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে রূপান্তর করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যখন জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান, সেই সময় ঘটে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। আমরা হারিয়েছিলাম আমাদের আপনজন। কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছিল উন্নত জীবনযাপনের সব ধরনের অধিকার। বাঙালি জাতি আবার শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়। ইতিহাস বিকৃত হয়।’
আওয়ামী লীগ সব সময় পার্লামেন্ট প্র্যাকটিসে আন্তরিক বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সংস্থাটি তৈরির ইতিহাস তুলে ধরে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সৃষ্টির পেছনে চমৎকার বিষয় রয়েছে, সেটা হলো আমরা বিরোধী দলে এত বেশি সংসদ সদস্য ছিল না। কিন্তু আমরা যখন এই বিলটা নিয়ে এলাম, আমরা জানতাম, সরকারপক্ষ কখনোই এই বিল পাস করবে না।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাংসদেরা সব সময় পার্লামেন্ট প্র্যাকটিসে আন্তরিক ছিলাম। আমরা নিয়মিত হাউসে উপস্থিত থাকতাম। আর বিএনপির যারা সদস্য…জামায়াত ও বিএনপি মিলে সরকার গঠন করেছিল। তারা সংসদে খুব একটা উপস্থিত থাকত না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিলটি (কোস্টগার্ড বিল) যখন ওঠে, তখন কণ্ঠভোট আসে। আমরা নিজেরা গুনে দেখি যে আমরাই সংখ্যায় বেশি। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এক সংসদ সদস্য ডিভিশন ভোটের দাবি করেন। এই ভোটে বিরোধী দল জয়লাভ করে। তখনই আইনটি পাস হয়। এটা একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার। ১৯৯৪ সালে এ ঘটনা ঘটেছিল।’
১৯৯৪ সালে কোস্টগার্ড বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়। ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এই বাহিনী যাত্রা শুরু করে। গত ১৩ বছরে কোস্টগার্ডের জন্য ৭৭টি জলযান নির্মাণ ও সংযোজন করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আরও জাহাজ নির্মাণের পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই বাহিনীকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হবে। এই বাহিনীর সার্বিক কল্যাণে যা যা করা দরকার, সেগুলো সরকার করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরে ধারাবাহিকভাবে কোস্টগার্ডের জনবল বাড়িয়েছি। সুনীল অর্থনীতি ও গভীর সমুদ্রের নিরাপত্তার জন্য এই বাহিনীর জনবল ও জাহাজ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’ গভীর সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতিকে গতিশীল ও নিরাপদ রাখা এবং সুনীল অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ও ব্যক্তিদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
উপকূলীয় অঞ্চলে নিয়মিত বৃক্ষ রোপণ করায় কোস্টগার্ডকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে এবং পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমুদ্রসীমা রক্ষা এবং নদীমাতৃক দেশকেও নিরাপদ করার জন্য আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একান্তভাবে দরকার। সেই দায়িত্ব কোস্টগার্ড যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছে। কারণ, আমাদের এই অঞ্চল (বঙ্গোপসাগর) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলের সব নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রয়োজন এবং সেদিকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সেটা আমরা যথাযথভাবে করে যাচ্ছি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা-পরবর্তী মাত্র সাড়ে তিন বছরে শূন্য বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে রূপান্তর করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যখন জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান, সেই সময় ঘটে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। আমরা হারিয়েছিলাম আমাদের আপনজন। কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছিল উন্নত জীবনযাপনের সব ধরনের অধিকার। বাঙালি জাতি আবার শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়। ইতিহাস বিকৃত হয়।’
ফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
১১ মিনিট আগেদেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
২ ঘণ্টা আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
২ ঘণ্টা আগেনির্বাচনের দিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে সরকার বলে জানিয়েছেন ভূমি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিআইসিসিতে এশিয়ান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
৩ ঘণ্টা আগে