প্রতিনিধি, জাবি (সাভার)
মহামারিতে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীরা করোনাভীতিতে বেশি ভুগছেন। করোনাভীতির কারণে ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছেন। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ পরিচালিত এক গবেষণা সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, মহামারিতে অন্যান্য পেশাজীবীর চেয়ে ছাত্রছাত্রীরা বিষণ্নতায় ভুগছে বেশি। এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা যোগ্যতাসম্পন্ন ও অধ্যয়নরত মানুষের মাঝেও বিষণ্নতা বেশি।
গত ২৪ জুন ‘ফেয়ার অ্যান্ড ডিপ্রেসিভ সিমটমস এইমড কোভিড–১৯ : এ ক্রস সেকশনাল পাইলট স্টাডি অ্যামং এডাল্ট পপুলেশন ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের গবেষণাটি বিশ্বখ্যাত এলসেভিয়ারের (ELSEVIER) হিলিয়ন নামের সায়েন্টিফিক জার্নালে প্রকাশিত হয়।
সমীক্ষাটি পরিচালনায় অংশ নেন জাবির পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের তিন শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম, সাদিয়া সুলতানা ও আবিদ হাসান খান। তত্ত্বাবধান করেন একই বিভাগের প্রভাষক সাহাদাত হোসেন ও সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার।
এ ছাড়া বিদেশ থেকে ইংল্যান্ডের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক পরিচর্যা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের তাসদিক হাসান ও চীনের সাংহাই হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের জেযহি লি এ গবেষণাপত্র পর্যালোচনা করেন।
এ ব্যাপারে প্রভাষক সাহাদাত হোসেন বলেন, 'সমীক্ষাটি বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারিতে ভয় ও বিষণ্নতার স্তর এবং এর পেছনের কারণগুলো নির্ধারণের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। গবেষণাটি ২০ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত এক মাস সময় ধরে করা হয়। এতে সারা দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ অনলাইন মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন। যাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৬৮ বছরের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ পুরুষ ও ৭৬ দশমিক ১৯ শতাংশ নারী।'
সাহাদাত হোসেন আরও বলেন, 'কোভিড-১৯ নিয়ে সাধারণ মানুষের ভীতি ও বিষণ্নতা নিরূপণের জন্য যথাক্রমে বাংলা ফেয়ার অব কোভিড–১৯ স্কেল অ্যান্ড বাংলা পেশেন্ট হেলথ কোয়েশ্চিনারি (পিএইচকিউ–৯ স্কেল) ব্যবহার করা হয় এবং নিখুঁত বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে উপনীত হন।'
সমীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, 'পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে করোনাভীতি ১ দশমিক ৮৪ গুণ বেশি ছড়িয়েছে। এর ফলে তাঁদের মধ্যে ১ দশমিক ৯০ গুণ বিষণ্নতা বেশি। এ ছাড়া সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মোট ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতার মধ্যে রয়েছেন।'
গবেষণায় বলা হয়েছে, 'সুস্থ ব্যক্তিদের তুলনায় জটিল রোগ, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা, হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভীতি বেশি এবং তাঁরা অন্যদের তুলনায় বেশি বিষণ্নতায় ভোগেন। এদিকে যাঁরা মহামারিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক মনে করেন, তাঁদের মধ্যে মহামারি–সম্পর্কিত ভীতি বেশি। বিপরীতে মহামারিকে হালকাভাবে দেখছেন এমন মানুষের মাঝে বিষণ্নতা কম।'
গবেষণার বিষয়ে জাবি পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার বলেন, 'কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভঙ্গ করলে ভাইরাস ছড়াতে পারে–বিশ্বাসী লোকদের মাঝে এবং যাঁরা নিজেদের করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ মনে করেন না, তাঁদের মধ্যে করোনাভীতি বেশি।'
গবেষকেরা বলেন, 'যাঁরা নিজেদের হাত সাবান, পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখেন, তাঁদের মাঝে করোনার ভীতি কম। অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে উদাসীন মানুষের ভীতি অন্যদের তুলনায় কম।'
গবেষণার অন্যতম সহযোগী সাদিয়া সুলতানা বলেন, 'কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিশেষ জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি, প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ভীতি ও বিষণ্নতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সঙ্গে জনসাধারণের করোনাভীতি ও বিষণ্নতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।'
গবেষক ও শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম বলেন, 'জনগণের কোভিড-১৯–এর ভীতি ও বিষণ্নতার লক্ষণগুলো দূর করতে পারলে এর প্রতিরোধ কার্যক্রম সফলতা পাবে; যা করোনাভাইরাসের ভবিষ্যৎ ঢেউগুলো মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।'
মহামারিতে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীরা করোনাভীতিতে বেশি ভুগছেন। করোনাভীতির কারণে ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছেন। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ পরিচালিত এক গবেষণা সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, মহামারিতে অন্যান্য পেশাজীবীর চেয়ে ছাত্রছাত্রীরা বিষণ্নতায় ভুগছে বেশি। এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা যোগ্যতাসম্পন্ন ও অধ্যয়নরত মানুষের মাঝেও বিষণ্নতা বেশি।
গত ২৪ জুন ‘ফেয়ার অ্যান্ড ডিপ্রেসিভ সিমটমস এইমড কোভিড–১৯ : এ ক্রস সেকশনাল পাইলট স্টাডি অ্যামং এডাল্ট পপুলেশন ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের গবেষণাটি বিশ্বখ্যাত এলসেভিয়ারের (ELSEVIER) হিলিয়ন নামের সায়েন্টিফিক জার্নালে প্রকাশিত হয়।
সমীক্ষাটি পরিচালনায় অংশ নেন জাবির পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের তিন শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম, সাদিয়া সুলতানা ও আবিদ হাসান খান। তত্ত্বাবধান করেন একই বিভাগের প্রভাষক সাহাদাত হোসেন ও সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার।
এ ছাড়া বিদেশ থেকে ইংল্যান্ডের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক পরিচর্যা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের তাসদিক হাসান ও চীনের সাংহাই হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের জেযহি লি এ গবেষণাপত্র পর্যালোচনা করেন।
এ ব্যাপারে প্রভাষক সাহাদাত হোসেন বলেন, 'সমীক্ষাটি বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারিতে ভয় ও বিষণ্নতার স্তর এবং এর পেছনের কারণগুলো নির্ধারণের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। গবেষণাটি ২০ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত এক মাস সময় ধরে করা হয়। এতে সারা দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ অনলাইন মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন। যাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৬৮ বছরের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ পুরুষ ও ৭৬ দশমিক ১৯ শতাংশ নারী।'
সাহাদাত হোসেন আরও বলেন, 'কোভিড-১৯ নিয়ে সাধারণ মানুষের ভীতি ও বিষণ্নতা নিরূপণের জন্য যথাক্রমে বাংলা ফেয়ার অব কোভিড–১৯ স্কেল অ্যান্ড বাংলা পেশেন্ট হেলথ কোয়েশ্চিনারি (পিএইচকিউ–৯ স্কেল) ব্যবহার করা হয় এবং নিখুঁত বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে উপনীত হন।'
সমীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, 'পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে করোনাভীতি ১ দশমিক ৮৪ গুণ বেশি ছড়িয়েছে। এর ফলে তাঁদের মধ্যে ১ দশমিক ৯০ গুণ বিষণ্নতা বেশি। এ ছাড়া সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মোট ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতার মধ্যে রয়েছেন।'
গবেষণায় বলা হয়েছে, 'সুস্থ ব্যক্তিদের তুলনায় জটিল রোগ, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা, হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভীতি বেশি এবং তাঁরা অন্যদের তুলনায় বেশি বিষণ্নতায় ভোগেন। এদিকে যাঁরা মহামারিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক মনে করেন, তাঁদের মধ্যে মহামারি–সম্পর্কিত ভীতি বেশি। বিপরীতে মহামারিকে হালকাভাবে দেখছেন এমন মানুষের মাঝে বিষণ্নতা কম।'
গবেষণার বিষয়ে জাবি পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার বলেন, 'কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভঙ্গ করলে ভাইরাস ছড়াতে পারে–বিশ্বাসী লোকদের মাঝে এবং যাঁরা নিজেদের করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ মনে করেন না, তাঁদের মধ্যে করোনাভীতি বেশি।'
গবেষকেরা বলেন, 'যাঁরা নিজেদের হাত সাবান, পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখেন, তাঁদের মাঝে করোনার ভীতি কম। অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে উদাসীন মানুষের ভীতি অন্যদের তুলনায় কম।'
গবেষণার অন্যতম সহযোগী সাদিয়া সুলতানা বলেন, 'কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিশেষ জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি, প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ভীতি ও বিষণ্নতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সঙ্গে জনসাধারণের করোনাভীতি ও বিষণ্নতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।'
গবেষক ও শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম বলেন, 'জনগণের কোভিড-১৯–এর ভীতি ও বিষণ্নতার লক্ষণগুলো দূর করতে পারলে এর প্রতিরোধ কার্যক্রম সফলতা পাবে; যা করোনাভাইরাসের ভবিষ্যৎ ঢেউগুলো মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।'
দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
২ ঘণ্টা আগেদেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
৪ ঘণ্টা আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
৪ ঘণ্টা আগে