রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সরকারপ্রধানের জন্য নির্ধারিত কার্যালয়ে অফিস করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সরকারপ্রধানের জন্য নির্ধারিত এ স্থাপনা ব্যবহারযোগ্য করতে দিনরাত কাজ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে কার্যালয়টি প্রস্তুত রয়েছে। আগামী রোববার থেকে অফিস করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। 

আজ বৃহস্পতিবার দায়িত্বশীল সূত্র আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

ক্ষমতাচ্যুত সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের দিন (৫ আগস্ট) আন্দোলনরত জনতার একটি অংশ ঢুকে পড়ে এ স্থাপনায়। ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ফলে অনেকটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে জোরেশোরে কাজ শুরু হয় এবং বর্তমানে চলছে শেষ মুহূর্তের গোছগাছ। এ বিশাল কর্মযজ্ঞ করতে কমপক্ষে এক শ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হচ্ছে বলে দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে। 

আজ সকালে বিভিন্ন সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তারা কার্যালয়টি পরিদর্শন করেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী রোববার থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তেজগাঁওয়ে অফিস করবেন।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে বোনকে নিয়ে দেশ ছাড়ার পর কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে হাজারো মানুষ। সেখানে বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন জিনিসপত্রও নিয়ে যায় লোকজন। কার্যালয়ের অভ্যর্থনা কক্ষ, হল রুম, সম্মেলনকক্ষসহ বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে ব্যাপক কাচ ভাঙচুর করে। হলরুমে সাউন্ড সিস্টেম ভাঙচুর করাসহ চেয়ার, টেবিল, সোফা, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মনিটর, বিভিন্ন ধরনের বাতি, ফুলদানিসহ ভেতরে যা ছিল মোটামুটি সবই নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনার পর ১২ আগস্ট এ স্থাপনাটি মেরামত ও সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়। তখন সেখানে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাসহ সংশ্লিষ্টরা প্রবেশ করেন। পরিস্থিতি ভয়াবহতা দেখে অল্প সময় তা মেরামত করা কঠিন মনে হলেও দুই শতাধিক লোকজনকে দিয়ে দিনরাত কাজ করিয়ে তা ১২-১৩ দিনের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী করা হয়। সেখানে পূর্তকাজ, ফার্নিচার এবং ইলেক্ট্রোমেকানিক্যালসহ ব্যয় কমপক্ষে এক শ কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে বলে জানা যায়।