অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: দেশের প্রবীণ প্রকাশক দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের (ইউপিএল) প্রতিষ্ঠাতা মহিউদ্দিন আহমেদ সোমবার দিবাগত রাত ১টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মেয়ে ও ইউপিএলের পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। আজ মঙ্গলবার বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মহিউদ্দিন আহমেদের স্মৃতিচারণ করেছেন আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট আলী রিয়াজ। তিনি তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখেন, বাংলাদেশের প্রকাশনাজগতের পথিকৃৎ ও মহীরুহ মহিউদ্দিন আহমেদ আর নেই–এই সংবাদ আমার কাছে অবিশ্বাস্য বলেই মনে হয়। মহিউদ্দিন ভাই দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন; কিন্তু অপরিমেয় জীবনীশক্তি দিয়ে তিনি তা মোকাবিলা করেছেন। পরিণত বয়স বা অসুস্থতা আমাদের কোনো মৃত্যুর জন্যই প্রস্তুত করে না। যাঁদের ছায়া দীর্ঘ, যাঁদের কাজ একটি ক্ষেত্রকে আমূল বদলে দিয়েছে, তাঁদের জীবনাবসানের সংবাদ আমাদের কেবল বেদনাহতই করে না, আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁদের কাজ কী করে অন্যদের জীবনকে বদলে দিয়েছে। যাঁদের কাজ অন্যদের সৃজনশীলতা ও গবেষণাকে বদলে দিয়েছে, তাঁদের অনুপস্থিতি স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁরা কতটা প্রয়োজনীয় ছিলেন।
মহিউদ্দিন আহমেদকে প্রচলিত পরিচয়ে আমরা ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেই বর্ণনা করব। কিন্তু তাঁর পরিচয় আমার কাছে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণার ক্ষেত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার একজন নিবেদিত মানুষ হিসেবে। বাংলাদেশে বাংলাদেশ বিষয়ে যেসব কাজ হচ্ছে, তার সঙ্গে বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, একই সঙ্গে সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ বিষয়ে যেসব গবেষণা হচ্ছে, তাকে বাংলাদেশের পাঠকের হাতে তুলে দেওয়া—এটাই তিনি করেছেন সারা জীবন ধরে। এক বাক্যে যত সহজে তা লেখা যায়, সেই কাজ করা যে কতটা কঠিন, সেটা কেবল তাঁর কাজের প্রভাব থেকেই উপলব্ধি করা সম্ভব।
অন্তরালের মানুষ ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্প এবং মানসম্পন্ন প্রকাশনার ইতিহাস রচনা করা যাবে না। সাংবাদিকতা দিয়ে তাঁর জীবনের সূচনা হয়েছিল। স্থায়ীভাবে একাডেমিক জগতে প্রবেশের ডাক এসেছিল তাঁর, যখন তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে ভর্তির সুযোগ পান, কিন্তু অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির (ওইউপি) প্রকাশনা ও সম্পাদনা তাঁকে বেশি আকর্ষণ করেছিল, সেটা ১৯৬৯ সাল। একসময় সাংবাদিকতার পাশাপাশি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতাও করেছিলেন। মহিউদ্দিন ভাই ১৯৯৭–৯৮ সালে লন্ডনে আমাকে তাঁর জীবনের এই পর্বের কথা বললে আমার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া ছিল যে–ভাগ্যিস আপনি পিএইচডি না করে ওইউপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তাঁর স্বভাবসিদ্ধ হাসিতে উজ্জ্বল মুখে বলেছিলেন—‘আমিও তাই ভাবি।' তারপরে আরও কথা হয়েছিল। কী করে ১৯৭৫ সালে ইউপিএল প্রতিষ্ঠা পেল সেই সব গল্প।
বাংলাদেশে গবেষণাভিত্তিক ইংরেজি বইয়ের প্রকাশনার যে ধারা তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা কি অন্য আর কারও হাতে তৈরি হতে পারত? যে সময়ে তিনি প্রকাশনাজগতের জন্য নিজেকে নিবেদন করলেন, যেভাবে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন, তা কেবল ধৈর্য, নিষ্ঠা আর ভালোবাসা দিয়েই সম্ভব। যে দেশে প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে না, যেখানে প্রতিষ্ঠানের অকালমৃত্যুই ভবিতব্য বলে বিবেচিত, সেখানে মহিউদ্দিন ভাই তৈরি করেছেন এমন প্রতিষ্ঠান, যা নিয়ে বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে। বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত রাতে মহিউদ্দিন আহমেদ ৭৭ বছর বয়সে ঢাকায় পরলোক গমন করেন। তাঁর আপনজনদের প্রতি আমার সমবেদনা।
ঢাকা: দেশের প্রবীণ প্রকাশক দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের (ইউপিএল) প্রতিষ্ঠাতা মহিউদ্দিন আহমেদ সোমবার দিবাগত রাত ১টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মেয়ে ও ইউপিএলের পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। আজ মঙ্গলবার বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মহিউদ্দিন আহমেদের স্মৃতিচারণ করেছেন আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট আলী রিয়াজ। তিনি তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখেন, বাংলাদেশের প্রকাশনাজগতের পথিকৃৎ ও মহীরুহ মহিউদ্দিন আহমেদ আর নেই–এই সংবাদ আমার কাছে অবিশ্বাস্য বলেই মনে হয়। মহিউদ্দিন ভাই দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন; কিন্তু অপরিমেয় জীবনীশক্তি দিয়ে তিনি তা মোকাবিলা করেছেন। পরিণত বয়স বা অসুস্থতা আমাদের কোনো মৃত্যুর জন্যই প্রস্তুত করে না। যাঁদের ছায়া দীর্ঘ, যাঁদের কাজ একটি ক্ষেত্রকে আমূল বদলে দিয়েছে, তাঁদের জীবনাবসানের সংবাদ আমাদের কেবল বেদনাহতই করে না, আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁদের কাজ কী করে অন্যদের জীবনকে বদলে দিয়েছে। যাঁদের কাজ অন্যদের সৃজনশীলতা ও গবেষণাকে বদলে দিয়েছে, তাঁদের অনুপস্থিতি স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁরা কতটা প্রয়োজনীয় ছিলেন।
মহিউদ্দিন আহমেদকে প্রচলিত পরিচয়ে আমরা ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেই বর্ণনা করব। কিন্তু তাঁর পরিচয় আমার কাছে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণার ক্ষেত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার একজন নিবেদিত মানুষ হিসেবে। বাংলাদেশে বাংলাদেশ বিষয়ে যেসব কাজ হচ্ছে, তার সঙ্গে বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, একই সঙ্গে সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ বিষয়ে যেসব গবেষণা হচ্ছে, তাকে বাংলাদেশের পাঠকের হাতে তুলে দেওয়া—এটাই তিনি করেছেন সারা জীবন ধরে। এক বাক্যে যত সহজে তা লেখা যায়, সেই কাজ করা যে কতটা কঠিন, সেটা কেবল তাঁর কাজের প্রভাব থেকেই উপলব্ধি করা সম্ভব।
অন্তরালের মানুষ ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্প এবং মানসম্পন্ন প্রকাশনার ইতিহাস রচনা করা যাবে না। সাংবাদিকতা দিয়ে তাঁর জীবনের সূচনা হয়েছিল। স্থায়ীভাবে একাডেমিক জগতে প্রবেশের ডাক এসেছিল তাঁর, যখন তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে ভর্তির সুযোগ পান, কিন্তু অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির (ওইউপি) প্রকাশনা ও সম্পাদনা তাঁকে বেশি আকর্ষণ করেছিল, সেটা ১৯৬৯ সাল। একসময় সাংবাদিকতার পাশাপাশি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতাও করেছিলেন। মহিউদ্দিন ভাই ১৯৯৭–৯৮ সালে লন্ডনে আমাকে তাঁর জীবনের এই পর্বের কথা বললে আমার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া ছিল যে–ভাগ্যিস আপনি পিএইচডি না করে ওইউপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তাঁর স্বভাবসিদ্ধ হাসিতে উজ্জ্বল মুখে বলেছিলেন—‘আমিও তাই ভাবি।' তারপরে আরও কথা হয়েছিল। কী করে ১৯৭৫ সালে ইউপিএল প্রতিষ্ঠা পেল সেই সব গল্প।
বাংলাদেশে গবেষণাভিত্তিক ইংরেজি বইয়ের প্রকাশনার যে ধারা তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা কি অন্য আর কারও হাতে তৈরি হতে পারত? যে সময়ে তিনি প্রকাশনাজগতের জন্য নিজেকে নিবেদন করলেন, যেভাবে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন, তা কেবল ধৈর্য, নিষ্ঠা আর ভালোবাসা দিয়েই সম্ভব। যে দেশে প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে না, যেখানে প্রতিষ্ঠানের অকালমৃত্যুই ভবিতব্য বলে বিবেচিত, সেখানে মহিউদ্দিন ভাই তৈরি করেছেন এমন প্রতিষ্ঠান, যা নিয়ে বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে। বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত রাতে মহিউদ্দিন আহমেদ ৭৭ বছর বয়সে ঢাকায় পরলোক গমন করেন। তাঁর আপনজনদের প্রতি আমার সমবেদনা।
আমরা রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে ঢুকতে চাই না। আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না। আমরা আইন-কানুন, বিধিবিধানের মধ্যে থাকব। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই...
২৭ মিনিট আগেরাজধানীর ফার্মগেটে একটি রেস্তোরাঁয় ঝড়ের গতিতে ১০-১২ জন যুবক ঢুকে পড়লেন। একজন ম্যানেজারকে বললেন, ‘তোরে না কইছি ভাই পাঠাইছে, আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা কর। নইলে ঢাকা ছাড়।’ কয়েক দিন আগে রাত ৯টার দিকে হুমকি দেওয়ার সময় এ প্রতিবেদক সেখানে খাবার খাচ্ছিলেন...
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশে যেকোনো সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এমন বাস্তবতায় দেশটির ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়েছে ছয় মাস আগে। তবে ওয়াশিংটনে পালাবদলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান...
৩ ঘণ্টা আগেনবীন উদ্যোক্তাদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প শুনতে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে ১৫ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন, যাঁরা সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে