নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে উন্নয়ন বাড়ছে, বাড়ছে শিল্পায়ন। ফলে বাড়ছে বর্জ্যও। এই বর্জ্য থেকে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় তা নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ‘টেকসই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: অংশীজনের সম্পৃক্ততা, শিখন ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী। ইউএসএআইডি ও কাউন্টার পার্ট ইন্টারন্যাশনালের (সিপিআই) সহযোগিতায় দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে), বারসিক, ইনসাইটস ও কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর (কাপ) এই সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নয়নের সঙ্গে শিল্পায়ন বাড়ছে। এ থেকে বর্জ্যও বাড়ছে। এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এই বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শহরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্জ্য সংগ্রহ শুরু করা হবে। বর্জ্য থেকে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।’
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বস্তিবাসী শব্দ ব্যবহার করা লজ্জার বিষয়। বাংলাদেশের মতো একটা দেশ, এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে বস্তিবাসী কেন থাকবে। এটা কি ধরনের উন্নয়ন। আমরা বস্তিমুক্ত একটা বাংলাদেশ চাই। এখানে কেউ বস্তিতে থাকবে না। সংবিধানে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের কথা বলা আছে। সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা নিশ্চিত করলেই বর্জ্য দুষণ থেকে বস্তিবাসীরা মুক্তি পাবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে চাই। তখন জিডিপি বাড়বে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে, একই হারে যদি বর্জ্য উৎপাদন বাড়ে তাহলে বাংলাদেশ তো বাসযোগ্য হবে না।’
সাবের হোসেন আরও বলেন, ‘দেশে আইনের কমতি নেই। কিন্তু আইন আমরা যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারি না। এখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নীতিমালা বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ‘দেশে সম্প্রতি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ পাস হয়েছে। বিধিমালায় যুগান্তকারী বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সামগ্রিকভাবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকার কী কর্মকৌশল বা কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে, তার কোন সুস্পষ্ট পথরেখার ধারণা পাওয়া যায় না। ২০১৪ সালের বর্জ্য ডেটাবেইসে করা অনুমান অনুসারে, ২০২৫ সালে মোট বর্জ্য ৪৭ হাজার টন উৎপন্ন হবে। যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে কঠিন বর্জ্য উৎপাদন ২০৩০ সালে ৫৭ হাজার টন এবং ২০৪০ সালে ৭৭ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে।’
ডিএসকে নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেয় ইউএসএআইডির প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ম্যাক্রি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, সিপিআইর চিফ অব পার্টি মাইনউদ্দিন আহমেদ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিখা চক্রবর্তী ও আমেনা বেগম, গবেষক আমিনুর রসুল, কাপ নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত প্রমুখ।
দেশে উন্নয়ন বাড়ছে, বাড়ছে শিল্পায়ন। ফলে বাড়ছে বর্জ্যও। এই বর্জ্য থেকে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় তা নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ‘টেকসই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: অংশীজনের সম্পৃক্ততা, শিখন ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী। ইউএসএআইডি ও কাউন্টার পার্ট ইন্টারন্যাশনালের (সিপিআই) সহযোগিতায় দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে), বারসিক, ইনসাইটস ও কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর (কাপ) এই সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নয়নের সঙ্গে শিল্পায়ন বাড়ছে। এ থেকে বর্জ্যও বাড়ছে। এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এই বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শহরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্জ্য সংগ্রহ শুরু করা হবে। বর্জ্য থেকে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।’
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বস্তিবাসী শব্দ ব্যবহার করা লজ্জার বিষয়। বাংলাদেশের মতো একটা দেশ, এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে বস্তিবাসী কেন থাকবে। এটা কি ধরনের উন্নয়ন। আমরা বস্তিমুক্ত একটা বাংলাদেশ চাই। এখানে কেউ বস্তিতে থাকবে না। সংবিধানে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের কথা বলা আছে। সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা নিশ্চিত করলেই বর্জ্য দুষণ থেকে বস্তিবাসীরা মুক্তি পাবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে চাই। তখন জিডিপি বাড়বে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে, একই হারে যদি বর্জ্য উৎপাদন বাড়ে তাহলে বাংলাদেশ তো বাসযোগ্য হবে না।’
সাবের হোসেন আরও বলেন, ‘দেশে আইনের কমতি নেই। কিন্তু আইন আমরা যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারি না। এখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নীতিমালা বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ‘দেশে সম্প্রতি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ পাস হয়েছে। বিধিমালায় যুগান্তকারী বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সামগ্রিকভাবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকার কী কর্মকৌশল বা কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে, তার কোন সুস্পষ্ট পথরেখার ধারণা পাওয়া যায় না। ২০১৪ সালের বর্জ্য ডেটাবেইসে করা অনুমান অনুসারে, ২০২৫ সালে মোট বর্জ্য ৪৭ হাজার টন উৎপন্ন হবে। যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে কঠিন বর্জ্য উৎপাদন ২০৩০ সালে ৫৭ হাজার টন এবং ২০৪০ সালে ৭৭ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে।’
ডিএসকে নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেয় ইউএসএআইডির প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ম্যাক্রি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, সিপিআইর চিফ অব পার্টি মাইনউদ্দিন আহমেদ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিখা চক্রবর্তী ও আমেনা বেগম, গবেষক আমিনুর রসুল, কাপ নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত প্রমুখ।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৬ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৮ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৯ ঘণ্টা আগে