সুলতান মাহমুদ, ঢাকা
দেশে হঠাৎ রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ায় গ্রেপ্তারও বাড়ছে। সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ অনেক সময় গ্রেপ্তার করে। ফলে যদি হঠাৎ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তাহলে কী করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকারই কথা। ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ বা পরোয়ানা ছাড়া পুলিশ আমল-অযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারে না। কিন্তু আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার ক্ষমতাবলে ৯টি কারণে পুলিশ যে কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারে।
পরোয়ানা ছাড়া যেসব কারণে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে
এক. কোনো ব্যক্তি কোনো আমলযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে বা জড়িত বলে সন্দেহ (বিশ্বাস) করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।
দুই. আইনগত কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া কারও কাছে ঘর ভাঙার সরঞ্জাম থাকলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে।
তিন. আইন অনুসারে বা সরকারের আদেশ দ্বারা কাউকে অপরাধী বলে ঘোষণা করা হলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।
চার. চোরাই বলে সন্দেহ করার যুক্তিসংগত কারণ আছে এরূপ কোনো মালপত্র হেফাজতে থাকলে।
পাঁচ. পুলিশের কাজে বাধা দিলে বা পুলিশ হেফাজত থেকে কেউ পালিয়ে গেলে বা পালানোর চেষ্টা করলে।
ছয়. বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী থেকে পালিয়েছেন মর্মে যুক্তিসংগত সন্দেহ থাকলে।
সাত. যে কাজ বাংলাদেশে করা হলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচনা করা হয়, একই কাজ বাংলাদেশের বাইরে করে থাকলে বা করেছেন এই মর্মে নির্ভরযোগ্য যুক্তিসংগত সন্দেহ থাকলে।
আট. দণ্ডিত ব্যক্তি মুক্তি পাওয়ার পর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬৫ (৩) উপধারার নিয়ম লঙ্ঘন করলে।
নয়. কাউকে গ্রেপ্তারের জন্য অন্য কোনো পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুরোধ (রিকুইজিশন) পাওয়া গেলে।
গ্রেপ্তার হলে যা করবেন
হঠাৎ গ্রেপ্তার করলে পুলিশের কাছে নিজের নাম, ঠিকানা ও পেশাসহ (যদি থাকে) পরিচয় তুলে ধরবেন। পেশাজীবী বা ছাত্র হলে পরিচয়পত্র দেখাবেন। পরিবারের সদস্য, স্বজন বা পরিচিত জনকে জানাবেন। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পরিচিত আইনজীবীর ফোন নম্বর সঙ্গে রাখতে পারেন। গ্রেপ্তারের পর দ্রুত আইনজীবীকে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করতে হবে। অন্তত পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুকে বিষয়টি দ্রুত জানাতে হবে।
ঢাকায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নেওয়া হয়। আর যেকোনো থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে সংশ্লিষ্ট থানায় নেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারের পর কাউকে লকআপে রাখার আগে তাঁর পরিধানের পোশাক ছাড়া অন্য জিনিসপত্র যেমন—কাগজপত্র, মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ইত্যাদি থাকলে তাঁর কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে আটককৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর নেন। এই স্বাক্ষর দেওয়ার সময় তালিকাটি অবশ্যই পড়ে নেওয়া উচিত। কারামুক্ত হওয়ার পর থানা থেকে ওই মালামাল তিনি আবার ফেরত পাবেন।
আপনি যদি পুলিশ কর্মকর্তার কাছে কোনো জবানবন্দি বা স্বীকারোক্তি দেন তাহলে সেটির লিখিত রূপ ভালোভাবে পড়ে স্বাক্ষর করবেন। গ্রেপ্তারের পর আইনজীবী বা পরিবারের কাউকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানাতে না পারলে আদালতে হাজির করার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে সরাসরি বিষয়টি জানানো উচিত। এতে আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
গ্রেপ্তারের পর কোনো পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার হলে বা অসুস্থ হলে আদালতের মাধ্যমে বা নিজ উদ্যোগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারবেন। পরীক্ষা করালে সেই প্রতিবেদনটি সংগ্রহে রাখবেন। পরীক্ষক চিকিৎসকের পরিচয় জেনে রাখা উচিত। কারণ তা পরে প্রয়োজন হতে পারে। পুরোনো কোনো মামলায় গ্রেপ্তার হলে দ্রুত ওই মামলার নম্বরসহ কাগজপত্র নিয়ে আদালতে গিয়ে জামিন শুনানির চেষ্টা করা যেতে পারে। নতুন কোনো মামলায় বা ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার হলে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে জামিন শুনানির চেষ্টা করতে পারেন।
যদি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে নেওয়া হয় তাহলে কারাগার থেকে মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
হঠাৎ গ্রেপ্তার হলে করণীয় প্রসঙ্গে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেসের (ব্লাস্ট) ঢাকা ইউনিটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যদি কেউ হঠাৎ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তাহলে প্রথমেই তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত জনকে জানাতে হবে। পুলিশের উচিত এই সুযোগটি করে দেওয়া। আর গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির সঙ্গে যেসব মালামাল থাকবে তা পুলিশ একটি তালিকা করবে। পরে সেই তালিকা গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে পড়ে শোনাতে হবে এবং গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি তাতে স্বাক্ষর করবেন। মালামালগুলো থানা হেফাজতে থাকবে এবং হেফাজত মুক্ত হওয়ার পরে সেগুলো ফেরত পাবেন।’
আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার বেশি থানা হেফাজতে রাখা যাবে না উল্লেখ করে মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন যদি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি পরিবারকে জানাতে না পারেন, তাহলে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিষয়টি জানাবেন।’
‘গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি গ্রেপ্তারের বিষয়টি পরিবারকে জানাতে না পারলে কারাগারে অবস্থান করার সময় পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সপ্তাহে একদিন যোগাযোগ করতে পারবেন। তখন তিনি বিষয়টি পরিবারের লোকজন বা স্বজনদের কাছে জানাবেন। এরপর তিনি অপরাধের ধরনের ওপর ভিত্তি করে আদালতের মাধ্যমে জামিন পেতে পারেন।’
যদি পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে এবং আদালত যদি তাঁকে জামিন দেন তাহলে তাঁর মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী আবদুল কাদের জিলানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যদি পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে এবং আদালত যদি তাঁকে জামিন দেন তাহলে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে আর কারাগারে নেওয়া হবে না। তাতে আদালতের হাজতখানা থেকেই ছেড়ে দেওয়া হয়।’
দেশে হঠাৎ রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ায় গ্রেপ্তারও বাড়ছে। সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ অনেক সময় গ্রেপ্তার করে। ফলে যদি হঠাৎ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তাহলে কী করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকারই কথা। ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ বা পরোয়ানা ছাড়া পুলিশ আমল-অযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারে না। কিন্তু আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার ক্ষমতাবলে ৯টি কারণে পুলিশ যে কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারে।
পরোয়ানা ছাড়া যেসব কারণে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে
এক. কোনো ব্যক্তি কোনো আমলযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে বা জড়িত বলে সন্দেহ (বিশ্বাস) করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।
দুই. আইনগত কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া কারও কাছে ঘর ভাঙার সরঞ্জাম থাকলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে।
তিন. আইন অনুসারে বা সরকারের আদেশ দ্বারা কাউকে অপরাধী বলে ঘোষণা করা হলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।
চার. চোরাই বলে সন্দেহ করার যুক্তিসংগত কারণ আছে এরূপ কোনো মালপত্র হেফাজতে থাকলে।
পাঁচ. পুলিশের কাজে বাধা দিলে বা পুলিশ হেফাজত থেকে কেউ পালিয়ে গেলে বা পালানোর চেষ্টা করলে।
ছয়. বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী থেকে পালিয়েছেন মর্মে যুক্তিসংগত সন্দেহ থাকলে।
সাত. যে কাজ বাংলাদেশে করা হলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচনা করা হয়, একই কাজ বাংলাদেশের বাইরে করে থাকলে বা করেছেন এই মর্মে নির্ভরযোগ্য যুক্তিসংগত সন্দেহ থাকলে।
আট. দণ্ডিত ব্যক্তি মুক্তি পাওয়ার পর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬৫ (৩) উপধারার নিয়ম লঙ্ঘন করলে।
নয়. কাউকে গ্রেপ্তারের জন্য অন্য কোনো পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুরোধ (রিকুইজিশন) পাওয়া গেলে।
গ্রেপ্তার হলে যা করবেন
হঠাৎ গ্রেপ্তার করলে পুলিশের কাছে নিজের নাম, ঠিকানা ও পেশাসহ (যদি থাকে) পরিচয় তুলে ধরবেন। পেশাজীবী বা ছাত্র হলে পরিচয়পত্র দেখাবেন। পরিবারের সদস্য, স্বজন বা পরিচিত জনকে জানাবেন। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পরিচিত আইনজীবীর ফোন নম্বর সঙ্গে রাখতে পারেন। গ্রেপ্তারের পর দ্রুত আইনজীবীকে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করতে হবে। অন্তত পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুকে বিষয়টি দ্রুত জানাতে হবে।
ঢাকায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নেওয়া হয়। আর যেকোনো থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে সংশ্লিষ্ট থানায় নেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারের পর কাউকে লকআপে রাখার আগে তাঁর পরিধানের পোশাক ছাড়া অন্য জিনিসপত্র যেমন—কাগজপত্র, মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ইত্যাদি থাকলে তাঁর কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে আটককৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর নেন। এই স্বাক্ষর দেওয়ার সময় তালিকাটি অবশ্যই পড়ে নেওয়া উচিত। কারামুক্ত হওয়ার পর থানা থেকে ওই মালামাল তিনি আবার ফেরত পাবেন।
আপনি যদি পুলিশ কর্মকর্তার কাছে কোনো জবানবন্দি বা স্বীকারোক্তি দেন তাহলে সেটির লিখিত রূপ ভালোভাবে পড়ে স্বাক্ষর করবেন। গ্রেপ্তারের পর আইনজীবী বা পরিবারের কাউকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানাতে না পারলে আদালতে হাজির করার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে সরাসরি বিষয়টি জানানো উচিত। এতে আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
গ্রেপ্তারের পর কোনো পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার হলে বা অসুস্থ হলে আদালতের মাধ্যমে বা নিজ উদ্যোগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারবেন। পরীক্ষা করালে সেই প্রতিবেদনটি সংগ্রহে রাখবেন। পরীক্ষক চিকিৎসকের পরিচয় জেনে রাখা উচিত। কারণ তা পরে প্রয়োজন হতে পারে। পুরোনো কোনো মামলায় গ্রেপ্তার হলে দ্রুত ওই মামলার নম্বরসহ কাগজপত্র নিয়ে আদালতে গিয়ে জামিন শুনানির চেষ্টা করা যেতে পারে। নতুন কোনো মামলায় বা ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার হলে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে জামিন শুনানির চেষ্টা করতে পারেন।
যদি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে নেওয়া হয় তাহলে কারাগার থেকে মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
হঠাৎ গ্রেপ্তার হলে করণীয় প্রসঙ্গে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেসের (ব্লাস্ট) ঢাকা ইউনিটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যদি কেউ হঠাৎ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তাহলে প্রথমেই তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত জনকে জানাতে হবে। পুলিশের উচিত এই সুযোগটি করে দেওয়া। আর গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির সঙ্গে যেসব মালামাল থাকবে তা পুলিশ একটি তালিকা করবে। পরে সেই তালিকা গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে পড়ে শোনাতে হবে এবং গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি তাতে স্বাক্ষর করবেন। মালামালগুলো থানা হেফাজতে থাকবে এবং হেফাজত মুক্ত হওয়ার পরে সেগুলো ফেরত পাবেন।’
আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার বেশি থানা হেফাজতে রাখা যাবে না উল্লেখ করে মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন যদি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি পরিবারকে জানাতে না পারেন, তাহলে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিষয়টি জানাবেন।’
‘গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি গ্রেপ্তারের বিষয়টি পরিবারকে জানাতে না পারলে কারাগারে অবস্থান করার সময় পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সপ্তাহে একদিন যোগাযোগ করতে পারবেন। তখন তিনি বিষয়টি পরিবারের লোকজন বা স্বজনদের কাছে জানাবেন। এরপর তিনি অপরাধের ধরনের ওপর ভিত্তি করে আদালতের মাধ্যমে জামিন পেতে পারেন।’
যদি পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে এবং আদালত যদি তাঁকে জামিন দেন তাহলে তাঁর মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী আবদুল কাদের জিলানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যদি পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে এবং আদালত যদি তাঁকে জামিন দেন তাহলে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে আর কারাগারে নেওয়া হবে না। তাতে আদালতের হাজতখানা থেকেই ছেড়ে দেওয়া হয়।’
নবীন উদ্যোক্তাদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প শুনতে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে ১৫ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন, যাঁরা সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস. এম. কামরুল হাসান ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ আলী রাওয়ালপিন্ডিতে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পদ–পদবি ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি কৈশোর বয়সী।
১৩ ঘণ্টা আগে