ইউনানি-আয়ুর্বেদিক আইন: অনুমোদনহীন ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দিলে জেল-জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ১৭
Thumbnail image

ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আইনে মেডিকেল কাউন্সিলের মতো একটি কাউন্সিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি অনুমোদনহীন ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দিলে জেল-জরিমানার কথাও বলা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ রোববার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। 

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সামরিক শাসনামলে প্রণীত অধ্যাদেশগুলোকে নতুন করে আইনে পরিণত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলে ১৯৮৩ সালে প্রণীত অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা হচ্ছে।’ 

আইনে ঢাকায় একটি আয়ুর্বেদিক বোর্ড থাকার কথা বলা হয়েছে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এই বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে যেকোনো স্থানে শাখা করা যাবে। একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে, চেয়ারম্যান, সভাপতি এবং একজন রেজিস্ট্রার থাকবেন।’ 

‘মেডিকেল কাউন্সিলের মতো একটি কাউন্সিল থাকবে। তারা একাডেমিক বিষয়গুলো দেখবে। তিন বছরের জন্য কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচন করা হবে। কোনো কারণে কাউন্সিল গঠন না হলে সরকার সভাপতি নির্বাচন করে দেবে। কাউন্সিলে ১৬ শ্রেণির সদস্য থাকবেন। কাউন্সিল ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রির রেজিস্ট্রেশন, গবেষণা বা বিশেষ শিক্ষা প্রবর্তন করাসহ অন্যান্য গবেষণা নিয়ে কাজ করবে।’ 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি মিথ্যা উপাধি ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা ১ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। অনুমোদনহীন ওষুধের প্রেসক্রিপশন দিলে এক বছরের কারাদণ্ড বা ১ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হবে। এ ছাড়া কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ডিগ্রির অনুকরণ করলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’ 

ইউনানি চিকিৎসকেরা নামের আগে ‘ডাক্তার’ ব্যবহার করতে পারবেন কি না—এই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটা কাউন্সিল নির্ধারণ করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত