কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান গ্রেপ্তার হয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জাইনুদ্দিন এ তথ্য মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। খবর দ্য স্টার।
বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনারের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে হামজা জাইনুদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অবগত। তাঁকে আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আইন ভঙ্গ করেছেন এবং তাঁকে তাঁর দেশের অনুরোধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান এক দশকের বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক এ মেজর ১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ১৯৭৫ পরবর্তী তাঁকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। ১৯৭৬ সালে তাঁকে মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠানো হয়। সেখানে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে বন্দী অবস্থায় কারাগারেই হত্যা করা হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং ২০০১ সাল পর্যন্ত এম খায়রুজ্জামান জেলে ছিলেন। এ সময়ে তাঁকে অবসরে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের আগে তিনি ফিলিপাইনে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার গঠনের পর এম খায়রুজ্জামানকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। ২০০৩ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালক হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ২০০৪ সালে জেলহত্যা মামলায় তিনি খালাস পান। এরপর এম খায়রুজ্জামানকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ২০০৫-এর সেপ্টেম্বর থেকে আগস্ট ২০০৬ পর্যন্ত মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আর ২০০৭ সালের আগস্টে মালয়েশিয়ায় প্রথম শ্রেণির হাইকমিশনার হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এম খায়রুজ্জামানকে হাইকমিশনার পদ থেকে সরিয়ে বাংলাদেশে ডেকে পাঠানো হয়।
এরপর থেকে তিনি জীবনের ঝুঁকি দেখিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে শরণার্থী হিসেবে মালয়েশিয়াতে বসবাস করে আসছিলেন।
এম খায়রুজ্জামানের গ্রেপ্তারের পর তাঁর আইনজীবী এরই মধ্যে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষকে একটি আইনি নোটিশ দিয়েছেন। সেখানে এম খায়রুজ্জামানকে যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া আটকে রাখা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনি নোটিশের জবাব না দেওয়া হলে বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ৯ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের দূতাবাসে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। ২০০৯ সালে তিনি যখন হাইকমিশনার হিসেবে মালয়েশিয়াতে দায়িত্বরত ছিলেন, তখন সরকার তাঁকে দেশে ফিরতে বলার পর থেকে তিনি পলাতক।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার অভিবাসন নীতি অনুযায়ী তাঁকে ডিপোর্টেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। আমাদের দূতাবাস মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছে।’
জেলহত্যা মামলায় খালাস পাওয়া নিয়ে এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘তদন্তে দুর্বলতার কারণে ছাড়া পেয়েছিলেন। এটি আদালতের এখতিয়ার। তাঁকে আবারও সশরীরে জিজ্ঞাসাবাদ করার এবং মামলাটিকে আবারও খতিয়ে দেখার সুযোগ রয়েছে, এটি আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। আমরা যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশে ফেরত নিয়ে আসব।’
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিতে অভিবাসন সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করার কারণে এম খায়ুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। তবে তাঁর শরণার্থী কার্ড রয়েছে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। মালয়েশিয়ায় অভিবাসন আইন ভঙ্গ করায় বাংলাদেশি নাগরিককে সরকার ফিরিয়ে আনছে। এখানে জেলহত্যা মামলার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তবে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড থাকায় তাঁকে ফেরত আনা কঠিন হবে কি না? এর উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।’
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান গ্রেপ্তার হয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জাইনুদ্দিন এ তথ্য মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। খবর দ্য স্টার।
বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনারের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে হামজা জাইনুদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অবগত। তাঁকে আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আইন ভঙ্গ করেছেন এবং তাঁকে তাঁর দেশের অনুরোধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান এক দশকের বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক এ মেজর ১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ১৯৭৫ পরবর্তী তাঁকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। ১৯৭৬ সালে তাঁকে মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠানো হয়। সেখানে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে বন্দী অবস্থায় কারাগারেই হত্যা করা হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং ২০০১ সাল পর্যন্ত এম খায়রুজ্জামান জেলে ছিলেন। এ সময়ে তাঁকে অবসরে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের আগে তিনি ফিলিপাইনে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার গঠনের পর এম খায়রুজ্জামানকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। ২০০৩ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালক হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ২০০৪ সালে জেলহত্যা মামলায় তিনি খালাস পান। এরপর এম খায়রুজ্জামানকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ২০০৫-এর সেপ্টেম্বর থেকে আগস্ট ২০০৬ পর্যন্ত মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আর ২০০৭ সালের আগস্টে মালয়েশিয়ায় প্রথম শ্রেণির হাইকমিশনার হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এম খায়রুজ্জামানকে হাইকমিশনার পদ থেকে সরিয়ে বাংলাদেশে ডেকে পাঠানো হয়।
এরপর থেকে তিনি জীবনের ঝুঁকি দেখিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে শরণার্থী হিসেবে মালয়েশিয়াতে বসবাস করে আসছিলেন।
এম খায়রুজ্জামানের গ্রেপ্তারের পর তাঁর আইনজীবী এরই মধ্যে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষকে একটি আইনি নোটিশ দিয়েছেন। সেখানে এম খায়রুজ্জামানকে যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া আটকে রাখা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনি নোটিশের জবাব না দেওয়া হলে বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ৯ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের দূতাবাসে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। ২০০৯ সালে তিনি যখন হাইকমিশনার হিসেবে মালয়েশিয়াতে দায়িত্বরত ছিলেন, তখন সরকার তাঁকে দেশে ফিরতে বলার পর থেকে তিনি পলাতক।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার অভিবাসন নীতি অনুযায়ী তাঁকে ডিপোর্টেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। আমাদের দূতাবাস মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছে।’
জেলহত্যা মামলায় খালাস পাওয়া নিয়ে এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘তদন্তে দুর্বলতার কারণে ছাড়া পেয়েছিলেন। এটি আদালতের এখতিয়ার। তাঁকে আবারও সশরীরে জিজ্ঞাসাবাদ করার এবং মামলাটিকে আবারও খতিয়ে দেখার সুযোগ রয়েছে, এটি আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। আমরা যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশে ফেরত নিয়ে আসব।’
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিতে অভিবাসন সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করার কারণে এম খায়ুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। তবে তাঁর শরণার্থী কার্ড রয়েছে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। মালয়েশিয়ায় অভিবাসন আইন ভঙ্গ করায় বাংলাদেশি নাগরিককে সরকার ফিরিয়ে আনছে। এখানে জেলহত্যা মামলার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তবে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড থাকায় তাঁকে ফেরত আনা কঠিন হবে কি না? এর উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব মামলা চলছিল, তা সংশোধিত আইনেও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আজ সোমবার প্রসিকিউশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর সংশোধনী তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনের আ
১১ ঘণ্টা আগেজুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ আরও ৪৫ জনকে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
১১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেওয়া হয়
১৪ ঘণ্টা আগেসংস্কারের অংশ হিসেবে গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রায়ণের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।
১৫ ঘণ্টা আগে