কূটনৈতিক প্রতিবেদক
ঢাকা: বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা ২০২৪ সালের পর আর রাখতে চায় না ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে ব্রাসেলসের কাছ থেকে জিএসপি প্লাস পাওয়ার চেষ্টা করছে ঢাকা। আর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উন্নয়ন অংশীদারত্বের থেকে কৌশলগত পর্যায়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, আগামী জুলাই মাসের ১৯ তারিখে বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যকার পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ‘ডিপ্লোমেটিক কনসালটেশন’ বা কূটনৈতিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব এবং ইইউর পক্ষে সংস্থাটির এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বৈঠকে নিজ প্রতিনিধি দলের সভাপতিত্ব করবেন। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৌশলগত সম্পর্ক উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের পর জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার চেষ্টায় দেনদরবার করবে ঢাকা।
ইইউর পক্ষ থেকে বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকা এক হাজারের ওপর অবৈধ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশ), মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা, শ্রম ইস্যুটি সামনে নিয়ে আসা হবে।
বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে নাম না প্রকাশ করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মহাপরিচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইইউ দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে তাদের উন্নয়ন সহযোগিতা একেবারেই কমে এসেছে। ফলে বাংলাদেশ এ সম্পর্ককে কৌশলগত সম্পর্কে উন্নীত করতে চায়। আসন্ন বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব দেওয়া হবে।
জিএসপি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনাসহ শ্রম ইস্যুকে সামনে এনে সংস্থাটি জিএসপি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছে। তবে স্বল্প উন্নত রাষ্ট্র (এলডিসি) হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী এখনো বাংলাদেশ এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। তবে প্রশ্ন আসছে যে ২০২৪ সালের পর বাংলাদেশ যখন এলডিসি শ্রেণি থেকে বের হয়ে যাবে, তখন এ নিয়ে সমস্যায় পরতে হবে। তাই শুরুতে ঢাকা জিএসপি সুবিধা বলবৎ রাখার অনুরোধ করলেও এখন জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ার জন্য ব্রাসেলসের সঙ্গে দেন দরবার করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, তাজরিন ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের দৃশ্যমান সংস্কার ও উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো কিছু বিষয়ে পশ্চিমাদের নারাজি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যমত ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে। কাগজে কলমে এ সুবিধা দেওয়া থাকলেও মূলত ট্রেড ইউনিয়ন বাংলাদেশে কার্যকর নয়। এ নিয়ে বর্তমানে দেন দরবার চালাচ্ছে ইইউ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ইউরোপে অবৈধ বাংলাদেশি ইস্যু, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র, শ্রম ইস্যুতে আগে থেকেই সোচ্চার ইইউ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতেও উচ্ছ্বাস রয়েছে তাদের। ফলে বাংলাদেশকে আর উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে দেখতে রাজি নয় ইইউ’র দেশগুলো। আর বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে ইউরোপ। ফলে বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে বাংলাদেশের একটি পরিষ্কার অবস্থান চায় ব্রাসেলস। বৈঠকে ইইউ আইপিএস নিয়ে তাদের অবস্থান জানাবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পরিষ্কার অবস্থান জানতে চাইবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার পূর্বের অবস্থান পরিষ্কার করবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি অনুযায়ী আইপিএস এ সামরিক অংশ বাদ দিয়ে উন্নয়ন মূলক সকল কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকবে বাংলাদেশ।
এ ছাড়া শ্রম আইনের সংস্কার, জবাবদিহি, নিরাপত্তা, জঙ্গিবাদ, কানেকটিভিটি, ডিজিটাল অর্থনীতি, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা হবে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে।
ঢাকা: বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা ২০২৪ সালের পর আর রাখতে চায় না ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে ব্রাসেলসের কাছ থেকে জিএসপি প্লাস পাওয়ার চেষ্টা করছে ঢাকা। আর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উন্নয়ন অংশীদারত্বের থেকে কৌশলগত পর্যায়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, আগামী জুলাই মাসের ১৯ তারিখে বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যকার পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ‘ডিপ্লোমেটিক কনসালটেশন’ বা কূটনৈতিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব এবং ইইউর পক্ষে সংস্থাটির এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বৈঠকে নিজ প্রতিনিধি দলের সভাপতিত্ব করবেন। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৌশলগত সম্পর্ক উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের পর জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার চেষ্টায় দেনদরবার করবে ঢাকা।
ইইউর পক্ষ থেকে বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকা এক হাজারের ওপর অবৈধ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশ), মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা, শ্রম ইস্যুটি সামনে নিয়ে আসা হবে।
বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে নাম না প্রকাশ করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মহাপরিচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইইউ দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে তাদের উন্নয়ন সহযোগিতা একেবারেই কমে এসেছে। ফলে বাংলাদেশ এ সম্পর্ককে কৌশলগত সম্পর্কে উন্নীত করতে চায়। আসন্ন বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব দেওয়া হবে।
জিএসপি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনাসহ শ্রম ইস্যুকে সামনে এনে সংস্থাটি জিএসপি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছে। তবে স্বল্প উন্নত রাষ্ট্র (এলডিসি) হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী এখনো বাংলাদেশ এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। তবে প্রশ্ন আসছে যে ২০২৪ সালের পর বাংলাদেশ যখন এলডিসি শ্রেণি থেকে বের হয়ে যাবে, তখন এ নিয়ে সমস্যায় পরতে হবে। তাই শুরুতে ঢাকা জিএসপি সুবিধা বলবৎ রাখার অনুরোধ করলেও এখন জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ার জন্য ব্রাসেলসের সঙ্গে দেন দরবার করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, তাজরিন ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের দৃশ্যমান সংস্কার ও উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো কিছু বিষয়ে পশ্চিমাদের নারাজি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যমত ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে। কাগজে কলমে এ সুবিধা দেওয়া থাকলেও মূলত ট্রেড ইউনিয়ন বাংলাদেশে কার্যকর নয়। এ নিয়ে বর্তমানে দেন দরবার চালাচ্ছে ইইউ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ইউরোপে অবৈধ বাংলাদেশি ইস্যু, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র, শ্রম ইস্যুতে আগে থেকেই সোচ্চার ইইউ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতেও উচ্ছ্বাস রয়েছে তাদের। ফলে বাংলাদেশকে আর উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে দেখতে রাজি নয় ইইউ’র দেশগুলো। আর বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে ইউরোপ। ফলে বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে বাংলাদেশের একটি পরিষ্কার অবস্থান চায় ব্রাসেলস। বৈঠকে ইইউ আইপিএস নিয়ে তাদের অবস্থান জানাবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পরিষ্কার অবস্থান জানতে চাইবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার পূর্বের অবস্থান পরিষ্কার করবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি অনুযায়ী আইপিএস এ সামরিক অংশ বাদ দিয়ে উন্নয়ন মূলক সকল কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকবে বাংলাদেশ।
এ ছাড়া শ্রম আইনের সংস্কার, জবাবদিহি, নিরাপত্তা, জঙ্গিবাদ, কানেকটিভিটি, ডিজিটাল অর্থনীতি, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা হবে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশে যেকোনো সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এমন বাস্তবতায় দেশটির ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়েছে ছয় মাস আগে। তবে ওয়াশিংটনে পালাবদলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান...
১৮ মিনিট আগেনবীন উদ্যোক্তাদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প শুনতে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে ১৫ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন, যাঁরা সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছেন।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস. এম. কামরুল হাসান ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ আলী রাওয়ালপিন্ডিতে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পদ–পদবি ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে