ঢাকায় অধিকাংশ মানুষের শরীরে কোভিড অ্যান্টিবডি, চট্টগ্রামে অর্ধেকের বেশি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২১, ১৪: ১৯
আপডেট : ২২ জুন ২০২১, ১৪: ২১

ঢাকা: রাজধানীর অধিকাংশ মানুষের শরীরের করোনাভাইরাসের অ্যান্টবডি পাওয়া গেছে। যেখানে বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রামে অর্ধেকের বেশি মানুষের শরীরে এই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। 

যেখানে গতকাল সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৪। আর এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১৩ হাজার ৬২৬ জন মানুষ। এ ছাড়া মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮২ জন। 

আজ মঙ্গলবার আইসিডিডিআরবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকায় ৭১ শতাংশ ও চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বস্তি এবং বস্তিসংলগ্ন এলাকায় ৩ হাজার ২২০ জনের মধ্যে পাঁচ মাস ধরে পরিচালিত গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। 

২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ সমীক্ষা চালানো হয়। গবেষণায় গৃহস্থালি পর্যায়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ, রক্তচাপ ও শরীরের পুষ্টি পরিমাপ এবং রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। 

গবেষণা থেকে পাওয়া যায়, বয়স্ক ও তরুণদের মধ্যে অ্যান্টিবডির হার প্রায় সমান। নারীদের মধ্যে অ্যান্টিবডির হার ৭০ দশমিক ৬ শতাংশ, যা পুরুষদের (৬৬ %) তুলনায় বেশি। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া যাঁদের মধ্যে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে, তাঁদের মধ্যে শুধু ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশের ক্ষেত্রে কোভিডের মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। 

এ ছাড়া স্বল্পশিক্ষিত, অধিক ওজন, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস আছে, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে অধিক মাত্রায় সেরোপ্রিভ্যালেন্স (রক্তে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির পরিমান) দেখা গেছে। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অর্থাৎ বারবার হাত ধোয়ার প্রবণতা, নাক-মুখ কম স্পর্শ করা, বিসিজি টিকা গ্রহণ এবং মাঝারি ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করা ব্যক্তিদের মধ্যে কম মাত্রার সেরোপ্রিভ্যালেন্স দেখা গেছে। সেরোনেগেটিভ ব্যক্তিদের তুলনায় সেরোপজিটিভ ব্যক্তিদের মধ্যে সেরাম জিংকের মাত্রা বেশি দেখা গেছে। এটাই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে রোগের মৃদু লক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ধারণা করছেন গবেষকেরা। 

তবে গবেষণায় ভিটামিন ডি–এর অপর্যাপ্ততার সঙ্গে সেরোপজিটিভিটির কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ভিটামিন ডি–এর উচ্চমাত্রার ঘাটতি দেখা গেছে। 

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডির উপস্থিতির হার বস্তির বাইরে সংলগ্ন এলাকার নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের তুলনায় বস্তিবাসীর মধ্যে বেশি। 

এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন আইসিডিডিআরবির ডা. রুবহানা রাকিব ও ড. আবদুর রাজ্জাক। আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ এ গবেষণায় অ্যাডভোকেসি পার্টনার ছিল। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত