নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে সাবেক সিইসিদের সঙ্গে বসবে সরকার

মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা 
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ৪৪
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক করবে সংস্কার কমিশন। তবে সবার সঙ্গে একত্রে নয়, প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদাভাবে বসবে কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার দুপুর ১২টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাবেক সিইসি আবু হেনার সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সবার বয়স হয়েছে। আমরা তাঁদের মতামত নেওয়ার চেষ্টা করছি।’

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সাবেক সিইসিদের মধ্যে যাঁরা পরিচ্ছন্ন, শুধু তাঁদের মতামত নেবে সংস্কার কমিশন। বিতর্কিত নির্বাচন করা কোনো সিইসি এতে ডাক পাবেন না। আবু হেনার পর

ডাক পেতে পারেন বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ ও ড. এ টি এম শামসুল হুদা। তবে সর্বশেষ দায়িত্ব পালন করা তিন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ডাকা হবে না।

গত ৩ অক্টোবর বদিউল আলম মজুমদারকে প্রধান করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ শিক্ষাবিদ ড. তোফায়েল আহমেদ; ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী; নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মো. আব্দুল আলীম; রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও ওপিনিয়ন মেকার ডা. জাহেদ উর রহমান; শাসনপ্রক্রিয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন; ইলেকট্রনিক ভোটিং ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস; ছাত্র প্রতিনিধি সাদিক আল আরমান।

গত ৯ অক্টোবর নির্বাচন ভবনে প্রথম বৈঠক করে সংস্কার কমিশন। সেদিন বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব আইন-বিধিমালা পর্যালোচনা করছি। বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারে সব অংশীজনের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।’

গত ২২ অক্টোবর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্কার কমিশন ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সবাইকে পরামর্শ, মতামত ও প্রস্তাব পাঠানোর অনুরোধ জানায়।

৩১ অক্টোবর পোস্টাল ব্যালট নিয়ে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কারা কর্তৃপক্ষ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডাক বিভাগের প্রতিনিধি ও ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সংস্কার কমিশন। সেদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের চিন্তা তাঁদের নেই।

জানা যায়, ইতিমধ্যে সংস্কার কমিশন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগ আইনের খসড়া তৈরি করেছে। যাতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিসহ সার্চ কমিটির বিষয় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ইসির অধীনে রাখতে সংবিধানে বিষয়টি যুক্ত করার বিষয়ে মতামত দিতে চায় সংস্কার কমিশন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত