অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিএনপি, মিয়া আরেফীসহ নানা প্রসঙ্গ। বিষয়গুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ দলের পক্ষে নয়, বরং বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে সমাজের সকল স্তরের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বেদান্ত প্যাটেলকে প্রশ্ন করা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কর্মীরা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের অজুহাতে চলমান ভাঙচুর ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে বাংলাদেশে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ ব্যাহত করেছে। আপনি কি জাতীয়তাবাদী দলকে সহিংসতা বন্ধ করে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বলবেন?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং করতে থাকব এবং আমরা যেকোনো সহিংস ঘটনাকে মারাত্মক গুরুত্ব দিয়ে আমলে নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকার, বিরোধী দলগুলো, নাগরিক সমাজ ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশি জনগণের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি এবং জানিয়ে যাব।’
অপর একটি প্রশ্নে মার্কিন নাগরিক মিয়া আরেফীকে ইঙ্গিত করে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সত্যিই কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছেন। গত সপ্তাহে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতারা একজন মার্কিন নাগরিককে তাঁদের প্রধান কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে এটি জানাতে যে, তিনি (মিয়া আরেফী) প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপদেষ্টা এবং বাইডেনের সঙ্গে প্রতিদিন তাঁর ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয়। তারপর দলটির আরেক নেতা পিটার হাসকে অবতার হিসেবে উল্লেখ করেন এবং জাতীয়তাবাদী দলের উদ্ধারকারী হিসেবে আখ্যা দেন। আপনি কি স্পষ্টভাবে জাতীয়তাবাদী দলের এই দাবি অস্বীকার করবেন?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি সে বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন দেখিনি এবং সত্যি বলতে আপনি কী বিষয়ে কথা বলছেন তা নিয়ে আমার সত্যিই কোনো ধারণা নেই।’
এ সময় বেদান্তের কথার মাঝে প্রশ্নকারী আবার কথা বলে উঠলে বেদান্ত বলেন, ‘দয়া করে আমাকে বাধা দেবেন না। ঢাকায় আমাদের দূতাবাসে আমাদের দারুণ একটি প্রতিভাবান টিম রয়েছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন অভিজ্ঞ রাষ্ট্রদূত। যিনি কেবল বাংলাদেশেই নয়, এর চেয়েও বড় অঞ্চলেও কাজ করতে সক্ষম।’
অপর এক প্রশ্নে বলা হয়, সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। তারা ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছে। বিপরীতে সরকার এক অর্থে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। আটক করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিবসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৮ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে। ২৮ অক্টোবর থেকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা তাঁর দলের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন বিরোধী দলের সদস্যদের আগুনে নিক্ষেপ করতে বা তাদের হাত পোড়াতে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সেই পরিবেশ তৈরির জন্য আপনারা কি বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে সহায়তা করবেন?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, ‘এটা মনে রাখা জরুরি যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। এটি আমরা আগেও বলেছি, আপনার বন্ধুর প্রশ্নের জবাবে আমরা এটি পুনরুল্লেখ করেছি। আমরা কোনো একটি রাজনৈতিক দলের ওপর অন্য রাজনৈতিক দলকে প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষপাতী নই। এই মুহূর্তে আমাদের ফোকাস জানুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা।’
এ সময় তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি জনগণের কল্যাণে সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও অন্যান্য অংশীদারের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাতে উল্লিখিত পক্ষগুলোর সঙ্গে যথাযথভাবে জড়িত হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিএনপি, মিয়া আরেফীসহ নানা প্রসঙ্গ। বিষয়গুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ দলের পক্ষে নয়, বরং বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে সমাজের সকল স্তরের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বেদান্ত প্যাটেলকে প্রশ্ন করা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কর্মীরা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের অজুহাতে চলমান ভাঙচুর ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে বাংলাদেশে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ ব্যাহত করেছে। আপনি কি জাতীয়তাবাদী দলকে সহিংসতা বন্ধ করে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বলবেন?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং করতে থাকব এবং আমরা যেকোনো সহিংস ঘটনাকে মারাত্মক গুরুত্ব দিয়ে আমলে নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকার, বিরোধী দলগুলো, নাগরিক সমাজ ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশি জনগণের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি এবং জানিয়ে যাব।’
অপর একটি প্রশ্নে মার্কিন নাগরিক মিয়া আরেফীকে ইঙ্গিত করে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সত্যিই কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছেন। গত সপ্তাহে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতারা একজন মার্কিন নাগরিককে তাঁদের প্রধান কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে এটি জানাতে যে, তিনি (মিয়া আরেফী) প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপদেষ্টা এবং বাইডেনের সঙ্গে প্রতিদিন তাঁর ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয়। তারপর দলটির আরেক নেতা পিটার হাসকে অবতার হিসেবে উল্লেখ করেন এবং জাতীয়তাবাদী দলের উদ্ধারকারী হিসেবে আখ্যা দেন। আপনি কি স্পষ্টভাবে জাতীয়তাবাদী দলের এই দাবি অস্বীকার করবেন?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি সে বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন দেখিনি এবং সত্যি বলতে আপনি কী বিষয়ে কথা বলছেন তা নিয়ে আমার সত্যিই কোনো ধারণা নেই।’
এ সময় বেদান্তের কথার মাঝে প্রশ্নকারী আবার কথা বলে উঠলে বেদান্ত বলেন, ‘দয়া করে আমাকে বাধা দেবেন না। ঢাকায় আমাদের দূতাবাসে আমাদের দারুণ একটি প্রতিভাবান টিম রয়েছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন অভিজ্ঞ রাষ্ট্রদূত। যিনি কেবল বাংলাদেশেই নয়, এর চেয়েও বড় অঞ্চলেও কাজ করতে সক্ষম।’
অপর এক প্রশ্নে বলা হয়, সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। তারা ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছে। বিপরীতে সরকার এক অর্থে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। আটক করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিবসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৮ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে। ২৮ অক্টোবর থেকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা তাঁর দলের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন বিরোধী দলের সদস্যদের আগুনে নিক্ষেপ করতে বা তাদের হাত পোড়াতে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সেই পরিবেশ তৈরির জন্য আপনারা কি বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে সহায়তা করবেন?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, ‘এটা মনে রাখা জরুরি যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। এটি আমরা আগেও বলেছি, আপনার বন্ধুর প্রশ্নের জবাবে আমরা এটি পুনরুল্লেখ করেছি। আমরা কোনো একটি রাজনৈতিক দলের ওপর অন্য রাজনৈতিক দলকে প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষপাতী নই। এই মুহূর্তে আমাদের ফোকাস জানুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা।’
এ সময় তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি জনগণের কল্যাণে সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও অন্যান্য অংশীদারের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাতে উল্লিখিত পক্ষগুলোর সঙ্গে যথাযথভাবে জড়িত হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
দুই মাসে নয়, গত দেড়-দুই বছরে দেশে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ সোমবার সকালে বিজিবির সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
১৫ মিনিট আগেঢাকার ঠিক বাইরে অবস্থিত একটি গ্রাম ধউর। গত ৭ ডিসেম্বর গ্রামের ৫০ বছরের পুরোনো লক্ষ্মী দেবীর মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে রাজধানীর বাইরের এই ছোট মন্দিরটিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পূজা-অর্চনা করে আসছেন হিন্দুরা। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার...
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে মানহানির ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুসান রাইল। তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত বর্তমান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ারের স্থলাভিষিক্ত হবেন। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আজ সোমবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি
২ ঘণ্টা আগে