উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদের পদোন্নতি হচ্ছে না, তা অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৪তম বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০২ সালে। আর চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার এ সময় ক্ষমতায় ছিল। এ কারণে এসব কর্মকর্তার ছাত্রজীবন এবং পরিবার, আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে ওই সময় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল-শিবিরের পদধারী যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি প্রশাসনের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। এবার যুগ্ম সচিব পদে বিসিএস ২৪তম ব্যাচ এবং উপসচিব পদে ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে আমলে নেবে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। আগস্টের প্রথম দিকেই এসএসবির বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে পদোন্নতি-প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সাপেক্ষে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য এসএসবির বৈঠক হতে পারে।
এরপর তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর যুগ্ম সচিব পদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে ১ জুলাই জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেছিলেন, ‘আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনের দুই স্তরের পদোন্নতি হবে। প্রথমে উপসচিব, পরে যুগ্ম সচিব পদে। পদোন্নতি দিতে শিগগিরই এসএসবির বৈঠক শুরু হবে।’
তবে একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে সরকারপ্রধানের মন্তব্যের পর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাচের প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে একধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী ইস্যুর মধ্যেই চীন সফর শেষে ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো তালিকায় বিসিএসে চাকরি হতো। এ সময় কোনো পরীক্ষাই হতো না।’ তিনি বলেন, ‘২০০২ সালে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির আমলে ওই সময়ে যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে, চাকরি হয়েছে, সবগুলোর তালিকা হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো হতো। ওই তালিকা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হতো।’
এমন পরিস্থিতিতে ২৪তম ব্যাচসহ প্রশাসনে একধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা নিয়েই অনেকেই চিন্তিত। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, প্রশাসনে তাঁদের চাকরির বয়স হয়েছে ২০ বছরের বেশি। সামনে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। এখন এ ধরনের প্রশ্ন উঠলে তাঁদের জন্য খুবই বিব্রতকর ও অমানবিক।
২৪তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিয়োগ বিএনপি আমলে হলেও আমাদের ২০ বছরের চাকরির প্রায় পুরো ভাগই সার্ভিস দিয়েছি এই সরকারের। ১৬ বছর ধরে সার্ভিস দিয়েও কী আমাদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে? নতুন করে গোয়েন্দারা কী তথ্য নেবে? এর মাধ্যমে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে।’
শুধু ২৪তম ব্যাচই নয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিসিএস ২১, ২২, ২৪ ও ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ হয়। বর্তমান প্রশাসনে তাঁরা উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত। এসব ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তারাও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলাচ্ছেন।
জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সরকারপ্রধান বলেছেন জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের তালিকা অনুযায়ী বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হতো।পরীক্ষাই হতো না। এতে ওই সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদেরই ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা কাম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি ব্যাচ উল্লেখ করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের কথা বলেছেন। অন্য আমলেও হয়েছে। আর এ ধরনের মন্তব্যে প্রশাসনে নেতিবাচক প্রভাব পড়া অস্বাভাবিক নয়। সব নিয়োগই তদন্ত করে সুরাহা ও পরিষ্কার করা দরকার।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বলছে, ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তার সংখ্যা ৪ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪৪ জন এবং পুলিশ ক্যাডারে ২১৫ জন। এ ব্যাচে শুধু স্বাস্থ্য ক্যাডারে দেড় হাজার এবং সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০২ সাল থেকে এই ব্যাচের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হলেও চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন।
এই ব্যাচের কর্মকর্তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহসহ ২৩ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি)। কয়েকজন মন্ত্রীর একান্ত সচিবও (পিএস) আছেন। পুলিশ ক্যাডারের অধিকাংশ কর্মকর্তাই অতিরিক্ত ডিআইজি হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দু-একজন জেলার পুলিশ সুপারও (এসপি)।
আরও খবর পড়ুন:
বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। ফলে নির্ধারিত সময়ে তাঁদের পদোন্নতি হচ্ছে না, তা অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৪তম বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০২ সালে। আর চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার এ সময় ক্ষমতায় ছিল। এ কারণে এসব কর্মকর্তার ছাত্রজীবন এবং পরিবার, আত্মীয়স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে ওই সময় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল-শিবিরের পদধারী যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি প্রশাসনের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। এবার যুগ্ম সচিব পদে বিসিএস ২৪তম ব্যাচ এবং উপসচিব পদে ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে আমলে নেবে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। আগস্টের প্রথম দিকেই এসএসবির বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে পদোন্নতি-প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সাপেক্ষে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য এসএসবির বৈঠক হতে পারে।
এরপর তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর যুগ্ম সচিব পদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে ১ জুলাই জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকা’কে বলেছিলেন, ‘আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রশাসনের দুই স্তরের পদোন্নতি হবে। প্রথমে উপসচিব, পরে যুগ্ম সচিব পদে। পদোন্নতি দিতে শিগগিরই এসএসবির বৈঠক শুরু হবে।’
তবে একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে সরকারপ্রধানের মন্তব্যের পর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাচের প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে একধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী ইস্যুর মধ্যেই চীন সফর শেষে ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো তালিকায় বিসিএসে চাকরি হতো। এ সময় কোনো পরীক্ষাই হতো না।’ তিনি বলেন, ‘২০০২ সালে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির আমলে ওই সময়ে যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে, চাকরি হয়েছে, সবগুলোর তালিকা হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো হতো। ওই তালিকা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হতো।’
এমন পরিস্থিতিতে ২৪তম ব্যাচসহ প্রশাসনে একধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা নিয়েই অনেকেই চিন্তিত। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, প্রশাসনে তাঁদের চাকরির বয়স হয়েছে ২০ বছরের বেশি। সামনে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। এখন এ ধরনের প্রশ্ন উঠলে তাঁদের জন্য খুবই বিব্রতকর ও অমানবিক।
২৪তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিয়োগ বিএনপি আমলে হলেও আমাদের ২০ বছরের চাকরির প্রায় পুরো ভাগই সার্ভিস দিয়েছি এই সরকারের। ১৬ বছর ধরে সার্ভিস দিয়েও কী আমাদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে? নতুন করে গোয়েন্দারা কী তথ্য নেবে? এর মাধ্যমে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে।’
শুধু ২৪তম ব্যাচই নয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিসিএস ২১, ২২, ২৪ ও ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ হয়। বর্তমান প্রশাসনে তাঁরা উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে কর্মরত। এসব ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তারাও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলাচ্ছেন।
জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একটি ব্যাচের নাম উল্লেখ করে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সরকারপ্রধান বলেছেন জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের তালিকা অনুযায়ী বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হতো।পরীক্ষাই হতো না। এতে ওই সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদেরই ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা কাম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি ব্যাচ উল্লেখ করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের কথা বলেছেন। অন্য আমলেও হয়েছে। আর এ ধরনের মন্তব্যে প্রশাসনে নেতিবাচক প্রভাব পড়া অস্বাভাবিক নয়। সব নিয়োগই তদন্ত করে সুরাহা ও পরিষ্কার করা দরকার।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বলছে, ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তার সংখ্যা ৪ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪৪ জন এবং পুলিশ ক্যাডারে ২১৫ জন। এ ব্যাচে শুধু স্বাস্থ্য ক্যাডারে দেড় হাজার এবং সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০২ সাল থেকে এই ব্যাচের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হলেও চূড়ান্ত নিয়োগ হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুন।
এই ব্যাচের কর্মকর্তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহসহ ২৩ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি)। কয়েকজন মন্ত্রীর একান্ত সচিবও (পিএস) আছেন। পুলিশ ক্যাডারের অধিকাংশ কর্মকর্তাই অতিরিক্ত ডিআইজি হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দু-একজন জেলার পুলিশ সুপারও (এসপি)।
আরও খবর পড়ুন:
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
২ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে