কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকার মনে করছে, বাংলাদেশে গত ৫ আগস্টের আগে ও পরে সহিংসতায় কত মানুষ নিহত হয়েছে এবং এখানকার সংখ্যালঘুদের অবস্থা কেমন, এমন বিষয়ে যুক্তরাজ্যে অপপ্রচার চলছে। এ বিষয়ে সরকারের আপত্তির কথা ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে ডেকে জানানো হয়েছে।
হাইকমিশনারকে আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে অসন্তোষের কথা জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। উপদেষ্টা বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা পরে সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাজ্যের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) ফর দ্য কমনওয়েলথের প্রতিবেদনে ও দেশটির পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্যের বক্তব্যে বাংলাদেশ বিষয়ে কিছু ‘মিথ্যা’ ও’ বিকৃত’ তথ্য এসেছে। এসব বিষয়ে সরকারের অবস্থান হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে।
এপিপিজির প্রতিবেদন বলা হয়, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে–পরের সহিংসতায় প্রাণহানি ও এখানে গত ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ তৈরি হয়। আর বাংলাদেশে সহিংসতার বিষয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে ৫ আগস্টের পর বেশি মৃত্যু হয়েছে। এ জিনিসটি পুরোপুরি মিথ্যা। আর বলা হয়েছে ৫ আগস্টের আগে ২৮০ জন মারা গেছে। অথচ এই সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি। এর মধ্যে ৭৮০ জনের নাম ধরে শনাক্ত করা গেছে। অনেকের পরিচিতি এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টের পর দু–একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা থাকতে পারে, কিন্তু যেভাবে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যার বিষয়ে ‘মিথ্যা’ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা দুঃখজনক।
উপদেষ্টা বলেন, এখানে ৫ আগস্টের আগে এত বড় ঘটনা ঘটে গেলে, বিপুলসংখ্যক ছাত্রকে রাস্তাঘাটে গুলি করে মারা হয়েছে, তার উল্লেখ প্রতিবেদনে নেই। এ কারণে সরকারের অসন্তোষের কথা হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে।
এর বাইরে হাইকমিশনারকে বলা হয়, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গত ২ নভেম্বর কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতির ওপর ‘বিকৃত তথ্য’ তুলে ধরেছেন। আর ব্রিটেনভিত্তিক দু–একটি সংগঠন বাংলাদেশের বিষয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপদেষ্টা হাইকমিশনারকে বলেন, পার্লামেন্ট সদস্যরা যা ইচ্ছা বলবেন, সে বিষয়ে কারও কিছু করার নেই। কিন্তু বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা তিনি যেন ব্রিটিশ সরকারকে জানান।
সারাহ কুক উপদেষ্টাকে বলেন, তিনি তাঁর দেশের সরকারকে বাংলাদেশ বিষয়ে জানাবেন। আর নিজ দূতাবাসগুলোর মাধ্যমেও বাংলাদেশ সরকার যেন বিষয়গুলো তুলে ধরে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা তুলে ধরে নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলেছে যুক্তরাজ্য। বিশেষ করে কয়েকটি এলাকায় অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারি করে।
সরকার মনে করছে, বাংলাদেশে গত ৫ আগস্টের আগে ও পরে সহিংসতায় কত মানুষ নিহত হয়েছে এবং এখানকার সংখ্যালঘুদের অবস্থা কেমন, এমন বিষয়ে যুক্তরাজ্যে অপপ্রচার চলছে। এ বিষয়ে সরকারের আপত্তির কথা ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে ডেকে জানানো হয়েছে।
হাইকমিশনারকে আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে অসন্তোষের কথা জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। উপদেষ্টা বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা পরে সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাজ্যের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) ফর দ্য কমনওয়েলথের প্রতিবেদনে ও দেশটির পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্যের বক্তব্যে বাংলাদেশ বিষয়ে কিছু ‘মিথ্যা’ ও’ বিকৃত’ তথ্য এসেছে। এসব বিষয়ে সরকারের অবস্থান হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে।
এপিপিজির প্রতিবেদন বলা হয়, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে–পরের সহিংসতায় প্রাণহানি ও এখানে গত ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ তৈরি হয়। আর বাংলাদেশে সহিংসতার বিষয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে ৫ আগস্টের পর বেশি মৃত্যু হয়েছে। এ জিনিসটি পুরোপুরি মিথ্যা। আর বলা হয়েছে ৫ আগস্টের আগে ২৮০ জন মারা গেছে। অথচ এই সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি। এর মধ্যে ৭৮০ জনের নাম ধরে শনাক্ত করা গেছে। অনেকের পরিচিতি এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টের পর দু–একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা থাকতে পারে, কিন্তু যেভাবে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যার বিষয়ে ‘মিথ্যা’ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা দুঃখজনক।
উপদেষ্টা বলেন, এখানে ৫ আগস্টের আগে এত বড় ঘটনা ঘটে গেলে, বিপুলসংখ্যক ছাত্রকে রাস্তাঘাটে গুলি করে মারা হয়েছে, তার উল্লেখ প্রতিবেদনে নেই। এ কারণে সরকারের অসন্তোষের কথা হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে।
এর বাইরে হাইকমিশনারকে বলা হয়, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গত ২ নভেম্বর কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতির ওপর ‘বিকৃত তথ্য’ তুলে ধরেছেন। আর ব্রিটেনভিত্তিক দু–একটি সংগঠন বাংলাদেশের বিষয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপদেষ্টা হাইকমিশনারকে বলেন, পার্লামেন্ট সদস্যরা যা ইচ্ছা বলবেন, সে বিষয়ে কারও কিছু করার নেই। কিন্তু বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা তিনি যেন ব্রিটিশ সরকারকে জানান।
সারাহ কুক উপদেষ্টাকে বলেন, তিনি তাঁর দেশের সরকারকে বাংলাদেশ বিষয়ে জানাবেন। আর নিজ দূতাবাসগুলোর মাধ্যমেও বাংলাদেশ সরকার যেন বিষয়গুলো তুলে ধরে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা তুলে ধরে নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলেছে যুক্তরাজ্য। বিশেষ করে কয়েকটি এলাকায় অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারি করে।
চিকেন’স নেক বা শিলিগুড়ি করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করে রাখা একটি সংকীর্ণ ভূখণ্ড, যার ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশ, চীন, নেপাল ও ভুটানের সীমান্তবর্তী এই করিডর ভারতের নিরাপত্তা ও সংযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লাইফলাইন।
২ ঘণ্টা আগেআমাদের প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। যেহেতু আমাদের নিশ্চিতভাবে সবচেয়ে বড় সম্পদ প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়। উনার যে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা, সেটাকে ব্যবহার করে আমরা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করব...
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশি পণ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপ নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বৈঠক শুরু হয়েছ। সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, খেলাধুলা শিশু ও তরুণদের মেধা ও মনন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্বজ্ঞান ও কর্তব্যপরায়ণতার সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগে